ভারতের রাজনীতিতে ওয়াইসী ফ্যাক্টর



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
আসাদউদ্দিন ওয়াইসী

আসাদউদ্দিন ওয়াইসী

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে উত্থান ঘটেছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসীর। সর্বত্র চলছে তাকে নিয়ে চর্চা। ভোটের রাজনীতিতে কোথাও কোথাও প্রভাবক রূপে আবির্ভাব ঘটছে তার।

তিনি ছিলেন আঞ্চলিক দলের নেতা। কিন্তু ক্রমেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ঘটছে তার উত্থান। দক্ষিণের হায়দারাবাদ থেকে উত্তরের বিহার হয়ে পূর্বের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছেন মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসী।

একদা নিজাম শাসিত হায়দারাবাদ ছিল অন্ধ প্রদেশের অংশ ও রাজধানী। এখন সেটি নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানার মূল কেন্দ্র। হায়দারাবাদের রাজনীতিতে  বংশানুক্রমিক কর্তৃত্ব ওয়াইসীদের। তার পিতাও বার বার সংসদে জিতেছেন। তিনি বহু বছর ধরে সংসদ সদস্য। তার ভাই আকবরউদ্দিন ওয়াইসীও উদীয়মান নেতা।

একদা ডাকসাইটে ক্রিকেটার, ব্যক্তিগত জীবনে উচ্চশিক্ষিত, ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসী স্পষ্ট ভাষণ ও লড়াকু মনোভাবের জন্য পুরো ভারতের নজর কেড়েছেন। দলীয় রাজনীতিকেও তিনি আঞ্চলিক গণ্ডি থেকে জাতীয় স্তরে উত্তরণ ঘটাচ্ছেন। ফলও পাচ্ছেন উল্লেখ করার মতো। বিহারের সদ্য সমাপ্ত বিধান সভা নির্বাচন সে প্রমাণবহ।

ওয়াইসী মাঠে নামায় এবার বিহারে মুসলিম ভোটের ভিন্নচিত্র দেখা গেছে। বিহারের কিছু কিছু এলাকায় মুসলিম ভোট সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেসব স্থান বেছে নিয়ে ২০ জন প্রার্থী দিয়েছিলেন হায়দারাবাদের নেতা সর্বভারতীয় মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসী। পেয়েছেন পাঁচটি আসন। অনেক আসনে দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে দলটি। কোথাও কোথাও তাদের প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে নির্ধারিত হয়েছে বড় দলগুলোর জয়-পরাজয়।

সংক্ষেপে 'মিম' নামে পরিচিত ওয়াইসীর দল যে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, সেখানে মোট ভোটের সংখ্যা চার কোটি, যার মধ্যে 'মীম' পেয়েছে ১.২৪% ভোট। এই ভোটগুলো নির্বাচনের জয়-পরাজয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে।

বিহারের নির্বাচনী বিজয়ের ক্ষেত্রে বিজেপি-বিরোধী ভোটের ভাগাভাগিকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা। বিজেপি আসন বেশি পেলেও বিজয় পেয়েছে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে। বিজেপি-বিরোধী ভোট ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনের ফল হতো অন্য রকম। 'মীম'কে এজন্য দায়ী করছেন কেউ কেউ।

ওয়াইসীর লোকজন অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। তারা মনে করেন, 'বিজেপি বা অন্য দলের লাভের চেয়ে তাদের। নিজেদের লাভ-ক্ষতি নিয়েই তারা বেশি চিন্তিত। নানা দলের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে মুসলিমগণ বছরের পর বছর ভোট দিয়ে অবহেলা, বঞ্চনা ও নির্যাতন ছাড়া কিছুই পান নি। ফলে আমরা নিজেদের জন্য লড়াই করছি। কে জিতলো বা হারলো, সেটা দেখছি না।'

বিজেপি-বিরোধী ভোট বিভক্ত করা প্রসঙ্গে 'মীম'র বক্তব্যও স্পষ্ট। দলের মুখপত্ররা বলছেন, 'আমরা বিজেপি বিরোধী জোটে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। আমাদের নেওয়া হয়নি। তাহলে ভোট ভাগ করলো কারা? বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে লড়তে চেয়েও আমরা পারিনি। তাই আমাদের আলাদা লড়তে হয়েছে।' 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে বা বিপক্ষে প্ররোচিত করে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটকে ব্যবহারের রেওয়াজ পুরনো। বার বার তাদেরকে ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে। অথচ ভারতে সবচেয়ে দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ সম্প্রদায় হলো মুসলিমগণ। মুসলিমগণ এখন আর অন্ধের মতো নানা দলকে ভোট দিতে নারাজ। তারা নিজেদের রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাটি খুঁজছেন। ওয়াইসীর মধ্যে নিজেদের পরিচিতি ও অধিকারের জায়গা পাচ্ছেন তারা।

ওয়াইসী দীর্ঘ বছর নির্বাচিত হয়ে আসছেন আগের অন্ধ ও বর্তমানের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দারাবাদ থেকে। তার কাজের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, উন্নয়নের বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। তিনি এবার তার নিজের এলাকার বাইরে পিছিয়ে থাকা মুসলিম এলাকাগুলোতে কাজ শুরু করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থীও দিচ্ছেন। বিহারের আগে মহারাষ্ট্রেও তার প্রার্থী জয় পেয়েছেন। সামনে তিনি আসাম, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেও প্রার্থী দেবেন বলে ঘোষণা দিয়ে কাজ করছেন।

অনেকে মনে করেন, ওয়াইসী মাঠে নামলে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন ২০২১ সালের বিধান সভা ভোটের চেহারা বদলে যাবে। মুসলিম ভোট পেয়ে অতীতে যারা সহজে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারা এবার সুযোগ হারাবেন। লাভ হবে বিজেপির। এক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার বিকল্প নেই এবং এতে ওয়াইসীর পক্ষে সংগঠিত মুসলিম ভোটারদের কার্যকরভাবে আসন বণ্টনের নিরিখে খুশি করেই কিছু করতে হবে। একতরফাভাবে সাম্প্রদায়িকতার ভয় দেখিয়ে বা মিত্রতার প্রদর্শনী করে মুসলিম ভোট হাতিয়ে নেওয়া ওয়াইসীর রাজনৈতিক উত্থানের কারণে এবার হয়ত সম্ভব হবে না, এমনটিই অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।

   

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

;