নথি ফাঁস: সাংবাদিকের মেইল–ফোন রেকর্ড জব্দ করবে না যুক্তরাষ্ট্র
তথ্য বা নথি ফাঁসের তদন্তের ক্ষেত্রে সাংবাদিকের ই–মেইল ও ফোনের রেকর্ড আর জব্দ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিচার বিভাগ সম্প্রতি এ ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এমন সময় এই ঘোষণা এল- যখন তথ্য ফাঁসের তদন্তে সাংবাদিকের তথ্যদাতাদের চিহ্নিত করতে তাদের ই–মেইল ও ফোন রেকর্ড জব্দ করার ঘটনা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন বিচার বিভাগের ওই ঘোষণা নীতিগত বড় পরিবর্তন বলেই মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের জনসংযোগ পরিচালক অ্যান্থনি কোলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুসারে দীর্ঘদিনের চর্চায় পরিবর্তন এনে বিচার বিভাগ তথ্য ফাঁসের তদন্তে সাংবাদিকের তথ্যদাতার তথ্য জানতে তাকে আইনি বাধ্যবাধকতায় ফেলার চর্চা আর অনুসরণ করবে না।
বিচার বিভাগের এই ঘোষণার এক দিন আগেই মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, সংবাদপত্রটির শীর্ষ এক আইনজীবী বের করেছেন যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় বিচার বিভাগ নিউইয়র্ক টাইমসের চার সাংবাদিকের ই–মেইল তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছে। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরও এই চেষ্টা অব্যাহত ছিল। এ ছাড়া সম্প্রতি আরও জানা যায়, বিচার বিভাগ গোপনে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, সংবাদপত্রটির আইনজীবী ডেভিড ম্যাকক্রাও বলেছেন- চলতি বছরের গোড়ার দিকে বাইডেন প্রশাসন নিউইয়র্ক টাইমসের কয়েকজন শীর্ষ নির্বাহীর কাছে সংবাদপত্রটির সাংবাদিকদের ই–মেইল তথ্য জানতে চায়। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধের মুখে ওই নির্বাহীরা বিষয়টি বার্তাকক্ষ এবং পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদককে জানাতে পারেননি। এই আইনজীবী গত শুক্রবার আরও জানান, নিউইয়র্ক টাইমসের ই–মেইল ব্যবস্থা ব্যবস্থাপনা করে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে নিউইয়র্ক টাইমসের চার সাংবাদিক ম্যাট আপুজ্জো, অ্যাডাম গোল্ডম্যান, এরিক লিচব্লু এবং মাইকেল স্কিমিটের ই–মেইল তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করেছিল বিচার বিভাগ।
এরপর শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, শুক্রবার রাতের আগে হোয়াইট হাউসের কেউই ওই বিষয়ে অবগত ছিলেন না। এর কারণ, ফৌজদারি অপরাধের মামলার তদন্তে বিচার বিভাগ পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। তিনি আরও বলেন, ফৌজদারি অপরাধের তদন্তে হোয়াইট হাউস হস্তক্ষেপ করে না।