১৮৯ আরোহী নিয়ে জাভা সাগরে বিমান বিধ্বস্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চলছে  /ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চলছে /ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরের ওপরে লায়ন এয়ারের একটি বিমান ১৮৯ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর পানিতে পড়ে ডুবে গেছে। ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও এ দুর্ঘটনায় এখনো কেউ বেঁচে আছেন কিনা জানাতে পারছেন না দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা সোমবার আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, জাকার্তা থেকে সুমাত্রা যাওয়ার পথে লায়নের একটি যাত্রীবাহী বিমান জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, বিমানটিতে ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিল। উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর স্থানীয় সময় সাড়ে ৬টায় বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

বিমান ট্র্যাকিং সেবাদাতা ফ্লাইটর‌্যাডার ২৪ জানায়, বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠের এক হাজার ১১৩ মিটার ওপর দিয়ে পাড়ি দিয়ে রাজধানী থেকে সুমাত্রার পংকল পিনাং যাচ্ছিল।

ইন্দোনেশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপত্র ইয়োহানেজ সিরাইত জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে পাইলট খুব দ্রুত বিমানবন্দরে ফিরতে অনুরোধ করেছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/29/1540801718240.jpg

সিরাইত বলেন, ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল পাইলট সে অনুমতি দিয়েছিল, কিন্তু তারপরই বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’

অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ সিয়াগি জানান, বিমানটি যেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সেখানে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে সিয়াগি বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না সেখানে কেউ বেঁচে আছেন কিনা। আমরা আশা করি, প্রার্থনা করি কিন্তু এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় এয়ারএশিয়া’র একটি বিমান সাগরে নিমজ্জিত হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা। ঐ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৬২ জনের সবাই প্রাণ হারান।

লায়ন যাত্রীবাহী বিমানে তিন শিশুসহ ১৮১ আরোহী ও আট জন ক্রু ছিল। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ডুবে গেছে।

ধ্বংসাবশেষ পাওয়া স্থানে ডুবুরিদের কাজে লাগানো হয়েছে। সাগরের সেখানে জীবনরক্ষাকারী জ্যাকেট ও মোবাইল ফোন ভাসতে দেখা যায়।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা জানায়, বিমানটি পশ্চিম জাভার সাগরে পতিত হয়েছে, যেখানে পানির গভীরতা ৩০ থেকে ৩৫ মিটার।

দেশটির পরিবহণ নিরাপত্তা কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, তিনি বিমানটির বিধ্বস্থ হওয়ার কোনো কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।

সুয়েরজানতো জাজনো বলেন, ‘কন্টোল টাওয়ার থেকে বিমানটি যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করব। বিমানটি খুবই আধুনিক মানের, এটি চলার সময় তথ্য প্রেরণ করে এবং আমরা এটিও পর্যালোচনা করব। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্লাকবক্স।

ফ্লাইটর‌্যাডার ওয়েবসাইট দেখায় যে বিমানটি উড্ডয়নের সময়ই দক্ষিণ দিকে বাঁক নিচ্ছিল। এরপর জাভা সাগরের ওপরে উপকূলের অদূরে যাত্রাপথ শেষ করার আগে উত্তর দিকে এগোচ্ছিল।

ফ্লাইটর‌্যাডার জানায়, সাগরে পতিত হওয়ার আগে বিমানটি একবার এক হাজার ৫২০ মিটার উচ্চতায় ওঠে। রেকর্ড অনুসারে বিমানটি সর্বশেষ এক হাজার ১১৩ মিটার উচ্চতায় ছিল এবং গতি ৩৪৫ নটে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পার্টামিনা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, সাগরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের পাশেই বিমানের আসনসহ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

দেশটির টেলিভিশনে দেখা যায়, পংকল পিনাং বিমানবন্দরের বাইরে কয়েকশত মানুষ অপেক্ষা করছেন।

বিমান দুর্ঘটনা অনুসন্ধানকারীদের মতে, গত আগস্টে লায়ন বিমানে বোয়িংটি অন্তর্ভুক্ত হয়। এ পর্যন্ত বিমানটি ৮০০ ঘণ্টা উড্ডয়ন করেছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ী বহুল বিক্রিত বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এর উন্নত সংস্করণ এ বিমানের এটিই প্রথম কোনো দুর্ঘটনার খবর। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত বোয়িং ৭৩৭ যাত্রা শুরু করে।

টুইটারে বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানায়, বিধ্বস্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বোয়িং খুবই সতর্ক ছিল এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এ ঘটনায় সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহণ নিরাপত্তা বোর্ড। এক্ষেত্রে তারা বোয়িং ও যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএফএম এর কারিগরি পরামর্শ নেবে।

লায়ন এয়ার হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে নতুন ও বড় বিমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, এটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে।

 

   

যুক্তরাজ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক শনাক্তের নতুন উদ্যোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণের দিকে ঝোঁক বাড়িয়েছে। এর আওতায় শিগগিরই পুনর্ব্যবহারের প্যাকেজিং শনাক্তে নতুন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে চেইন স্টোর ব্র্যান্ড মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সর। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে পানীয়ের বোতল, কার্টন ও অন্যান্য প্লাস্টিকের প্যাকেজিংয়ের গন্তব্য সহজে খুঁজে বের করা যাবে। 

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পলিট্যাগ নামের সংস্থাটির প্যাকেজিংয়ে অদৃশ্য ট্যাগ প্রিন্ট করা থাকে। এতে থাকা বার্তা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার কেন্দ্রে থাকা ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলো পড়তে পারে। যার মাধ্যমে একক ব্যবহারসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ অদৃশ্য ট্যাগ-সংবলিত পণ্য তিন মাসের মধ্যে এমঅ্যান্ডএসের তাকে পাওয়া যাবে।

এর আগে সিস্টেমটির বিভিন্ন দিক কো-অপ, অ্যালডি ও ওকাডোর মতো চেইন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গভাবে কোনো স্টোরে এর ব্যবহার হচ্ছে।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও উত্তর লন্ডনের এডমন্টনে পুনর্ব্যবহারের স্থাপনায় ট্যাগ পড়তে পারে এমন যন্ত্র ইনস্টলেশনের জন্য অর্থায়ন করবে এমঅ্যান্ডএস। এরই মধ্যে ওয়েলশ সরকার তিনটি কেন্দ্রে এ ধরনের যন্ত্র ইনস্টলেশনের জন্য অর্থায়ন করছে।

এক বছরের মধ্যে ১২টিরও বেশি কেন্দ্রে কাজ করার লক্ষ্য নিয়েছে বলে জানিয়েছে পলিট্যাগ। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের গৃহস্থালি থেকে প্লান্টে যাওয়া একক ব্যবহারের প্লাস্টিক বর্জ্যের অর্ধেকই তাদের আওতায় আসবে। আশা কারা হচ্ছে, বাজারের অন্য খুচরা পণ্য বিক্রেতারা পুনর্ব্যবহার কেন্দ্রে অর্থায়ন করবে। এ ধরনের ৪৮টি কেন্দ্রে যুক্ত হলে ৯৫ শতাংশ পরিবারের বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্পের আওতায় আনা যাবে বলে জানিয়েছে পলিট্যাগ।

এদিকে আগামী বছর থেকে এক্সটেনডেট প্রডিউসর রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) নামের নতুন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। এতে খুচরা বিক্রেতাদের প্লাস্টিকের ব্যবহারের জন্য আলাদা ফি দিতে হবে।

ইপিআরের আওতায় খুচরা বিক্রেতারা পণ্যে ব্যবহৃত প্যাকেজিংয়ের তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাতে বাধ্য। মূলত উন্নত পুনর্ব্যবহারযোগ্য অবকাঠামো নির্মাণে বিক্রেতাদের দেয়া ফির একটি অংশ ব্যবহার হবে। পলিট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা এ ফি থেকে কিছুটা ছাড়ও পেতে পারেন।

পলিট্যাগের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস র‌্যাকলি বলছেন, ‘এ ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিকের পাত্র ও বোতল বাছাই করতে সহায়তা করবে। রাসায়নিকের মাধ্যমে দূষিত হয় এমন সামগ্রীর চেয়ে খাবারের প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের গুরুত্ব বেশি। পলিট্যাগের মাধ্যমে এগুলো আরো সহজে আলাদা করা যেতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌পণ্যে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সঠিকভাবে রিসাইকেল করা হয়েছে তা দেখানোর মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হবেন। এটি কম ইপিআর ফি দেয়ার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। শনিবার (১৮ মে) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, ইরানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের উর্মিয়া কারাগারে মাদকের বিভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাঁচজন পুরুষের সঙ্গে দুজন নারীর মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পারভীন মোসাভি নামের দুই সন্তানের এক জননীও রয়েছেন।

এ ছাড়া নিসাপুরে ফাতেমিহ আব্দুল্লাহি নামের অপর এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।

আইএইচআর জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইরানে ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে পার্সিয়ান নববর্ষ এবং রমজানের ছুটির শেষে একটি নতুন ঢেউ শুরু হয়েছিল। তখন থেকে ১১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন নারী রয়েছেন।

এদিকে আগামীকাল সোমবার (২০ মে) এক ইহুদি যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে ইরান। ইরান হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম আরভিন ঘহরেমানি। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কামরান শেখেহ নামের এক কুর্দি নাগরিকও একই ঝুঁকিতে রয়েছেন।

;

রাশিয়ার বিরুদ্ধে খারকিভ হামলার অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে নতুন করে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। শনিবারের (১৮ মে) এসব হামলায় শিশুসহ অন্তত ছয় বেসামরিক আহত হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রসিকিউটরেরা জানিয়েছেন, খারকিভের আঞ্চলিক রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার বিমান হামলাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন তারা। রুশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোভচানস্ক শহরে হামলায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া তিন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে।  

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার পুনঃআক্রমণ মোকাবিলায় তার দেশের সেনাদের সাফল্যের কথা জানিয়েছেন। এক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘খারকিভ অঞ্চলে আরও শক্ত অবস্থানে রয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ ছাড়া পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের চাসিভ ইয়ার শহরের চারপাশে রুশ হামলা প্রতিহত করা হচ্ছে। আমাদের সেনারা রাশিয়ার ২০টিরও বেশি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে।’

এদিকে বেসামরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। দেশটির বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

গত সপ্তাহে বেলগোরোদে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে  ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। শনিবার বেলগোরোদের আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় পেট্রোভকা গ্রামে একজন নারী ও একজন পুরুষ আহত হয়েছেন।

;

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;