শুভ চীনা নববর্ষ ২০২১



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শুভ চীনা নববর্ষ ২০২১

শুভ চীনা নববর্ষ ২০২১

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ চীনা নববর্ষ ২০২১। চীন সহ বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর চীনা নববর্ষ উদযাপিত হয়। চন্দ্র নববর্ষ এবং বসন্ত উৎসব হিসাবে পরিচিত, এই অনুষ্ঠানটি আজ শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে, চলবে বেশ কিছু দিন। প্রতিবছর অনুষ্ঠিত এই নববর্ষ ইভেন্টটি রাশিচক্রের অন্তর্ভুক্ত একটি নির্দিষ্ট প্রাণীর উপর ভিত্তি করে তৈরি। গত বছর যেখানে এই উৎসবটি ইঁদুরের উপর ভিত্তি করে ছিল, এবার এটি ষাঁড়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি চীনা নববর্ষ ২০২১।

চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে।

চন্দ্র বর্ষের প্রথম দিনটিকে চীনারা নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকে। এই উৎসবকে বলা হয় 'চুন জি'। চীনারা তাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে। নতুন বছর আসলে কোন তারিখ থেকে শুরু হবে এর কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। কারণ এই তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তন হয়! এ বছর ফেব্রুয়ারির বারো তারিখ চীনের নতুন বছর শুরু হলো। ওদের নববর্ষ আর বসন্ত দু’টোরই আগমন হয় একই সময়ে। উৎসব শুরু হয় বছরের শেষ মাসের মাঝামাঝি, শেষ হয় নতুন বছরের প্রথম মাসে। এই উৎসবকে তারা বসন্ত উৎসবও বলে থাকে।

ব্যাংককে চীনা নববর্ষ পালন

চীনের নববর্ষ তাদের নিজস্ব রীতিতে হয়। নতুন বছরকে তারা একটি প্রাণীর নামে নামকরণ করে থাকে। নির্দিষ্ট ১২টি প্রাণীর নাম ঘুরেফিরে রাখা হয় একেক বছর। এ বছরকে চীনা ক্যালেন্ডারে ষাঁড় বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাকি ১১টি প্রাণী হচ্ছে: ইঁদুর, বাঘ, খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, ভেরা, মোরগ, বানর, ভল্লুক এবং শূকর। নববর্ষের আনন্দ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রাণীর যোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে চীনা নববর্ষে। চীনে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ তাদের পরিবারের সাথে নতুন বছর উদযাপনের জন্য বহু পথ পাড়ি দেয়। বছরের এই সময়টাতে চীনে এতো মানুষ ভ্রমণ করে যে এটাকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় বার্ষিক মনুষ্য ভ্রমণ বলে আখ্যা দেয়া হয়। দীর্ঘদিন জমজমাট বসন্ত পালনের পর যে যার স্থানে ফিরে যান। একে বলা হয় চুনইয়ুন। .

উৎসব শুরুর আগে নিজেদের বাড়িঘর পরিষ্কারের ধুম পড়ে যায় চীনের ঘরে ঘরে। অনেক বাড়িতে বিশেষ করে দরজা, জানালায় লাল রঙের নতুন প্রলেপ দেয়া হয়। লাল রঙের গৃহসজ্জা সামগ্রী, বিশেষ ঐতিহ্যবাহী প্রবাদ, উপদেশ ও ধর্মীয় বাণী বা চিহ্নসংবলিত লাল ব্যানারে ভরে ওঠে চীনের বাড়িঘর। বেইজিংয়ের হোইহাই হ্রদে মন্দিরের মেলায় ভিড় জমান উৎসাহীরা। নববর্ষের প্রথম দিনে ধর্মীয় আচার দিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসব গড়ায় ১৫ দিন পর্যন্ত। শেষ হয় ১৫তম সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্ব্বলন উৎসবের দিনে। চীনারা বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। সিংহনাচ, লাল লণ্ঠন, পটকা, আতশবাজি, লাল কাপড় আর বিভিন্ন রকমের খাবার থাকে উৎসব উৎযাপনে। বিশাল ভোজ, পথঘাট সাজসজ্জার পাশাপাশি দেশটির অধিবাসীরা নতুন সাজে নিজেদের সাজিয়ে নেন। লাল খামে করে বাচ্চাদের টাকা দেয়া হয় বর্ষবরণ উৎসবে। লাল প্যাকেটে কমলা লেবু উপহার দেয়া হয় পরষ্পরকে। আর বাজি পোড়ানো হয় ভূতপ্রেত তাড়ানোর জন্য৷ চিনের প্রাচীরের একটি অংশে এই দিন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উহান, চীন

Gong xi fa cai... চাইনিজ ভাষায় এই বাক্যটির অর্থ হল "নতুন বছর আপনার জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনুক বা শুভ নববর্ষ।" লুনার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চাইনিজদের নিউ ইয়ার বারো ফেব্রুয়ারি থেকে। চাইনিজ সম্প্রদায় তাদের ঘরবাড়ি, কর্মস্থল, রাস্তাঘাট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ অশুভ আত্মা থেকে রক্ষার জন্য ঐতিহ্যবাহী লাল রঙ্গে সজ্জিত করে। চারপাশটা যেন লালে লালে ছেয়ে যায়। চাইনিজ নিউ ইয়ারে শপিংমল, রাস্তায় এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে টানা কয়েকদিন ধরে চলে আতশবাজি এবং লায়ন- ড্রাগন নৃত্য। পরিবার-পরিজন, বন্ধু- বান্ধব নিয়ে আনন্দে পালন করে গং সি ফা চাই।দুইহাত জোড়া করে একটু মাথা নুয়ে একজন আরেকজনকে বলেন, ‘গং সি ফা চাই’। একজন আরেকজনের সুখি ও সমৃদ্ধ নতুন বছর কামনা করে।চাইনিজরা যাদের নারী-পুরুষ যাদের বিয়ে হয়েছে, তারা ছোটদের "আমপাও" দেয়।আমরা যেটাকে সেলামী বলি। আমপাও দেয়ার জন্য আছে রঙিন প্যাকেট।এই প্যাকেটে কিছু স্থানীয় মুদ্রা দিয়ে মুখ আটকিয়ে দেয়। কমলার সাথেও যেন চাইনিজ নিউ ইয়ারের কোন একটা সম্পর্ক আছে।চিনারা এই সময়ে একে অপরকে প্যাকেট-প্যাকেট কমলা উপহার দেয় যা লাল রঙের কোন আবরণে মোড়ানো। চাইনিজদের সবচেয়ে বড় ও প্রানের উৎসব এই ‘চাইনিজ নিউ ইয়ার’।

   

ইমরান-বুশরার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের একটি জবাবদিহি আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)  আদালত এ আদেশ দেন বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালত আদেশে বলেছেন, ইমরান খান সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছেন। এটি বিচার বিভাগের মর্যাদাকেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত করেনি; বরং ন্যায়বিচার প্রদানের মতো বিচারিক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত করেছে।

একই সঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর করা ‘রাজনৈতিক বা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী’ মন্তব্য গুরুত্ব দিয়ে প্রচার না করতেও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আদালত।

আল–কাদির ট্রাস্ট মামলায় সুষ্ঠু বিচারের অনুরোধ জানিয়ে করা এক আবেদনের নিষ্পত্তিকালে আদালতের বিচারক রানা নাসির জাভেদ পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান ও তার স্ত্রীর ওপর ‘প্রতিষ্ঠানের’ বিরুদ্ধে কথা বলার বিষয়ে ওই নিষেধাজ্ঞা দেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, ইমরান খান সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছেন। 

এটি বিচার বিভাগের মর্যাদাকেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত করেনি; বরং ন্যায়বিচার প্রদানের মতো বিচারিক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত করেছে।  

আদালতের মর্যাদা ব্যাহত করতে পারে এমন রাজনৈতিক বা উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আইনজীবী দল, ইমরান খান ও তার স্ত্রী এবং তাদের পক্ষের কৌঁসুলিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আদালত। 

;

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;