রাজার অভিষেকের দিনে লন্ডনে রাজতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানের দিনে রাজতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভ থেকে রিপাবলিকের এক নেতাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ‘নট মাই কিং’ লেখা টি-শার্ট পরা রিপাবলিকের সদস্যদের পুলিশ আটক করছে। এদের মধ্যে গ্রুপের নেতা গ্রাহাম স্মিথও ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারের আগে তারা ট্রাফালগার স্কোয়ারের কাছে গাড়ি থেকে তাদের প্ল্যাকার্ড নামাচ্ছিলেন। এই স্থানের কাছ দিয়েই অভিষেক অনুষ্ঠানের শোভাযাত্রা যাচ্ছিল।

রিপাবলিক এক বিবৃতিতে বলেছে, কেন তাদের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যা পুলিশ কর্মকর্তারা দেননি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার যেভাবে হরণ করা হলো, রিপাবলিক তার সমালোচনা করেছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার হওয়া রিপাবলিক সদস্যদের একজন ম্যাট টার্নবুল বলেন, যে স্ট্র্যাপ দিয়ে তাদের প্ল্যাকার্ডগুলো বেঁধে রাখা হয়েছিল, সেটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছে এটি দিয়ে কেউ নিজেকে কোন কিছুর সঙ্গে আটকে রাখতে পারবে।

মি. টার্নবুল বিবিসিকে বলেন, সত্যি কথা বলতে কী আমাদেরকে কোনদিনই এরা দৃশ্যমান হতে দেবে না, ওরা জানতো আমরা এখানে আসছি। আমাদের থামানোর জন্য ওরা কোন একটা উপায় খুঁজে বের করতোই।

ব্রিটেনে এ সপ্তাহে যে নতুন আইন পাশ হয়েছে তাতে রাস্তার ধারে কোন কিছুর সঙ্গে নিজেকে আটকে রাখার প্রস্তুতি নেওয়া অবৈধ করা হয়েছে।ব্রিটেনে কিছু গোষ্ঠী, বিশেষ করে পরিবেশবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রায়শই এভাবে নিজেদের আটকে রেখে বিক্ষোভে অংশ নেয়।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ঠিক কত জনকে গ্রেফতার করেছে তা বলেনি, তবে তারা নিশ্চিত করেছে যে কিছু লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রিপাবলিক জানিয়েছে, তাদের অনেক প্ল্যাকার্ড পুলিশ জব্দ করেছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে, এটা কি গণতন্ত্র?

গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, অনেকেই প্রশ্ন করছে, কেন আমরা প্রতিবাদ করছি। কারণ আমরা অভিষেকের এই উপলক্ষটা ব্যবহার করতে চাই রাজতন্ত্র নিয়ে যে বিতর্ক সেটা বদলে দেওয়ার জন্য। আমরা দেখাতে চাই যে আমরা রাজতন্ত্র-পন্থী কোন জাতি নই।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এসব গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, এভাবে লোকজনকে গ্রেফতারের ঘটনা মস্কোতে ঘটে, লন্ডনে এরকম ঘটতে পারে আমরা আশা করি না।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের যুক্তরাজ্য শাখার পরিচালক ইয়াসমিন আহমেদ বলেন, অভিষেকের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভের কারণে লোকজনকে গ্রেফতারের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।