জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনে শোক দিবস পালিত



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গভীরশোক, শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬-তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান রোববার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে ও জাতিরপিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে কর্মসূচির সূচনা করেন। 

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রাতিষ্ঠাকীকরণ’, বিদেশে বাংলাদেশী শ্রমিক প্রেরণের মাধ্যমে অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখ করে তাঁর দেশ পরিচলনায় দূরদর্শীতা এবং কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কথাশ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘যে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা সেই নীতি ও আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘাতকের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে।’

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সকলকে তাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে বলেন তিনি।

এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু আলোকচিত্র নিয়ে একটি বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত রহমান এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীটি এবারের জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে।

পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

   

দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদ উৎসব



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সীমানা পেরিয়ে এবার সুদূর আরব আমিরাতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক ঝাঁক তারকাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঈদ পরবর্তী এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এবং চিত্র তারকাদের নিয়ে ঈদ উৎসব করতে যাচ্ছে এসএন এন্টারটেইনমেন্টের স্বত্বাধিকারী সাচিনুর সাচি। আগামী ২১ জুন ২০২৪ তারিখে দেরা দুবাইয়ের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হবে "দুবাই কনসার্ট-২০২৪"। এ উপলক্ষে গতকাল ৩১ মে দুবাইয়ের আল কেসিসের একটি রেঁস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে "দুবাই কনসার্টের" আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন উদযাপন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু জাফর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এস এন এন্টারটেইনমেন্টের অর্গানাজার মোঃ ফখরুদ্দীন মুন্না, কো-অর্গানাজার সিরাজুল হক, উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মোহাম্মদ আলী, সদস্য সচিব হাজী শফিক, যুগ্ম সদস্য সচিব কামাল হোসেন সুমন, নির্বাহী সদস্য (সাংস্কৃতিক) মোঃ জাহিদ পারভেজ, মোঃ সফিক, মাহাবুবা সিদ্দিকা শিপু, এস এন এন্টারটেইনমেন্ট স্থায়ী কমিটির সদস্য সামসুর রহমান সোহেল, সরোয়ার উদ্দিন রনি, সাগর দেব, মামুনুর রশিদ, শরীফ মাহমুদ, মোঃ আলম, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ ইফতেখার, আমিরাতে বসবাসরত ব্যবসায়ী শিল্পপতি ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার আবু জাফর বলেন, এই প্রথম বাংলাদেশের অনেকগুলো সংগীত শিল্পী এবং চিত্রশিল্পী একসাথে দুবাইয়ের মাটিতে পা রাখছেন। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের দর্শক উপস্থিত থাকবেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে আগত ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম, অভিনয় শিল্পী পরিমণি, কণ্ঠশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন, সুমি শবনম, তশিবা, সাচিনুর সাচি, উপস্থাপক শান্তা জাহান ও লাবিব সিনহা এবং ভারতের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী অর্পিতা বিশ্বাস।

এ সময় এস এন এন্টারটেইনমেন্টের দুবাই অর্গানাইজার ফখরুদ্দীন মুন্না বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পীদের সমন্বয়ে ঈদ উৎসব পালন করবে আমিরাতের প্রবাসীরা। তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, বিদেশের মাটিতেও সংগীত চর্চার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এতে করে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি-কালচার গানের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে সোনার বাংলাকে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে প্রকৌশলী আবু জাফর দুবাই কনসার্টের ১৫ সদস্যের উদযাপন কমিটি ঘোষণা করেন।

;

দুবাইয়ে ৫১ বাংলাদেশিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান



করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩।

পৃথিবীর অন্য দেশকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সধারী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ও সিআইপি সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, এমপি।

বিশেষ হিসেবে উপস্থিত অতিথি ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জাসাল হেসেন, আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মান-সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আজকে ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে যে, আমরা বৈধপথে দেশে টাকা পাঠাবো ও সেইসঙ্গে মান-সম্মান গ্রহণ করবো। সেইসঙ্গে সম্মানের অধিকারী হবো। বৈধপথে টাকা পাঠালে প্রত্যেক স্তরে সম্মানিত হবো।

এ সময় তিনি প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জোরালো আহ্বান জানান।

দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, বিগত অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আগামী অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এ আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের আয়োজনে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো ৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এদের মধ্যে রয়েছেন- নিম্ন বেতনধারী, উচ্চ বেতনধারী, প্রবাসী ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও প্রবাসী সাংবাদিক। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে নির্বাচিত ৭৫ জন সিআইপিকে সংবর্ধিত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্য দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট সাধারণ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

;

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর



করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসীদের প্রতি বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, এমপি বলেছেন, আজকে আমাদের ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে, আমরা বৈধপথে দেশে টাকা পাঠাবো; মান-সম্মান গ্রহণ করবো এবং সম্মানের অধিকারী হবো। বৈধপথে টাকা পাঠিয়ে প্রত্যেক স্তরে সম্মানিত হবো।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয়বারের মতো ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ও সিআইপি সংবর্ধনার জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সধারী হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জাসাল হেসেন, আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির।

দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, বিগত অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আগামী অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এ আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের আয়োজনে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো ৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

এদের মধ্যে রয়েছেন- নিম্ন বেতনধারী, উচ্চ বেতনধারী, প্রবাসী ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও প্রবাসী সাংবাদিক। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে নির্বাচিত ৭৫ জন সিআইপিকে এই অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয়।

এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসীদের উৎসাহ দেওয়ায় আগের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে রেমিট্যান্স পাঠানোর পদ্ধতি আরো সহজ করতে পারলে বৈধপথে টাকা পাঠাতে প্রবাসীরা আরো দ্বিগুণ উৎসাহিত হবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্য দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট সাধারণ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

;

বাংলাদেশিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাস্তি পেলো মালয় পুলিশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
বাংলাদেশিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাস্তি পেলো মালয় পুলিশ

বাংলাদেশিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাস্তি পেলো মালয় পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে সোনা, নগদ অর্থ এবং মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশসহ ৪ জন স্থানীয় নাগরিককে শাস্তি প্রদান করেছে মালয়েশিয়ার আদালত। দুই সপ্তাহ আগে দলবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশিদের ছিনতাই করেছিল তারা।

গত শুক্রবার (২৪ মে) কুয়ালালামপুরে দুটি ভিন্ন দায়রা আদালতের দুটি মামলার বিচারে অভিযুক্তদের শাস্তি প্রদান করেছেন।

পুলিশের কর্পোরাল ৩৪ বছর বয়সী নরিজাম আম্বিয়াহ বিচারক ইজরালিজাম সানসুইয়ের কাছে তার অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। নরিজাম এবং তার সহযোগী আরিফ হোসাইন নামে এক বাংলাদেশির কাছ থেকে একটি ব্র্যাসলেট এবং একটি নেকলেস ছিনতাই করে। যার মূল্য ২ লাখ ৬৪ হাজার রিঙ্গিত বা প্রায় ৬৬ লাখ টাকা। এছাড়াও ৪ হাজার ২০২ রিঙ্গিত বা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন, ব্যাংক কার্ড, টাচ এন্ড গো কার্ড ছিনতাই করেন।

একইভাবে সাকেল আহমেদ নামে আরেক বাংলাদেশির থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার রিঙ্গিত বা ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার অলংকার, ছয়টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৩ হাজার ৬০০ রিঙ্গিত বা ৯০ হাজার টাকা ছিনতাই করে এই চক্র।

গত ১১ মে বেলা ১টা ৫ মিনিটে জালান মুন্সি আব্দুল্লাহতে একটি বিপণী বিতানের পার্কিং এলাকায় এই ছিনতাই সংঘটিত হয়।

পেনাল কোডের ৩৯৫ ধারায় উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং বেত্রাঘাতের বিধান রয়েছে। আদালত অপরাধী পুলিশ কর্মকর্তাকে ১০ হাজার রিঙ্গিত বা আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং প্রতিমাসে একবার নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করার আদেশ দেন

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, ৩৪ বছর বয়সী মো. কামরুজ্জামান ইমরান, ৩৩ বছর বয়সী মুহামদ আজম আবদুর রহিম এবং ৪৫ বছর বয়সী রোসাইজাল লাজাত। তাদের সবাইকে জনপ্রতি ৮ হাজার রিঙ্গিত বা ২ লাখ টাকার বিনিময়ে জামিন দেয়া হয়।

;