বিশ্ববাজারে ১১ বছরের মধ্যে চালের দাম সর্বোচ্চ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে কৃষকদের অর্থসহায়তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ায় বিশ্বব্যাপী চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

এল নিনোর মতো আবহাওয়াজনিত প্রভাবে ফেললে অদূর ভবিষ্যতে চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে বাজার বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।

বিজ্ঞাপন

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের চাল রফতানির ৪০ শতাংশেরও বেশি ভারত থেকে আসে। ২০২২ সালে দেশটি ৫৬ মিলিয়ন টন চাল রফতানি করেছে। তবে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ‍উৎপাদন কমে যাওয়ায় ভারত থেকে চাল রফতানি কমতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে চালের রফতানি কমলে এই খাদ্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে।

রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আরইএ) সভাপতি বিভি কৃষ্ণ রাও রয়টার্সকে বলেন, সবচেয়ে সস্তায় চাল সরবরাহ করত ভারত। কিন্তু, নতুন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কারণে ভারতে দাম বাড়ায় অন্যরাও দাম বাড়াতে শুরু করবে।

বিজ্ঞাপন

রয়টার্স বলছে, বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য চাল এবং প্রায় ৯০ শতাংশ চাল এশিয়ায় উৎপাদিত হয়। কিন্তু, এল নিনো আবহাওয়া চক্রের কারণে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে। তবুও আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আগেই জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বৈশ্বিক চালের মূল্য সূচক ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে।

বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম এই শীর্ষ ছয়টি দেশে রেকর্ড উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। তা সত্ত্বেও চালের দাম বেড়েছে।

এল নিনোর প্রভাব কোনো একক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি প্রায় সব উৎপাদনকারী দেশের চালের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে, বলেছেন ওলাম ইন্ডিয়ার রাইস বিজনেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতিন গুপ্তা।

নতুন মৌসুমে সাধারণ চালের জন্য ভারত সরকার কৃষকদের যে মূল্য দেয় তা গত মাসে ৭ শতাংশ বাড়ানোর পর ভারতীয় চাল রফতানি মূল্য ৯ শতাংশ বেড়ে ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ভারতীয় কৃষকদের এই প্রণোদনার পর থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে চালের রফতানি মূল্য দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী চিনি, মাংস ও ডিমের দাম রেকর্ড বেড়েছিল। কারণ, উৎপাদনকারী দেশগুলো অভ্যন্তরীণ ব্যয়ের লাগাম টানতে রফতানি কমিয়েছিল।