যুদ্ধক্ষেত্রে বেসামরিক লোকের সুরক্ষা দিতে বিশ্ব ব্যর্থ: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে বিশ্ব বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

গত বছর সংঘাতে আটকে পড়া মানুষের সংখ্যা এবং সংঘাতজনিত তাদের মানবিক বিপর্যয় আকাশ ছুঁয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে) এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের হিসেবে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় বেসামরিক লোকের মৃত্যু ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, ১২টি সংঘাতে প্রায় ১৭ হাজার বেসামরিক লোকের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।

ইউক্রেন ও সুদানে বেসামরিক লোকের মৃত্যু, ইথিওপিয়ায় স্কুল ধ্বংস করা এবং সিরিয়ায় পানির অবকাঠামোর ক্ষতির ঘটনা উল্লেখ করে গুতেরেস জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেছেন, “বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে অন্তর্ভুক্ত প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্ব।”

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজয়ার পাশে বসে থাকা গুতেরেস আরও বলেন, “যুদ্ধ অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসার বিষয়ে জাতিসংঘের গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছর জনবহুল এলাকায় ‘বিস্ফোরক অস্ত্র’ ব্যবহারের শিকার ৯৪ শতাংশ বেসামরিক নাগরিক ছিল। এছাড়া যুদ্ধ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে ১১ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ প্রাথমিকভাবে তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে।”

শুধু ইউক্রেনে, যেটি বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। জাতিসংঘ প্রায় আট হাজার বেসামরিক লোকের মৃত্যু এবং ১২ হাজার ৫০০ জনের বেশি আহতের রেকর্ড করেছে, যদিও প্রকৃত পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি।

জাতিসংঘের প্রধান বলেন, “বিশ্বব্যাপী সংঘাত, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের কারণে তাদের বাড়ি থেকে বাধ্য হয়ে বিতাড়িত শরণার্থীর সংখ্যা ১০ কোটিতে পৌঁছেছে।”

এছাড়াও মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখছিলেন রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক। তিনি বলেন, “আমরা দেখছি, বিশ্বজুড়ে সংঘাতে অগণিত বেসামরিক মানুষ একটি জীবন্ত নরকের সম্মুখীন হচ্ছে। যেকোনো মিনিটে পরবর্তী ক্ষেপণাস্ত্র তাদের বাড়ি, স্কুল ও ক্লিনিক এবং সেখানে থাকা সবাইকে ধ্বংস করে দিতে পারে। যেকোনো সপ্তাহে তাদের খাবার বা ওষুধ ফুরিয়ে যেতে পারে।”

গত মে মাসে কাউন্সিলের সভাপতিত্ব গ্রহণকারী সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বারসেট বলেন, “সংঘাতের সব পক্ষকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলতে হবে।”

   

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ৫৪ শতাংশ ইসরায়েলি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা যায় ৫৪ শতাংশ ইসরায়েলি নাগরিক ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি শেষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থলবাহিনী দ্বিতীয় দফা অভিযান শুরু হয়। এই ঘটনায় একদিনেই আবারও শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গাজায়।

এই পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক এক জনমত জরিপ চালায় ইসরায়েলের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা লাজার ইনস্টিটিউট।

জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত দেখতে চান ৫৪ শতাংশ ইসরায়েলি। অন্যদিকে উপত্যকায় ইসরায়েলি অভিযান জারি রাখার মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তির পক্ষে রয়েছেন ইসরায়েলের ২৫ শতাংশ নাগরিক।

বাকি ২১ শতাংশ ইসরায়েলি এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। শুক্রবার বিকেলে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি দৈনিক মারিভ।

গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর জিম্মি-বন্দি বিনিময় এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিতে ২৫ নভেম্বর সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে ইসরায়েল এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সেই বিরতি শেষ হয় শুক্রবার ভোরে উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থলবাহিনীর অভিযান শুরুর মধ্যে দিয়ে। ২য় দফা অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি।

শুক্রবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিলোটের বাসিন্দারা সাইরেনের শব্দে জেগে ওঠেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

এই ঘটনার পর এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় আইডিএফ। গাজার হামাস নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার অন্তত ১০০টি স্থানে গোলা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।

তার পরপরই এই জনমত যাচাই করা হয়।

;

যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের হামলা, গাজায় নিহত ১৮৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি স্থল ও বিমান বাহিনী আবারও অভিযান শুরু করেছে। যুদ্ধবিরতি শেষে প্রথম দিনে সেখানে মোট ১৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার খবরে গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিলোটের বাসিন্দারা সাইরেনের শব্দে জেগে ওঠেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

এই ঘটনার পর এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় আইডিএফ।

গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৫৮৯ জন। কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছে। এ সময় ইসরায়েলের পাঁচ সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছিল। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে। 

;

খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৫০ জনেরও বেশি নারী সন্ত্রাসীর তালিকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
খাইবার পাখতুনখোয়ার সেনানিবাসের প্রবেশ মুখ । ছবি : সংগৃহীত

খাইবার পাখতুনখোয়ার সেনানিবাসের প্রবেশ মুখ । ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নারী সন্ত্রাসীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

জিও নিউজ জানিয়েছে, ওই নারী সন্ত্রাসীরা প্রদেশটিতে ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিল।

ওই তালিকা অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় ৩০ জন, অপহরণে ১৩, চাঁদাবাজিতে দুজন এবং টার্গেট কিলিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে তিনজন নারী জড়িত ছিল।

সিটিডি’র ডিআইজি ইমরান শহীদ বলেছেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের কারণে ওই নারী অপরাধী বা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এসব নারী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে এবং কয়েকটি মামলা বিভিন্ন আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ওই নথি সূত্রে জানা গেছে যে, পেশোয়ারের বিভিন্ন থানায় ১৮ জন নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নথিতে আরও জানানো হয়েছে যে, নয়জন নারী মামলায় খালাস পেয়েছেন এবং অন্যদের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

;

আফগানিস্তানে আলেমদের ওপর হামলায় নিহত ৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
আফগানিস্তানের এক নিরাপত্তারক্ষী। ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের এক নিরাপত্তারক্ষী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুই শিয়া আলেমকে বহনকারী একটি রিকশায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি চালালে অন্তত সাতজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও একজন কর্মকর্তা খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

হেরাতের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘হামলাটি শহরের কোরা মিলি এলাকায় হয়েছে। এতে সাতজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, নিহতদের মধ্যে চারজন নারী রয়েছেন এবং উভয় আলেমই নিহত হয়েছেন।

একজন বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, ‘আলেমদ্বয় একটি থ্রি-হুইলারে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই গুলি চালানোর লক্ষ্য ছিল সম্ভবত ওই দুই আলেমকে হত্যা করা।’

উল্লেখ্য, শিয়ারা আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু এবং তারা বেশিরভাগই হাজারা সম্প্রদায়ের। তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের জঙ্গিদের আক্রমণের প্রায়ই লক্ষ্যবস্তু হয়। কারণ, আইএস তাদের ধর্মদ্রোহী বলে মনে করে।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর তাদের বিদ্রোহ শেষ করার পর থেকে সহিংসতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তবে আইএসের আঞ্চলিক মিত্রসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এখনও দেশটির জন্য হুমকি হিসাবে রয়ে গেছে।

;