গর্ভপাত চেষ্টায় ধর্ষিত তরুণীর ২০ বছরের জেল
মধ্য অ্যামেরিকার দেশ এল সালভাদরে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করায় তাকে ২০ বছরের জেল দিয়েছেন দেশটির আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষণ করে রাস্তায় আন্দোলন করছে দেশটির নারী সংগঠনগুলো।
রোববার (১১ নভেম্বর) গর্ভপাতের দায়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া ইমেলদা কোর্তেজ নামক তরুণীকে ২০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘গার্ডিয়ান’এর এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করে।
২০১৭ সালে সৎপিতা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন ইমেলদা কোর্তেজ। এল সালভাদরের প্রত্যন্ত অঞ্চল সান মিগুয়েলে বসবাস করত কোর্তেজ। সেখানেই নিজ বাড়িতে সৎপিতা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
এরপর গর্ভবতী হলেও সেটা নিজের অজানাই ছিল। পরবর্তীতে গর্ভের সন্তানের বিষয়টি আঁচ করতে পারলেও গর্ভপাতের সুযোগ পায়নি। কারণ দেশটিতে গর্ভপাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সন্তান ভূমিষ্ঠের আগে হাসপাতালে ভর্তি হন এই তরুণী।
হাসপাতালের বাথরুমে গিয়ে গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলার প্রচেষ্টা চালান তিনি। এ সময় হাসপাতালের অন্য আরেকজন রোগী বিষয়টি দেখে ডাক্তারকে ডাক দিলে ডাক্তার পুলিশ নিয়ে আসে। সে সময় বাচ্চাটি সুস্থভাবে জন্ম নিলেও কোর্তেজকে আটক করে পুলিশ এবং গর্ভপাতের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি আদালতের পর্যবেক্ষণে চলে যায়।
আটক হওয়ার এক বছর শেষে এ রায়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছায় দেশটির আদালত। গর্ভপাতের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এই তরুণীকে। কিন্তু ধর্ষণের ভারী বোঝা থেকে মুক্ত হতে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সে জন্যই, দেশটির নারী সংগঠনের সদস্যরা রাস্তায় নেমে এসে এই তরুণীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করেন।