জলবায়ু প্রতিবেদন পরিবর্তনে ধনী দেশগুলোর তদবির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন পরিবর্তনে বিভিন্ন দেশের চেষ্টাসংবলিত একটি নথি ফাঁস হয়েছে। নথিতে দেখা গেছে, জলবায়ু প্রতিবেদন পরিবর্তনে তদবির করছে ধনী দেশগুলো।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি নিউজ ওই নথি জনসমক্ষে আনে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা গেছে, সৌদি আরব, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশ জাতিসংঘকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দ্রুত সরে যেতে তদবির চালাচ্ছে।

ফাঁস হওয়া নথিতে আরও দেখা গেছে, ধনী দেশগুলো সবুজায়ন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোকে দেওয়া অনুদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। ধনী দেশগুলোর এমন ‘তদবির’ আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ‘সিওপি২৬’ জলবায়ু সম্মেলনকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

ফাঁস হওয়া নথি থেকে আরও জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কয়েক দিন আগেই জাতিসংঘের সুপারিশ প্রত্যাহার করে উল্টো জীবাশ্ম জ্বালানি বহাল রাখার মতো প্রস্তাব করবে দেশগুলো।

বিবিসি জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বের করতে জাতিসংঘের একদল বিজ্ঞানী একটি প্রতিবেদন তৈরি করছেন। সরকার, কোম্পানি এবং অন্য আগ্রহী অংশীদারেরা এসব নথি জাতিসংঘের একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেলের কাছে উপস্থাপন করেছে।

জাতিসংঘ গঠিত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) প্রতি ছয় থেকে সাত বছরে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন ব্যবহার করেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার নীতি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার।

ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি দেশ এবং সংস্থা যুক্তি দিচ্ছে যে প্রতিবেদনের বর্তমান খসড়ায় যত দ্রুত সুপারিশ করা হয়েছে, তত দ্রুত বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর প্রয়োজন নেই। সৌদি তেল মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা দাবি করেছেন, ‘সব পর্যায়ে জরুরি এবং ত্বরিত প্রশমন কার্যক্রমের প্রয়োজনের’ মতো বাক্যগুলো প্রতিবেদন থেকে বাদ দিতে হবে।

এবারের জলবায়ু সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা। আগেই তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও অস্ট্রেলিয়া সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা প্রয়োজন এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী এবং অস্ট্রেলিয়া প্রধান কয়লা রপ্তানিকারক দেশ।

ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব মাইনিং অ্যান্ড ফুয়েল রিসার্চের একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী সতর্ক করে বলেছেন, কয়লা কয়েক দশক ধরে জ্বালানি উৎপাদনের প্রধান ভিত্তি হিসেবে থাকতে পারে। কারণ, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে মারাত্মক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক দেশ ভারত।

বেশ কয়েকটি দেশ মাটির নিচে কার্বন ডাই–অক্সাইড ধরে রাখা এবং স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য নকশা করা নতুন এবং বর্তমানে ব্যয়বহুল প্রযুক্তির পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি প্রস্তুতকারী বা ব্যবহারকারী বড় দেশ সৌদি আরব, চীন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক কার্বন ধারণ ও সংরক্ষণ (সিএসএস) প্রযুক্তিকে সমর্থন করেছে।

আর্জেন্টিনা, নরওয়ে এবং ওপেকেরও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো নিয়ে আপত্তি রয়েছে। নরওয়ে বলেছে, জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নির্গমন কমানোর সম্ভাব্য হাতিয়ার হিসেবে সিএসএসের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা উচিত।

অস্ট্রেলিয়া আইপিসিসি বিজ্ঞানীদের অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ুর ওপর প্রভাব ফেলতে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের ভূমিকা বিশ্লেষণের একটি রেফারেন্স মুছে ফেলতে বলেছে। আইপিসিসি বলেছে, বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার জন্য সরকারের মন্তব্য মূল বিষয় হলেও লেখকদের প্রতিবেদনে তা যুক্ত করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

জলবায়ুবিজ্ঞান নিয়ে আইপিসিসির কাজ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য জাতিসংঘ ২০০৭ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল।

ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার আপত্তির বিষয়টিও জানা গেছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে মাংস খাওয়া কমানোর কথা খসড়া প্রতিবেদনে রয়েছে। এর বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছে দুটি দেশ। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বিশ্বে গরুর মাংসের পণ্য এবং পশুখাদ্য ফসলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক।

খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা খাদ্যের তুলনায় উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। ব্রাজিল বলছে, এটা ভুল। ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনাও ‘উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য’ বাক্যটিতে পরিবর্তন আনতে বলেছে।

প্রতিবেদনে সুইজারল্যান্ডের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মন্তব্য সংশোধন করতে বলা হয়েছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ধনী দেশগুলোর সহায়তার বিষয়টিতে আপত্তি তুলেছে সুইজারল্যান্ড।

খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ পূর্ব ইউরোপীয় দেশ যুক্তি দিয়েছে, প্রতিবেদনটিতে জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পারমাণবিক শক্তির ভূমিকা বিষয়ে ইতিবাচক হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে। তাদের যুক্তি, প্রায় সব চ্যাপ্টারের পারমাণবিক শক্তির বিরুদ্ধে পক্ষপাত রয়েছে। এ ছাড়া এটি প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি, যা কিছু দেশ ছাড়া রাজনৈতিকভাবেও সমর্থিত।

   

ভারতে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৮৮ আসনে ৬০.৭% ভোট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোট প্রদানের হার ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির ১৩টি রাজ্যের মধ্যে মণিপুর, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার সবচেয়ে কম। সেখানে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ এবং ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

;

ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রায় তিন ঘণ্টা দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন।

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার হবে কি না, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর তা নির্ভর করছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা বা না করা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকে আসা সিদ্ধান্তই আগামী দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের রূপ নির্ধারণ করে দেবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিল গোরশুচ বলেছেন, ‘আমরা একটি যুগের জন্য রায় লিখছি।’

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য যেকোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে তিনি দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য- ট্রাম্পের এমন দাবি নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের এক দিন পর আদালতে মামলাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশেষ এ শুনানি হয়।

ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দায়মুক্তিই হবে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ।

দায়মুক্তির বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারকাজ স্থগিত থাকবে। আগামী জুনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুনানির সময় বিচারপতিরা যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, এতে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভক্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের এমন বিভক্তির জেরে যদি আরও জটিল সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে তা ফৌজদারি এ অভিযোগ নিয়ে ট্রাম্পের বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্বিত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আছেন নয়জন। তাদের মধ্যে রক্ষণশীলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আর উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত বিচারপতিরা সংখ্যালঘু। শুনানিতে করা প্রশ্নে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে উভয় পক্ষের বিচারপতিরা ইতিহাসের দিকে চোখ রেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান।

এখানে দুটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, যদি সম্পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও হত্যা করতে পারবেন? দ্বিতীয়ত, এই দায়মুক্তি না থাকলে মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রেসিডেন্টদের বিচারের মুখোমুখি বা জেলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি করবে কি না?

;

নিখোঁজ থাই মডেলের মরদেহ মিলল বাহরাইনের মর্গে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া থাইল্যান্ডের এক মডেলের মরদেহ বাহরাইনের একটি মর্গে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চায়না টাইমস অনুসারে, ৩১ বছর বয়সি কাইকান কেননাকাম কাজ শেষ হওয়ার পরে তার দেশের বাইরে সুযোগের সন্ধানে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর থাইল্যান্ডে থাকা পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তিন বছর আগে বাহরাইনের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি পেয়ে সেখানে চলে এসেছিলেন।

তিনি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন এবং তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তার বাহরাইনি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিলে হঠাৎ তিনি পোস্ট করা বন্ধ করে দেন। এ সময় তার পরিবার তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়নি।

কাইকানের পরিবার চলতি বছরের জানুয়ারিতে থাই দূতাবাসের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু, তারা তাকে খুঁজে পায়নি।

গত ১৮ এপ্রিল থাই দূতাবাস তার পরিবারকে জানায় যে, একজন অজ্ঞাত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান মহিলার মৃতদেহ সালমানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্সের মর্গে রাখা হয়েছে।

চায়না টাইমস বলেছে, তার পায়ের একটি ট্যাটু দেখে তার পরিবারকে কাইকান কেননাকামকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার মৃত্যুর কারণ অ্যালকোহল বিষক্রিয়া।

ডেইলি স্টারের মতে, কাইকানের পরিবার এখন তার দেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য চাইছে এবং বিশ্বাস করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

কাইকানের বোন সুথিদা নেগারনথাওর্ন ১৯ এপ্রিল একটি অনলাইন পোস্টে বলেছেন, ‘আমার বোন প্রায় দুই বা তিন বছর আগে বাহরাইনে কাজ শুরু করেছিল এবং সেখানে একজন আরব প্রেমিককে পেয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে, আমরা গত বছরের এপ্রিল থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের পরিবার বাহরাইনের থাই দূতাবাসে যোগাযোগ করে এবং চলতি মাসের ১৮ এপ্রিল জানতে পারে যে, তিনি মারা গেছেন।’

;

স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১০ মে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তানের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে সাউদার্থ ক্যালিফোর্নিয়া ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অনেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২৮ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিলেও এই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়েননি। পুলিশের ভাষ্য, নির্দেশ অমান্য করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার ইউএসসি ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৯৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সময়ে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাবুগুলোও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 

বাতিল হওয়া এই স্নাতক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল বিদায়ী মুসলিম শিক্ষার্থী আসনা তাবাসসুমের। এ মাসের শুরুর দিকে ‘নিরাপত্তা হুমকির’ কারণ দেখিয়ে তাঁর বক্তৃতাও বাতিল করে ইউএসসি। এবার অনুষ্ঠানই বাতিল কার ঘোষণা দিল ইউএসসি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করছি। গাজায় ইসরায়েল যে যদ্ধ চালাচ্ছে, তা অন্যায় যুদ্ধ।’

পুলিশ জানিয়েছে, ইমোরি বিশ্বিবিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছেন। পুলিশ বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপরে রাসায়নিক উপকরণ ছুড়েছে।

;