উত্তর কোরিয়ার হাতে মার্কিন সেনা আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হয়েছেন এক মার্কিন নাগরিক। মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আটক হওয়া ওই ব্যক্তির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। আমরা ধারণা করছি তিনি এখন উত্তর কোরিয়ায় আটক অবস্থায় আছেন। তার মুক্তির জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘ আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক বিনা অনুমতিতেই আন্তঃসীমান্ত এলাকার পানমুনজম গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে ওই ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ কমান্ড।

ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ইলেক্ট্রিক কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা এই সীমান্ত দিয়ে কীভাবে ওই মার্কিন নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করলো তা স্পষ্ট নয়।

তবে এক প্রত্যক্ষদর্শী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস–কে বলেন, সেখানে যাওয়ার পর তারা আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা শুরু করেছেন। এমন সময় এক ব্যক্তিকে হো হো করে হাসতে হাসতে কয়েকটি ভবনের মাঝ খান দিয়ে দৌড়ে চলে যেতে দেখেন।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শুরুতে আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো তিনি (মার্কিন সেনা) সবার সঙ্গে কৌতুক করার উদ্দেশে করেছেন। কিন্ত যখন তিনি আর ফিরে এলেন না তখন বুঝতে পারলাম ওই ব্যক্তি মজার ছলে এ কাজ করেননি। এরপরে সবাই বিষয়টি বুঝতে পারলে পরিস্থিতি বদলে যায়।

সীমানা পেরিয়ে যাওয়া ওই মার্কিন সেনার সার্বিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলন করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সেখানে লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা অনেক কিছুই জানি না। জানার চেষ্টা চলছে।

১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৯৫৩ সালে কোরিয়াকে দুই ভাগ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। তবে এখনও দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। সে হিসেবে দুই দেশ এখনও যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। এখনও উত্তর কোরিয়ার কাছে ছয় দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বন্দী রয়েছেন। এছাড়া প্রায়ই মার্কিন নাগরিকদের আটকের খবর পাওয়া যায়।

২০১৭ সালে নিয়ম ভঙ্গের কারণে বন্দী হওয়া এক মার্কিন ছাত্রকে মুক্তি দেয় উত্তর কোরিয়া। তবে মুক্তির পর ওই ছাত্রের মৃত্যু হলে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা যায়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে আরও তিন মার্কিন নাগরিক মুক্তি পান।

   

চীনে হাসপাতালে ছুরিকাঘাতে দুজন নিহত, আহত ২১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের ইউনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২১ জন।

মঙ্গলবার (০৭ মে) স্থানীয় সময় ১১টা ৩৭ মিনিটে দেশটির ইউনান প্রদেশের জেনসিয়ং পিপলস হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

দেশটির স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের সংবাদমাধ্যম দ্য পেপারের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরে কালো পোশাকে এক ব্যক্তি দুই হাতে ছুরি নিয়ে ঘুরছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি জেনসিয়ংয়ের পোজি শহরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এর আগে ২৩ জন আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ২১ জনের কথা উল্লেখ করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা দ্য পেপারকে জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনও বেশ বিশৃঙ্খল, তারা এখনও আহতের সংখ্যা নির্ধারণ করছে। পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে।

চীনা নিউজ আউটলেট হংজিং নিউজেরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে বলেছে এবং অপরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

;

চিকিৎসার খবর বহন করতে না পারায় অসুস্থ স্ত্রীকে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রে এক মার্কিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হাসপাতালে অসুস্থ স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যার শিকার নারীর স্বামী পুলিশকে বলেছেন, চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারায় তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত শুক্রবার (৩ মে) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিসৌরির ইন্ডিপেন্ডেন্সের সেন্টার পয়েন্ট মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের কর্মীরা আইসিইউতে ওই নারীর উপর হামলার সন্দেহে একজন ​পুলিশ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

জ্যাকসন কাউন্টির প্রসিকিউটর জিন পিটার্স বেকারের মতে, হত্যার দিন ওই নারী ডায়ালাইসিসের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করছিলেন।

প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন যে, ওই নারী হাসপাতালের বিছানায় থাকাকালীন তার স্বামী রনি উইগস তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

খবর পেয়ে যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে, তখন ওই নারীর কোনও পালস ছিল না। তখন তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। মস্তিষ্কের কার্যকারিতার কোনো লক্ষণ না থাকায় পরে তার লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্ত্রীকে হত্যা করার কথা উইগসকে স্বীকার করতে শুনেছেন বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। অনুশোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমি তাকে শ্বাসরোধ করেছি। আমি তাকে হত্যা করেছি।’

উইগসকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফক্স।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছেন যে, তার স্ত্রীর ডায়ালাইসিস সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। সেটি ব্যয়বহুল বিধায় তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।

তিনি পুলিশকে আরও বলেছেন, স্ত্রীর চিৎকার থামাতে তিনি তার নাক ও মুখ বালিশে চেপে ধরেছিলেন।

উইগস স্বীকার করেছেন যে, তিনি বাজে আর্থিক অবস্থা এবং হতাশার সঙ্গে লড়াই করছেন, যার ফলস্বরূপ তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।

উইগস এটাও স্বীকার করেছেন যে, অতীতেও হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় স্ত্রীকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

;

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভবন ধসে ৫ জন নিহত, আটকা ৭০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের জর্জ শহরে একটি নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবন ধসে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে আরও ৭০ জন।

মঙ্গলবার (০৭ মে) সংবাদমাধ্যম আনাদুলু আজান্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন ভবনটি সোমবার (০৬ মে) বিকেলে ধসে পড়ে। এতে ৭০ জনেরও বেশি শ্রমিক আটকা পড়ে। তবে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা আরও কর্মীদের জীবিত উদ্ধারের আশায় ধ্বংসস্তূপ খনন করছে।

ওয়েস্টার্ন কেপ প্রিমিয়ার অ্যালান উইন্ড বলেছেন, ‘কর্মীদের জীবিত উদ্ধার করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে কর্মকর্তারা জীবন বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করছেন। এই পর্যায়ে এটি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ভবন ধসে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে, যাতে এমন বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে।

;

পুতিনের প্রাসাদ সংস্কার করে তৈরি হচ্ছে গির্জা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কৃষ্ণসাগর উপকূলের প্রাসাদটি গির্জায় পরিনত করতে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম প্রোয়েক্ট।

এক প্রতিবেদনে প্রোয়েক্ট পুতিনের এই প্রাসাদের ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রাসাদটির অস্তিত্ব সর্বপ্রথম ২০২১ সালে প্রকাশ করেছিলেন রাশিয়ার সদ্য প্রয়াত বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি।

প্রোয়েক্টের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া।

১৭ হাজার একর বনভূমির উপর নির্মিত এই প্রাসাদটি বিশেষ নো-ফ্লাই জোন দ্বারা সংরক্ষিত করা রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নাভালনির প্রকাশ করা এই প্রাসাদের ভিডিওতে প্রাসাদটির একটি ক্যাসিনো, গাড়ি এবং রেলপথসহ একটি কক্ষ দেখা গিয়েছিল।

বিশ্লেষকদের ধারণা, যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ধর্মের প্রতি আচ্ছন্ন হয়ে প্রাসাদটি সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন পুতিন।

প্রোয়েক্টের প্রতিবেদনে একটি ঝাড়বাতির কথা বিশেষ উল্লেখ করা হয়েছে, যেটি ফরাসি প্রস্তুতকারক ব্যাকারেটের তৈরি করা এবং এর দাম ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২১ সালের নাভালনি দাবি করেছিলেন যে, সম্পত্তিটির মূল্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এর নির্মাণ ব্যায় দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালে যখন নাভালনি পুতিনের এই প্রাসাদের ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন, তখন হাজার হাজার রাশিয়ান রাস্তায় নেমে এসেছিল।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সেই সময়ে নাভালনির দাবিকে ‘বাজে কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

;