বহু ইতিহাসের সাক্ষী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার রেকর্ড ভেঙে ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি রানির মর্যাদা লাভ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বহু ইতিহাসের সাক্ষী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হিসেবে তার কার্যকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ১৫ জন। আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন ১৪ জন। ব্রিটেনবাসীর কাছে ‘রানি আর রাজতন্ত্র এখন সমার্থক’।

ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনে ক্ষমতার ৭০ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মুকুট মাথায় ওঠে রানি ২য় এলিজাবেথের। বিশ্বের অনেক কিছুর সাক্ষী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রত্যক্ষ করেছেন- সুয়েজ খাল, স্নায়ুযুদ্ধ আর জঙ্গিবাদের মতো বৈশ্বিক সংকট। ঐতিহাসিক কর্মময় জীবনে শুধু ব্রিটেনই নয়; কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজ্যিল্যান্ডসহ কমনওয়েলথভুক্ত ১৫টি দেশের রানি ছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সুদীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকাকালে এলিজাবেথ দেখেছেন বৈশ্বিক রাজনীতির পট পরিবর্তন। তার চোখের সামনেই সৃষ্টি হয়েছে ৯০টির বেশি দেশ। আয়ারল্যান্ড নিয়ে বিবাদ, সুয়েজ খাল নিয়ে উত্তেজনা কিংবা স্নায়ুযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদ ও ব্রেক্সিটের মতো অসংখ্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। দেখেছেন বৈশ্বিক পরিস্থিতি পাল্টে দেয়া বড় বড় ৬টি যুদ্ধও।

এ বছরই রানির সিংহাসনে বসার ৭০ বছর পূর্তি হয়েছে। তবে উৎসব হলেও ঔজ্জ্বল্য ছিল না। কারণ ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন ডিউক অব এডিনবরা। রানির অভিষেকের ৭০ বছর পূর্তিতেও বিতর্ক রানির পিছু ছাড়েনি। সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চার সন্তানের মধ্যে রানির সব থেকে প্রিয় যুবরাজ অ্যান্ড্রু। সেই যুবরাজের বিরুদ্ধে আমেরিকায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সামরিক খেতাব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। হারিয়েছেন রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতা।

বিজ্ঞাপন

বিতর্কের এখানেই শেষ নয়। ছোট নাতি যুবরাজ হ্যারির স্ত্রী মেগান বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ এনেছেন রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে। রাজ পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে আমেরিকায় থিতু হয়েছেন হ্যারি। এ নিয়েও একটি শব্দও করেননি তিনি। করদাতাদের টাকায় এত অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা কেন পাবেন রাজ পরিবারের সদস্যরা, এলিজাবেথের রানি হওয়ার ৭০ বছরে সেই প্রশ্নও উঠেছে। সেই নিয়েও কোনও কথা বলেননি তিনি। আর বলবেনও না। সব প্রশ্ন রেখেই ৯৬ বছরে চলে গেলেন লিলিবেথ।