বন্ধ করে দেয়া হলো শতবর্ষী পত্রিকা মালয় মেইল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪
মালয় মেইলের এডিটর ইন চিফ, ছবি: সংগৃহীত

মালয় মেইলের এডিটর ইন চিফ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্ধ হয়ে গেলো ১২২ বছর ছাপায় থাকা মালয়েশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দ্যা মালয় মেইল’। মূলত ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও অনলাইন পত্রিকার প্রতি মানুষের  ঝুঁকে পড়ার কারণে পত্রিকাটির ছাপার সংস্করণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে এক প্রকার বাধ্য হতে হলো।

‘দ্যা পেপার দ্যাট কেয়ার’ প্রতিপাদ্যে চলা ‘দ্যা মালয় মেইল’ বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলো ফুটবল সংক্রান্ত খবরের জন্য। তবে পাশাপাশি তারা স্থানীয় খবরও প্রকাশ করতো।

কিন্তু ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর পত্রিকাটির ছাপা সংস্করণে নাটকীয়ভাবে বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ হতে থাকে। ফলে ১৯৮০ সনে যে পত্রিকা প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ কপি সার্কুলেশন হত সেটা নেমে আসে মাত্র ২০ হাজার কপিতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/04/1543899076651.gif

ছাপার সংস্করণের এই নাটকীয় অধঃপতন দেখে পত্রিকাটির এডিটর ইন চিফ ওং সাই ওয়াং বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড দুঃখ পেয়েছি ছাপার সংস্করণের এই অধঃপতন দেখে, যা আমাদের বিশ্বাসের বাইরে ছিলো, তবে আমরা চেষ্টা করছি এই জনপ্রিয়তাকে ডিজিটাল ভার্সনে ধরে রাখতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ছাপার ভার্সনের ১৬৫ জন কর্মচারীকে এত দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম ভর্তুকি দিয়েও অন্তত চালু রাখতে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় এই খাতে আরো খরচ করা কোম্পানি সমীচীন মনে করছেনা।

দ্যা মালয় মেইল অনলাইন ভার্সনে প্রতিদিন ৫০ লক্ষ ইউনিক ভিজিটরের কথা উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, ‘আমরা যে সময়মত অনলাইন ভার্সনে চলে গিয়েছিলাম তা ছিলো এক যুগোপোযুগী সিদ্ধান্ত তা না হলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে যেত। যারা এই নতুন প্রযুক্তি সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারবেনা, কোম্পানি তাদেরকে বাধ্য করবে অন্য কোন উপায় খুঁজে বের করতে।’

বর্তমানে দ্যা মালয় মেইলের ৮০ শতাংশ ভিজিটর আসে মোবাইল থেকে যার বেশির ভাগই ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম নির্ভর।

দ্যা মালয় মেইল এর ইতিহাসঃ

১৮৯৬ এর ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হওয়া দ্যা মালয় মেইল মালয়েশিয়ার প্রথম ট্যাবলয়েড পত্রিকা হিসাবে প্রকাশিত হয়ে। ন্যাশনাল লাইব্রেরী বোর্ড অব সিঙ্গাপুর এর রেকর্ড থেকে দেখা যায় জেএইচএম রবসন নামের একজন সরকারী কর্মকর্তা প্রথম ৪ পাতার এ পত্রিকা প্রকাশ করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের অধীনে থাকা অবস্থায় মালয় সিনপোর জায়গা দখল করে সিয়োনান সিনবুন কাই এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত দ্যা মেইল। যুদ্ধকালীন সময়ে প্রকাশ বন্ধ থাকলেও যুদ্ধ শেষে আবার পত্রিকাটি চালু হয়।

কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে এসে জৌলুস হারাতে শুরু করে পত্রিকাটি। পূর্বে যে পত্রিকা ১০০ মিলিয়ন রিঙ্গিতের ব্যবসা করতো ধীরে ধীরে তার পরিমাণ কমতে শুরু করে।

ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ২০০৮ সাল থেকে দ্যা মালয় মেইলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ নানা ধরনের ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কিছু ফ্রি কপি দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ম্যাগাজিন ‘মালয়সিয়াকিনি’ এর সাথে কন্টেন্ট ভাগাভাগি করা শুরু করে। কিন্তু কিছুতেই যেন ছাপার পত্রিকার বাজার ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/04/1543899105647.gif

ডিজিটাল কন্টেন্ট এর সাথে পাল্লা দিতে সর্বশেষ ২০১৩ সালে ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়। অতিদ্রুত পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন চালু করার।

অনলাইনের জনপ্রিয়তাকে লক্ষ্য রেখে দ্যা মালয় মেইলের অনলাইন ভার্সনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক লেসলি লাউ বলেন, ‘সব পত্রিকারই এই ভাগ্য মেনে নিতে হবে। কিন্তু আফসোসের বিষয় অনেক পত্রিকা মালিকপক্ষ এই কথাটি বুঝতে পারছেনা। নতুন প্রযুক্তির আশীর্বাদ আমাদের মেনে নিতে হবে, আমাদের মনে রাখতে হবে অনলাইনই ভবিষ্যৎ।’

নতুন ব্যবসা মডেলর কথা উল্লেখ করে লেসলি বলেন, ‘এখন আমাদের শুধু কন্টেন্ট তৈরির দিকে মন দিলেই চলবেনা, টিকে থাকতে হলে আমাদের একটি ডিজিটাল মিডিয়া গ্রুপও তৈরি করতে হবে। যেখানে নানাবিধ জিনিস থাকবে।

তিনি বলেন, বর্তমান বাজার এখন খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তবে ‘দ্যা মালয় মেইল’ এখনো দেশের সেরা ৫ টি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি। আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, আমদের সব পাঠকই বুড়ো। তাই তরুণদের মধ্যে এই পত্রিকা সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করতে শুধু কন্টেন্ট নয় মাল্টিমিডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে’।

এডিটর ইন চিফ ওয়াং এর দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি পত্রিকা তৈরিতে ১ রিঙ্গিত আয়ের বিপরীতে খরচ পড়ছিল ২.৭৫ রিঙ্গিত। তাই অনলাইনের বিকল্প এখন আর কিছুই নেই বলে যুক্ত করেন তিনি।

   

ইয়েমেন উপকূলে তেল ট্যাঙ্কারে হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ইয়েমেন উপকূলে গ্রীকের একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এ কথা জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় সেন্টকম বলেছে, ১৮ মে রাত ১টার (সানা সময়) দিকে ইরান-সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরে গ্রীক মালিকানাধীন একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে জাহাজ বিধ্বংসী একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জাহাজটি পানামা পতাকাবাহী ছিল।

সেন্টকমের বার্তায় বলা হয়, জাহাজটি সম্প্রতি রাশিয়ায় নোঙর করে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।পরে জাহাজটি ফের যাত্রা শুরু করে।

এরআগে মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে এ হামলার কথা জানিয়ে বলেছিল, ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মোখা নগরী উপকূলে জাহাজটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

;

নেতানিয়াহুকে গ্যান্টজের হুমকি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরােয়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধর্মান্ধের পথ ছেড়ে জাতির স্বার্থ রক্ষার কথা বলেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। তিনি গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা না থাকলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজার জন্য ৮ জুনের মধ্যে ছয়টি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনার দাবি করেছেন গ্যান্টজ।

গ্যান্টজের এ ধরনের মন্তব্য ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও নেতানিয়ানহু সরকারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ফাটলের চিত্র তুলে ধরেছে। গ্যান্টজ গাজায় ৬ টি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৮ জুনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা করার ওপরও জোর দেন । যার মধ্যে আছে গাজায় হামাস শাসনের অবসান এবং অঞ্চলটিতে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, ‘‌নেতানিয়াহু যদি জাতীয় বিষয়কে ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপর স্থান দেন, তাহলে এ সংগ্রামে আমাদের পাশে পাবেন। কিন্তু তিনি যদি ধর্মান্ধের পথ বেছে নেন এবং পুরো জাতিকে অতল গহ্বরে নিয়ে যান, তাহলে আমরা এ সরকার ছাড়তে বাধ্য হব। ’

অবশ্য নেতানিয়াহু তার এই মন্তব্যকে ফালতু কথা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর অর্ধ ইসরায়েলের পরাজয়।

এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন গাজায় বেসামরিক ও সামরকি শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসরায়েলের যে কোনো পরিকল্পনা নেই তা যেন নেতানিয়ানহু জনসম্মুখে বলেন।

;

‘একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক’ রোধে কানাডায় প্রশাসনিক চাপ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্বের প্রায় সব মহাসাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন দেশে নেওয়া হচ্ছে আইনি বা বিকল্প ব্যবহারযোগ্য পণ্যের উৎপাদনের পদক্ষেপ।

সম্প্রতি কানাডার পার্লামেন্টে প্লাস্টিক দূষণ রোধের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কনজারভেটিভ দল থেকে আবারও দাবি তোলা হয়। এর আগে ২০২০ সালে প্রথম দাবিটি তোলা হয়েছিল। দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিসির প্রতিবেদনে সে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

মূলত, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক হল ডিসপোজেবল প্লাস্টিক যা একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়। পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের পানীয়ের বোতল ও বোতলের ক্যাপ, খাবারের মোড়ক, প্লাস্টিকের প্যাকেট, প্লাস্টিকের মোড়ক, স্ট্র, স্টিরার্স, স্টাইরোফোমের কাপ বা প্লেট, এয়ারবাড, প্লাস্টিকের কাপ-প্লেট-চামচ-গ্লাস-ছুরি, ট্রে, মিষ্টির বাক্স বাঁধার রিবন, থার্মোকল, স্টিয়ারার, সিগারেটের প্যাকেট, আইসক্রিম ও ক্যান্ডি স্টিক ইত্যাদি হল একক-ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক।

সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়,  টরন্টো ইউনিভার্সিটি অব আর্থ সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মরিয়ম ডায়মন্ড বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি  প্লাস্টিক উৎপাদন করেছি যা শেষ পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ন্যানোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে পরিবেশকে দূষিত করছে এবং এতে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে।’

ডায়মন্ড বলেছেন, বৃহত্তর পরিবেশ ঝুঁকির আশঙ্কাকে প্রাধান্য না দিয়ে প্লাস্টিকের এমন অধিক ব্যবহার দেখে  তিনি উদ্বিগ্ন। 

ডায়মন্ড সায়েন্টিস্ট কোয়ালিশন ফর অ্যান ইফেক্টিভ প্লাস্টিক ট্রিটির সদস্য এবং রাসায়নিক দূষণের আন্তর্জাতিক প্যানেলেরও ভাইস-চেয়ার। তার পরামর্শ হল- তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও প্লাস্টিক স্ট্র পরিহার করতে হবে। যাদের  শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারা ছাড়া বাকিদের স্ট্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন তিনি।  প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করার কোনো দরকার নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কনজারভেটিভ দলের এমপি কোরি টোচর গত মাসে হাউস অফ কমন্সে সি-৩৮০ বিল নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কানাডিয়ান এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন অ্যাক্টের অধীনে বিষাক্ত পদার্থ হিসেবে উৎপাদিত প্লাস্টিক আইটেমগুলোকে তালিকাভুক্ত করে সেসব নিধনের পদক্ষেপ নেওয়াটা জরুরি। 

অবশ্য এমন একটি তালিকা এরই মধ্যে করা হয়েছে যার অন্যতম উপাদান এই একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক। এই তালিকাটি ছিল ফেডারেল সরকারের একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ, যা বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া পদক্ষেপ।

হাউসে টোচরের বিল নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পাঁচ দিন পরে, কনজারভেটিভ এমপি ব্র্যান্ডেন লেসলি একটি আট মিনিটের ভিডিও পোস্টে বলেন, পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহার বাড়াতে হবে। কেনাকাটা, খাওয়া, সমুদ্রে ভ্রমণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্লাস্টিক এড়িয়ে এর বিকল্প ব্যবহারে ঝুঁকতে হবে।

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স এবং পরিবেশগত গবেষণার স্কুলের অধ্যাপক টনি ওয়াকার বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, কানাডার পরিসংখ্যান অনুযায়ী,, ২০১৬ সালে কানাডার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার টন। ২০১৯ সালে সেই প্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ১৪০ টনে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবেই ২০২০ সালে দেশটিতে সি-৩৮০ বিল উত্থাপন করা হয়। সেই ফেডারেল মূল্যায়নে বলা হয়, যেহেতু প্লাস্টিক খুব ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং পরিবেশে স্থায়ী অবস্থান নেয়, তাই প্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ সময়ের সাথে সাথে বাড়তেই থাকবে। প্লাস্টিক দূষণের ফলে পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। এর সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।’

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) অনুসারে, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক ধীরে ধীরে এবং ধীরে ধীরে প্লাস্টিকের ছোট ছোট টুকরোতে ভেঙে যায় যা মাইক্রোপ্লাস্টিক নামে পরিচিত। এসব প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কারণ এটি অ-বায়োডিগ্রেডেবল এবং পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে কয়েক বছর সময় নেয়। প্লাস্টিকের ব্যাগগু পঁচতে হাজার হাজার বছর সময় লাগতে পারে, এতে মাটি এবং জল দূষিত হয়। প্লাস্টিক তৈরি করতে ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো প্রাণীর টিস্যুতে স্থানান্তরিত হয় এবং অবশেষে, মানব খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে।

কোনো প্লাস্টিকই বায়োডিগ্রেডেবল নয়। তবে কোনো প্লাস্টিক ১০০ মাইক্রনের থেকে পাতলা হলে, তার চরিত্র বেশি ভঙ্গুর হয়। অর্থাৎ, অল্পসময়ের মধ্যেই ছোটো ছোটো টুকরোতে ভেঙে যায় এই ধরনের প্লাস্টিক। যা আমাদের কাছে পরিচিত মাইক্রোপ্লাস্টিক নামে। সাধারণ প্লাস্টিক পণ্যের থেকেও আণুবীক্ষণিক এই প্লাস্টিক কণা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এই সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট থেকে শুরু করে গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চ-সর্বত্রই হদিশ মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের। বাস্ততন্ত্রের ক্ষতিসাধন তো বটেই, খাদ্য এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের দেহেও অবাধে প্রবেশ করছে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

;

আরাকান আর্মির দখলে মিয়ানমারের বুথিডং শহর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে লড়াইরত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দাবি করেছে, জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহর  দখল করে নিয়েছে।

রোববার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্সের কাছে আরাকান আর্মি (এএ) এ দাবি করে বলেছে, কয়েক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর শনিবার রাতে তারা শহরটির দখল নিতে সক্ষম হয়।

এদিকে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাকান আর্মি শহর থেকে তাদের বিতাড়িত করছে। তবে এএ অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছে।

শহর দখল বিষয়ে আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র খিন থু খা রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর বুথিডং শহর কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে দখল নিতে সক্ষম হয়েছে।

এক টেলিফোন বার্তায় তিনি রয়টার্সের প্রতিনিধিকে জানান, শনিবার রাতে সামরিক জান্তার কাছ থেকে বুথিডং শহরের সেনা ঘাটি আরাকান আর্মি পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে এবং সেইসঙ্গে পুরো শহরটি তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।

অপরদিকে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, আরাকান আর্মি তাদেরকে জোর করে বুথিডং ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বিতাড়িত করছে।

এ বিষয়ে ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন অ্যাডভোকেসি' গ্রুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা নে সান লুউন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, শহরতলির কয়েকটি এলাকায় আরাকান আর্মির সদস্যরা রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে এবং এসময় কারো কারো বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরাকান আর্মির বুথিডং শহরের দখলের বিষয়ে জান্তা বাহিনীর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি রয়টার্স।

;