থাইল্যান্ডে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চতুর্থ দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ। ছবি: ইপিএ

চতুর্থ দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ। ছবি: ইপিএ

  • Font increase
  • Font Decrease

জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে থাইল্যান্ডের গণতন্ত্রপন্থিরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো রাজধানী ব্যাংককে উত্তাল বিক্ষোভ করেছে। গতকালও পুলিশ ব্যাপক হারে জলকামান নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্যাংককের জনসভায় যোগ দেয়।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা যদি আন্দোলন দমনে কার্যকর না হয়, তাহলে কারফিউ জারি করা হতে পারে। জরুরি অবস্থার মেয়াদ এক মাস হবে।

শনিবার সকাল থেকেই ব্যাংককে দলে দলে লোক জড়ো হতে থাকে এবং নানারকম স্লোগান দেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান দিয়ে রাসায়নিক মিশ্রিত পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী নেতাকে। তাদের প্রতিহত করতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল হেলমেট পরা দাঙ্গা পুলিশ। এদিন সেখানে অনেকটা হংকংয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ যন্ত্রণাদায়ক পানি ছুড়লেও ছাতা হাতে সেখানেই অনড় থাকেন অনেক বিক্ষোভকারী।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা আমাদের শক্তি দেখাতেই এখানে জড়ো হয়েছি। আমরা আর স্বৈরতন্ত্র মেনে নেব না।’

‘আমরা কোনো সহিংসতা করিনি, তারপরও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে আমরা মোটেও ভীত নই। এই জনসমুদ্রই তার প্রমাণ।’

বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- থাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন, সামরিক সরকারের লেখা সংবিধান সংশোধন, ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ এবং রাজশাসন সংস্কার। তবে আন্দোলনের মুখেও পদত্যাগ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা।

সমালোচকদের দাবি, ক্ষমতায় থাকতে গত বছরের নির্বাচনে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী।

সরকারবিরোধী এমন বিক্ষোভ থাইল্যান্ডের ইতিহাসে খুব কমই দেখেছে দেশটির মানুষ। দেশজুড়ে জারি করা জরুরি অবস্থা ও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ব্যাংককের রাস্তায় অবস্থান নেন কয়েক লাখ মানুষ। ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ও’চার পদত্যাগ, সংবিধান সংশোধন, নতুন নির্বাচন ও রাজতন্ত্র পুনর্গঠনের দাবিতে টানা তিন মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে সরকারবিরোধীরা।

   

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৬০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া এই বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিবিসি বলছে, দেশটি উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আরও কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই অঞ্চলে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছিল। এতে করে সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ভয়াবহ এই বন্যা দেশটির এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বিবিসিকে বলেছেন, বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলায় দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন।

এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

;

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে ১৪৩ দেশের ভোট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। খবর এপি'র।

শুক্রবার (১০ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়।

এতে বলা হয়, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভোটি হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা।’

এই প্রস্তাবে ১৪৩টি দেশ একমত পোষণ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ফলে জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ পরিষদ।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ব্যাপক সমর্থনের পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে যায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে স্বীকৃতির পথ।

মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।

ইসরায়েল সহ এর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া নয়টি দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল।

 

;

আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মোদি : রাহুল গান্ধী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার আগে উত্তর প্রদেশে যৌথ প্রচারণা শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব।

উল্লেখ্য, কনৌজ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী হয়েছেন এই অখিলেশ। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় কনৌজে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তার আগে শুক্রবার (১০ মে) যৌথ সভায় রাহুল বলেন, ‘‘উত্তর প্রদেশজুড়ে ‘ইন্ডিয়া’ ঝড় উঠেছে। বিজেপি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। নরেন্দ্র মোদি আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না।’’

অখিলেশ তার বক্তৃতায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অনুন্নয়নের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরব হন।

কনৌজের পাশাপাশি শুক্রবার উত্তর প্রদেশের শিল্প নগরী কানপুরেও যৌথ সভা করেছে কংগ্রেস এবং এসপির এই দুই শীর্ষনেতা।

প্রসঙ্গত, এ বার লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন হয়েছিল রাহুল এবং অখিলেশের দলের।

শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হওয়া রফাসূত্র অনুযায়ী ওই রাজ্যের ৮০ লোকসভা আসনের মধ্যে এসপি ৬২ এবং কংগ্রেস ১৭টি আসনে লড়ছে। একটি ছাড়া হয়েছে তৃণমূলকে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী পদে এখনও অখিলেশ প্রকাশ্যে কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা না দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস শিবিরের নেতা-কর্মীদের একাংশ।

;

রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্য রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি তেল শোধনাগারে শুক্রবার (১০ মে) ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানিয়েছে, দেশটির জ্বালানি অবকাঠামোতে সাম্প্রতিক আক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

মস্কোর দক্ষিণে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলটি অন্তত পাঁচটি রাশিয়ান অঞ্চলের মধ্যে একটি, যেসব অঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল মধ্যে ড্রোন হামলার খবর খবর পাওয়া গেছে।

কালুগা অঞ্চলের গভর্নর ভ্লাদিস্লাভ শাপশা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘গত রাতে ডিজারজিনস্কি জেলার একটি অঞ্চলে ড্রোন হামলার ফলে আগুন লেগেছে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ‘আগুন নেভানো হয়েছে এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রপরিচালিত বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জরুরি পরিষেবা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামলার ফলে কালুগা অঞ্চলের তেল শোধনাগারে তিনটি ডিজেল ট্যাঙ্কার এবং একটি জ্বালানী তেল ট্যাঙ্কারে আগুন লেগেছে।

টেলিগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কালুগার একটি শিল্প অঞ্চল আগুনে পুড়ে গেছে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ কালুগা তেল শোধনাগারে আক্রমণ করেছিল ইউক্রেন।

এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা পূর্বেই সতর্ক করেছিলেন যে, রাশিয়ান তেল শোধনাগারগুলোতে ইউক্রেনের আক্রমণ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি পরিস্থিতির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার ফলে দেশটির পেট্রোল উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে, কালুগা তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

তবে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, এটি ব্রায়ানস্ক, মস্কো এবং বেলগোরোদ অঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবারের সকালে ইউক্রেনের ড্রোনগুলোকে বাধা দিয়েছে।

কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর বলেছেন, ড্রোন হামলায় তিনটি বাড়িতে আগুন লেগেছে।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, একটি ড্রোন মস্কোর দিকে উড়ে যাওয়ার সময় কাছের শহর পোডলস্কে সেটিকে আটকে দেওয়া হয়েছে।

;