৯/১১ হামলার গোপন নথিতে যা আছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার প্রথম নথি প্রকাশ করল দেশটির ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) হামলার ২০ বছর পূর্তিতে ওই নথি প্রকাশ করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিমান নিয়ে হামলা এবং বিমান ছিনতাইকারীদের সৌদি আরবের সহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে ওই তদন্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাহী আদেশের পর নথি প্রকাশ করলো এফবিআই।

হামলায় নিহতদের স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে নথিগুলো প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে আসছিলো। তাদের মধ্যে অনেকের ধারণা ছিল সৌদির কর্মকর্তারা আগে থেকেই হামলার বিষয়ে জানতো কিন্তু তারা হামলা বন্ধ করার চেষ্টা করেনি।

বিজ্ঞাপন

এফবিআই’র ২০১৬ সালের এসব নথিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের সৌদি কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তা এবং একজন সৌদি গোয়েন্দা এজেন্ট সেদিনের হামলায় ব্যবহৃত উড়োজাহাজ ছিনতাইকারীদের অন্তত দুজনকে যানবাহন সহযোগিতা করেছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে এফবিআইয়ের করা তদন্তের বিস্তারিত রয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসকারী সৌদি শিক্ষার্থী ওমর আল-বিয়ুমী ওমর আল-বেয়ুউমী সম্পর্কিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও অন্যান্য যোগসূত্রের বিস্তারিত রয়েছে এই নথিতে। যার ফলে ওমর আল-বিয়ুউমীকে সৌদি আরবের গোয়েন্দা এজেন্ট হিসেবে সন্দেহ করে এফবিআই।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির নথির বর্ণনায় দুজন উড়োজাহাজ ছিনতাইকারীকে ভ্রমণে সহায়তা, থাকার ব্যবস্থা ও অর্থায়নে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন সৌদি শিক্ষার্থী ওমর আল-বিয়ুউমী।

ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাস গত বুধবার এফবিআইয়ের যেকোনো নথি প্রকাশকে স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় সৌদি আরবের জড়িত থাকার দাবিও মিথ্যা বলে উল্লেখ করে সৌদি দূতাবাস।

অন্য দিকে, মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যেরা গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার আবেদন জানান। তাঁদের দাবি, এফবিআই মিথ্যা বলেছে অথবা উড়োজাহাজ ছিনতাইকারীদের সঙ্গে সৌদি আরবের যোগসূত্র প্রমাণকারী আলামত ধ্বংস করে ফেলেছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নথিগুলো প্রকাশের উদ্দেশে পর্যবেক্ষণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে নির্দেশ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলা চালায় দেশটি। দুই দেশেরই সরকারের পতন ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের সেই হামলায়। দুই দেশে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ সময়ব্যাপী ‘যুদ্ধে’ কয়েক লাখ সামরিক ও বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।