তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা ওপেকের, বাড়বে দাম
অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ১৬ হাজার ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রফতানিকারকদের জোট ওপেক প্লাস।
রোববার (২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে তেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। খবর রয়টার্সের।
সৌদি আরব, ইরাক ও বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ বলেছে যে তারা বাজার স্থিতিশীলতা রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার ওপেকের মন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে ওপেকভুক্ত দেশগুলো গত অক্টোবরে নেওয়া দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই রোববার সন্ধ্যায় সৌদি আরব থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ একে একে স্বপ্রণোদিত উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দেয়।
সৌদি সরকার মে মাসের প্রথম দিন থেকে দৈনিক অপরিশোধিত তেল উত্তোলন ৫ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। একইভাবে, ইরাকের তেল মন্ত্রণালয় মে মাস থেকে দৈনিক উৎপাদন ২ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
রিয়াদ ও বাগদাদ থেকে এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পর রাশিয়া সরকার চলতি ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত দৈনিক তেল উত্তোলন ৫ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দেয়। এরপর কুয়েত মে মাসের প্রথম থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত দৈনিক উৎপাদন ১ লাখ ২৮ হাজার ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দেয়।
একইভাবে, কাজাখস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মে মাসের শুরু থেকে বছরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য স্বেচ্ছামূলকভাবে দৈনিক উৎপাদন ৭৮ হাজার ব্যারেল হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক উৎপাদন ১ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল কমাবে। ওমান সরকার ১ মে থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপরিশোধিত তেল উত্তোলন দৈনিক ৪০ হাজার ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এর আগে অক্টোবরে ওপেকভুক্ত দেশগুলো এবং ওপেকের বাইরে থাকা তেল রফতানিকারক দেশের জোট ওপেক প্লাস দৈনিক উৎপাদন ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দেয়। নতুন করে ১১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের জোগান দৈনিক মোট ৩১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল হ্রাস করবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার অক্টোবরে ওপেক প্লাসের উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তেল রফতানিকারক দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা।