এবার এলো নিউজিল্যান্ড নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠায় এবার নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার নিজ দেশের নাগরিকদের তাৎক্ষিণভাবে ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে নিউজিল্যান্ডের কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নেই তাই সেখানে নিউজিল্যান্ডবাসীকে সহায়তা প্রদানে সরকারের ক্ষমতা খুবই কম।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যে কোনও সময় ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে পারে। তখন স্বল্প সময়ে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।
অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন যে, রাশিয়া যে কোনও সময় ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করতে পারে।
এদিকে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফেরার সময়সীমা বেধে দেয় বাইডেন প্রশাসন।
এরপর শুক্রবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের শিগগির ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই ঘোষণা দিয়েছে কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়া সরকার।
বাইডেন এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমেরিকান নাগরিকদের এখনই চলে যাওয়া উচিত। আমরা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সেনাবাহিনীর সাথে মোকাবিলা করছি। এটি একটি ভিন্ন পরিস্থিতি এবং দ্রুত অবনতি হতে পারে।’
রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। তবে সৈন্য মোতায়েন করা সত্ত্বেও রাশিয়া বারবার ইউক্রেনে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করছে।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ অভিযানের আশংকার মধ্যেই ১০ দিনের এক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া ও বেলারুস। ইউক্রেন অভিযোগ করেছে রাশিয়া সাগরে প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
সৈন্য মোতায়েন প্রসঙ্গে ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনকে যেন কখনও ন্যাটো সদস্য করা না হয় তারা পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে রাশিয়া এর নিশ্চয়তা চায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার বলেছেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ এখন তার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটের সম্মুখীন।