করোনা পরীক্ষার সুযোগ নেই সবার!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
বার্তা ২৪.কম

বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দুটি মেশিন আছে। করোনার পরীক্ষাও হচ্ছে। কিন্তু সুযোগ সবার জন্য নয়। শুধু নিজেদের রোগী আর চিকিৎসকদের করোনার পরীক্ষা করছে রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল। রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মেশিন দুটি কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত যক্ষ্মা শনাক্ত করার যন্ত্র ‘জিন-এক্সপার্ট’ দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষা করা সম্ভব। এখানে দুটি জিন এক্সপার্ট মেশিন আছে। একটি মেশিন ৪ মডিউলের, অন্যটি ১৬ মডিউলের। এগুলো প্রতি ঘণ্টায় ২০টি করে নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম। দিনে পাঁচবারে মোট ১০০টি পরীক্ষা করতে সক্ষম এগুলো।

জিন-এক্সপার্ট মেশিনে

পিসিআর ল্যাবের বিকল্প এই পদ্ধতি রিয়েল টাইম পিসিআর হিসেবে দেশ-বিদেশে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করতে আট ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে জিন-এক্সপার্ট মেশিনে নমুনা প্রক্রিয়াকরণ করতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে এবং ৪৫ মিনিটেই ফল পাওয়া যায়। এই মেশিনে পজিটিভ রোগীর ফলাফল ৩০ মিনিটে পাওয়া সম্ভব।

পদ্ধতিতে ভিটিএম টিউব থেকে নমুনা সরাসরি কার্টিজে দেওয়া হয়। এক ধাপে নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং সরাসরি কম্পিউটার থেকে ফলাফল পাওয়া যায়। এ পরীক্ষা ক্লিনিক্যাল মূল্যায়নে করোনাভাইরাস পজিটিভ ও নেগেটিভ রোগীর ক্ষেত্রে প্রায় শতভাগ সাফল্য পেয়েছে। অথচ এখানে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক ও কর্মচারী ছাড়া কারও করোনার পরীক্ষার সুযোগ নেই। সারাদিন অলস পড়ে থাকে মেশিন দুটি।

অপরদিকে রাজশাহীতে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। বেড়ে গেছে করোনা পরীক্ষার চাপও। কিন্তু এখন শুধুমাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) একটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সেখানে প্রচুর চাপ। বাড়তি চাপের কারণে এখন আর দিনের রিপোর্ট দিনে পাওয়া যায় না। অপেক্ষা করতে হয় অন্তত পরের দিনের জন্য। এ অবস্থায় আলোচনায় এসেছে রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন-এক্সপার্ট মেশিনটি। এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হলে প্রতিদিন প্রায় ১০০ জনের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। অটোমেটিক এই মেশিনে এক ঘন্টার মধ্যেই করোনার রিপোর্ট পাওয়া যায়। তুলনামূলক কম খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক পরীক্ষার জন্য জিন-এক্সপার্ট মেশিনটি খুবই কার্যকর। তবে দুটি মেশিনই এই করোনাকালে তেমন কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বক্ষব্যাধি হাসপাতালের এই মেশিনে জানুয়ারি মাস থেকে নির্ধারিত কিছু মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে এখানে। এগুলোর প্রায় ২৫ শতাংশ করোনা পজিটিভ এসেছে। মূলত এখানকার রোগী, চিকিৎসক এবং তাদের স্বজনদের করোনা পরীক্ষায় এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালে তেমন লোকজনের আনাগোনা নেই। গেটের মুখে একটি ছোট কাগজে লেখা আছে, এখানে করোনা পরীক্ষা করা হয়। একটু এগিয়ে যেতেই চোখে পড়লো জিন-এক্সপার্ট ল্যাব। ল্যাবের পাশেই বানানো হয়েছে একটি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র। তবে সেটি ফাঁকা। কোন লোকজন নেই। ল্যাবটি তালাবন্ধ।

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনার চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ মেশিন থেকেও কোন কাজ নেই এখানকার লোকজনের। ল্যাবটিও বেশিরভাগ সময় থাকে তালবদ্ধ। কারণ এটা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়।

নাম না প্রকাশ করে ল্যাবের এক কর্মচারী জানান, এখানে দিনে মোট ১০ থেকে ১৫টা টেস্ট করানো হয়। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। জরুরী কিছু রোগী ও তাদের নিজস্ব চিকিৎসক, নার্স ও তাদের পরিবারে সদস্যদের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এখানে তেমন কিটও নেই। বর্তমানে মাত্র ১০০টির মত কিট আছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, এখন রাজশাহীর মধ্যে শুধুমাত্র মেডিকেল কলেজেই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের এখানে প্রতিদিন দুই শিফটের জায়গায় চার শিফট কাজ করেও প্রতিদিনের নমুনা প্রতিদিন পরীক্ষা করে শেষ করতে পারছি না। প্রতিদিন এখানে সর্বোচ্চ ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। অথচ জমা হচ্ছে ৪০০টিরও বেশি নমুনা।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে রোগ নির্ণয় করাটাই জরুরি। কারণ রোগ নির্ণয় না হলে তো চিকিৎসা করানো যাবে না। যত বেশি পরীক্ষা হবে, ততই ভালো। এ অবস্থায় যে যে সুযোগ আছে কাজে লাগানো উচিৎ।

এ বিষয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, জিন-এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় হচ্ছে। এটি বেশি সংখ্যক হয় না। কিন্তু রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল আমাদের আয়ত্বে না। সেখানকার মেশিন শুধু সেখানকার রোগী ও চিকিৎসকদের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা সবার জন্য করা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সুপার ডা. সুলতানা আক্তার বলেন, আমাদের এখানে করোনা পরীক্ষা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। এখানে টিবি রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া আমাদের স্টাফদেরও পরীক্ষা করানো হয় এখানে। কোন কোন দিন ৪ বা ৫টা টেস্ট হয়, আবার কোনদিন ১৪ থেকে ১৫টি করোনা পরীক্ষা হয়। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার সুযোগ নেই, কারণ এখানে আমাদের রোগী ভর্তি থাকে অনেক। তাদের অবস্থাও অনেক জটিল থাকে।

   

বর্জ্যের স্তুপ থেকে কঙ্কাল উদ্ধার, ব্রেসলেট দেখে স্বামীকে সনাক্তন করলেন স্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিখোঁজের ১৯ মাস পর মুরগির খামারের ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী জেসমিন বেগম। স্বামীর হাতের ব্রেসলেট দেখে তাকে সনাক্ত করেছেন জেসমিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ দাশের বাড়ির পাশের বাগান সংলগ্ন মুরগির খামারের ময়লার স্তুপ থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।

কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে স্ত্রী জেসমিন বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীর হাতের ব্রেসলেট দেখে তাকে সনাক্ত করেন।

তবে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিস আলী।

এদিকে, এই কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে ও ইসমাইল হোসেনের বন্ধু নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুল (৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগেও ইসমাইল হোসেনের মিসিং ডায়েরির সূত্র ধরে র্যাব-৬ এর সদস্যরা নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক সিরাজ, বাবলু, পীযূষ, নূরসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা বৃহস্পতিবার সকালে বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ বাবুর বাড়ির পাশের বাগানের ময়লার মধ্যে একটি মাথার খুলি দেখতে পান। বিষয়টি পাশে ধানকাটা শ্রমিকদের জানালে তারা এসে ময়লা সরিয়ে একটি মানুষের কঙ্কাল দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে জানান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করে।

এদিকে, কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে নিখোঁজ ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতের ব্রেসলেট দেখে লাশটি তার স্বামীর বলে দাবি করেন। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ভীড় করে।

পরে দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে পিবিআই, সিআইডি, ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনোহরপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে ইসমাইল এবং চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে নাজমুল হোসেন শিমুল এক সঙ্গে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করাসহ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। হঠাৎ করে ইসমাইল হোসেন নিখোঁজ হওয়ায় তার স্ত্রী জেসমিন বেগম ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক ইদ্রিস আলী জানান, কঙ্কাল ও কঙ্কালের হাতের ব্রেসলেট দেখে কঙ্কালটি তার স্বামীর বলে দাবি করেছেন জেসমিন। এ ব্যাপারে নাজমুল হোসেন নামে ইসমাইলের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে বিদায়ী এপ্রিল মাসে ছিল তীব্র তাপদাহ। এতে জনজীবনে ছিল অস্বস্তি। অবশেষে সেই অস্বস্তির মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলল রাজধানী ঢাকায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি।

এর আগে সন্ধ্যা থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়। তবে এখন পর্যন্ত রাজধানীর সব এলাকায় বৃষ্টির দেখা না মিলললেও আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে।

 

;

কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় হটাৎ বৃষ্টিতে চার উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে পৃথক সময়ে জেলার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বারে এ ৪ জনের মৃত্যু হয়।

বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- চান্দিনার বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭), সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ার ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (৫৮) ও বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোরা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আলম হোসেন।

স্থানীয় ও পুলিশের সূত্র জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামে কৃষি কাজ করার সময় বজ্রপাতে দৌলতুর রহমান (৪৭) মারা যায়। বুড়িচংয়ের রাজাপুর ইউনিয়ন নোয়াপাড়া গ্রামে আলম হোসেন ধান কাটার সময়, বাকি দুইজন বৃষ্টির সময় বাইরে থাকায় ঘটনাস্থলে মারা যায়।

;

বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের

বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাকের ব্যবহার নির্মূল করে তামাক মুক্ত দেশ গড়তে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

তামাক পণ্যের কর থেকে যে রাজস্ব আসে তার থেকে অনেক বেশি তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতায় স্বাস্থ্য খাতে সরকারের খরচ হয় উল্লেখ করে সংসদ সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' গড়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে দেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। যে কারণে সিগারেটে কার্যকর করারোপ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি এবং আয়ের প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ, ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ, ১৯ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিয়াম মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ে আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তারা এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সিগারেটের ওপর কার্যকর করারোপের বিষয়ে যে ঐক্যমত আমাদের সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে তা এবারের বাজেট আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

রাজশাহী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার মনে করেন, নিম্ন আয়ের মানুষ এবং কিশোর-তরুণদের সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হলে এই বাজেটে বেশি বেশি করারোপের মাধ্যমে সিগারেটের খুচরা মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন এবং উপজেলা পর্যায়ে এর চাষ নিরুৎসাহিত করতে সরকারের ইনসেনটিভ মেকানিজম তৈরি করা জরুরি। জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।

মহিলা সংরক্ষিত ৭ আসনের সংসদ সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বলেন, সিগারেটের ব্যবহার কমিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাজেটে যথাযথ উদ্যোগ থাকা বাঞ্ছনীয়।

ঢাকা-১০ আসনের এমপি ফেরদৌস আহমেদ বলেন, সিগারেটের দাম ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি তামাকের উপর কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দিতে হবে।

এ সময় সিগারেটে কার্যকর করারোপের বিষয়ে প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন তামাক-বিরোধী সংগঠনের পক্ষে উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, সিগারেটে কার্যকর করারোপই এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ কারণেই দেশের তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলো সিগারেটে কার্যকর করারোপের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে সিগারেটের ব্যবহার কমলেও যেন সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় চাপ না পড়ে- সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে একদিকে সিগারেট ব্যবহারের হার ৯ শতাংশ কমবে, অন্যদিকে সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বাড়বে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রশিদ, এবং সিরাজগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও রিসার্চ ডিরেক্টর ড. এসএম জুলফিকার আলী এবং বিইইটিসি ফোরামের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম এবং অধ্যাপক গোলাম আহমেদ ফারুকী।

;