রাশিয়ার বেলগোরদ সীমান্তে ৭০ হামলাকারী নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার সীমান্ত শহর বেলগোরদে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। রুশ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৪ ঘণ্টা আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলে। এত ৭০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় বাহিনী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া বলছে যেসব ‘হামলাকারী’ বিদ্রোহী ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পার হয়ে বেলগোরদ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল তাদের পরাস্ত করা হয়েছে।

তাদের সাতে রুশ বাহিনীর দুদিন ধরে যুদ্ধ চলার পর রাশিয়া দাবি করছে যে বহু হামলাকারীকে হত্যা করা হয়েছে এবং বাকিরা ইউক্রেনে পালিয়ে গেছে। কিন্তু ইউক্রেন বলছে এই যোদ্ধারা ক্রেমলিনবিরোধী দুটো আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে যে- তাদের বাহিনী ৭০ জন হামলাকারীকে হত্যা করেছে এবং বাকিদের সীমান্তের ওপারে ইউক্রেনে ফেরত যেতে বাধ্য করেছে। মস্কো বলছে, হামলাকারীরা ইউক্রেনীয়।

কিন্তু রাশিয়ার দুটো আধাসামরিক বাহিনী দাবি করছে, তারা এই আক্রমণ পরিচালনা করেছে। তারা বলছে, মস্কোতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারকে উৎখাতের জন্যই তাদের এই হামলা।

রুশ কর্মকর্তারা বলছেন ‘নাশকতা’ করার জন্য সশস্ত্র একটি ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত পার হয়ে সোমবার সীমান্তবর্তী গ্রাভোরনোস্কির ওপর হামলা চালায়।

এই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার দুটো আধাসামরিক বাহিনীর রুশ নাগরিকরাই এই আক্রমণ চালিয়েছে। এই ঘটনায় রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলার বিষয়ে টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের রুশ বাহিনী ‘আটকে দিয়েছে এবং পরাজিত করেছে’ এবং তাতে ৭০ জনেরও বেশি ‘ইউক্রেনীয় সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।

ওই অঞ্চলের গভর্নর ভাচেস্লাভ গ্লাদকভ বলেছেন, হামলায় যেসব ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো গুলি করে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এতে কিছু ভবনের ক্ষতি হয়েছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার ১৫ মাসের মধ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রাশিয়ার ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।

হামলার পর পরই মস্কো বেলগোরদ অঞ্চলে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান চালাতে শুরু করে। অভিযানের অংশ হিসেবে যোগাযোগ ও চলাচলেরে ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়।


ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন এই হামলার পেছনে যারা ছিল তারা লিবার্টি অব রাশা লিজান এবং রাশান ভলান্টিয়ার কোর এই দুটো গ্রুপের সদস্য।

লিবার্টি অব রাশা লিজান ইউক্রেনভিত্তিক রুশ মিলিশিয়াদের একটি গ্রুপ। গ্রুপটি বলছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার লক্ষ্যে তারা রাশিয়ার ভেতরে তৎপর রয়েছে।

সোমবার টুইটারে এক পোস্টে গ্রুপটি দাবি করেছে যে- তারা সীমান্তবর্তী কজিঙ্কা শহরটি ‘সম্পূর্ণ মুক্ত’ করেছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছে এই যোদ্ধারা ইউক্রেনীয়দের জন্য একটি ‘নিরাপত্তা এলাকা’ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিল।

এই দুটো বাহিনীকে এর আগে আন্তর্জাতিক বাহিনী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যারা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার সাথে যুক্ত রয়েছে।

কিয়েভের গোয়েন্দা দফতরের আন্দ্রি ইওসোভ বলেছেন, এই দুটো গ্রুপ ‘রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে স্বাধীনভাবে কাজ করছে’ এবং এদের সাথে ইউক্রেনীয়রা জড়িত নয়। ইউক্রেনীয় টিভিতে তাদেরকে মিলিশিয়া এবং ‘রুশ স্বেচ্ছাসেবী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে রাশান ভলান্টিয়ার কোর বা আরডিকে আলোচনায় আসে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে যখন তারা সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ার ব্রিয়ান্সক অঞ্চলে হামলা চালায়। ওই হামলায় ৪৫ জন অংশ নিয়েছিল বলে তারা দাবি করে।

এই গ্রুপের নেতা ডেনিস কাপুস্তিন অথবা ডেনিস নিকিতিন নামে পরিচিত। তিনি একজন রুশ জাতীয়তাবাদী। এই গ্রুপটি প্রকাশ্যে এক জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে অনেক জাতিগত রুশ বসবাস করলেও...তারা ইউক্রেনীয় উগ্রবাদী।

পেসকভ বলেন, তাদের এই আক্রমণের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়া।

কয়েক মাস ধরে তীব্র লড়াইয়ের পর রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ সম্প্রতি দাবি করেছে যে তারা বাখমুত শহর পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে।

ভারতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রাতভর উদ্ধার অভিযান চলার পর একাধিক কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। অনেককেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিকে। তিনটি ট্রেনের এই সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল জারি রয়েছ।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে ভরতি অনেক যাত্রীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এই আবহে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এদিকে এই দুর্ঘটনার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো নিয়ে। এই আবহে ঠিক কী কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর জেরে সেই ট্রেনের বি২, বি৩, বি৪, বি৫, বি৬, বি৭, বি৮, বি৯, এ১ এবং এ২ কোচ উলটে যায়। এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন এবং বি১ কোচটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক রেল কর্মকর্তা জানান, প্রথমে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই সময় অন্য লাইনে ছিল ডাউন যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচের সঙ্গে এই আবহে ধাক্কা লাগে বেঙ্গালুরু থেকে আসা ট্রেনটির। এদিকে এই দুর্ঘটনার পর সারা রাত কেটে গেলও এখনও দুর্ঘটনাস্থলে চলছে উদ্ধারকাজ।

জানা গেছে, আহতদের অনেককেই বালাসোরের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে যাদের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক, তাদের কটকের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আজ দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুর্ঘটনাস্থলে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

;

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০৭, আহত ৯০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২ জুন) ওডিশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শালিমার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পথে ওডিশার বাহানাগা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব বগি লাইনচ্যুত হয়।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় এই ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হতে পেরিয়ে যায় প্রায় ঘণ্টাখানেক। এতে হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ে।

ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, ঘটনাস্থল বালেশ্বরে ২০০টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।

এই শতাব্দীতে এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওড়িশা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত গুরুতর আহত ২০০ জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‌ লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া ১৫টি বগির মধ্যে এখনও তিনটি এসি কামরা থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ওডিশার ত্রাণবিষয়ক বিশেষ কমিশনার সত্যব্রত সাহু জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৪৭ জনকে বালেশ্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও ১৩২ জনকে আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা।

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটবার্তায় বলেন, ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।

দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়া হবে।

;

ওড়িশায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ৩০, আহত ১৭৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের ওড়িশায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছেন।

শনিবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ১৭৯ জনকে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শনিবার দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সোয়া ৫টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা এনডিটিভিকে বলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহানগা বাজারে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে ধাক্কা দেয়।

ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুধাংশু সারঙ্গি উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন। বালেশ্বর ও আশপাশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ বাহিনী এনডিআরএফ শতাধিক কর্মী আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন।

;

কাশ্মিরে পর্যটকবাহী বাস খাদে, নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি পর্যটকবাহী বাস। এতে নিহত অন্তত ১০ জন এবং আহত হয়েছেন ১২ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসে মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে একটি খাদে উলটে পড়ে পর্যটকদের একটি বাস। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এএনআইয়ের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে পর্যটকবাহী দূরপাল্লার বাসটি কাটরার দিকে যাচ্ছিল। ওই বাসে চড়ে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেরই আঘাত গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জম্মুর ডেপুটি কমিশনার অভনি লাভাসা জানিয়েছেন, কাটরা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝাজ্জার কোটলি নামের এলাকায় জাতীয় সড়কের কাছে গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ।

সিআরপিএফ কমান্ডান্ট অশোক চৌধুরী জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে জম্মু ও কাশ্মিরে। পাহাড়ি রাস্তা ও খাড়া বাঁকের জন্য কাশ্মিরের পথে গাড়ি চালানো সমতলের তুলনায় অনেক কঠিন। সেখানে মুহূর্তের অসাবধানতা ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

;