ডান-বাম-বিজেপি একত্রে বিক্ষোভ দেখালেন শাসকের বিরুদ্ধে
কলকাতার ভোট ইতিহাসে এই প্রথম। সিটি নির্বাচনে শাসক দল, তৃণমুলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ তুলে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা একসঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন। তবে বিরোধদের মত, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বারবার শোনা গিয়েছে, জগাই–মাধাই–বিদাইয়ের কথা। অর্থাৎ সিপিআইএম–কংগ্রেস–বিজেপি। এই তিনকেই প্রথম থেকে একসারিতে দাঁড় করিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে তার বাইরে কি করতে পারে।’
রোববার (১৯ডিসেম্বর) ছুটি দিনে কলকাতায় ভোট। সাধারণত এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকেনি কলকাতাবাসী। তবে একুশের সিটি ভোটে এই প্রথম এ ধরনের বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্ত দাবিতে যেনও এন সিলমোহর পড়ে গেল। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা গেল এই তিন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। মিলিতভাবে বিক্ষোভ দেখাল উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার সামনে। তিন বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা একসঙ্গে বসে তারস্বরে স্লোগান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
এদিন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিটি বুথে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন এই তিন দলের কর্মীরা। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ভোট লুঠ করছে। আর সেখানে পুলিশ নীরব দর্শক। এই অভিযোগ তুলে প্রথমে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআইএম। পরে একে একে, একই অভিযোগ তুলে কংগ্রেস এবং বিজেপি পাশে এসে দাড়ায় বামেদের। তখনই তিন দলের মিলিত প্রতিবাদ চলতে থাকে। তৃণমুলের ব্যঙ্গাত্মক শব্দ, ‘প্রতিবেশীর দুঃখে, প্রতিবেশীরায় পাশে এস দাড়ায়। পশ্চিমবঙ্গে তিন দলের পরিস্থিতি এক, তাই এক অপরের গলা জড়িয়ে কাঁদছে।’
তবে শুধু উত্তর কলকাতায় নয়, সিটি ভোটে, জাল ভোট এবং ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনে পথ অবরোধ করে বাম কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় পতাকা হাতে বাঘাযতীন মোড়ে রাস্তায় বসে পড়েন তারা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বামেদের কথা, ‘পুলিশ এখানে যে তৎপরতা দেখালো, বুথে যদি একাংশ দেখাত, তাহলের আমাদের পথে নামতে হত না।’ তবে সেখানে কংগ্রেস-বিজেপিকে অবরোধে সামিল হতে দেখা যায়নি।