বিতর্কিত দ্বীপ রক্ষায় মহড়া শুরু করেছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দ্বীপগুলোতে গাদির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

দ্বীপগুলোতে গাদির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) নিজেদের বলে দাবি করে এমন তিনটি বিতর্কিত দ্বীপ রক্ষার প্রস্তুতির অংশ হিসাবে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।

তেহরানের অভিজাত এই বাহিনী আজ বুধবার সকালের দিকে ওই অঘোষিত মহড়া পরিচালনা করে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

১৯৭১ সালে কৌশলগত হরমুজ প্রণালীর মুখে অবস্থিত তিনটি দ্বীপে রাজকীয় নৌবাহিনী প্রেরণ করে সেগুলো দখলে নেন ইরানের তৎকালীন শাহ।

তখন ব্রিটিশরা তাদের বাহিনীকে আজকের সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।

আমিরাতের নেতারা অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সমর্থনে তখন থেকেই দাবি করে আসছেন যে, ইরানের দখলে থাকা ওই দ্বীপগুলো তাদেরই।

এদিকে, ওই দ্বীপগুলোতে আমিরাতের মালিকানা বিষয়ক আলোচনার সকল প্রস্তাব বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে ইরান।

গত জুলাই মাসে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সঙ্গে রাশিয়ার যৌথ বিবৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তেহরানে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ওই বিবৃতিতে দ্বীপগুলোর উপর ইরানের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।

তেহরানের আরেক কৌশলগত মিত্র চীন গত ডিসেম্বরে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল।

তখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জিসিসির সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, যা আন্তর্জাতিকভাবে দ্বীপগুলোর মালিকানার ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দাবিকে সমর্থন করেছিল।

এর ফলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেহরানে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে ওই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানায়।

আইআরজিসি দ্বীপগুলোকে রক্ষা করার প্রস্তুতি হিসাবে আজ বুধবার বিমান, জাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক যানসহ মহড়া শুরু করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ইরনা জানিয়েছে, আইআরজিসি নৌবাহিনীতে প্রথমবারের মতো ৬০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত একটি নতুন জাহাজ অন্তর্ভূক্ত করেছে। এ ছাড়াও দ্বীপগুলোতে ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ফাথ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং গাদির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে।

মহড়ার চিত্রে দ্বীপগুলোতে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে।

ইরনা আরও জানিয়েছে, আইআরজিসি দ্বীপগুলোকে রক্ষা করার জন্য ড্রোন এবং রিমোটনিয়ন্ত্রিত জাহাজও মোতায়েন করেছে।

আইআরজিসি নৌবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ আলিরেজা তাংসিরি বলেন, ‘পারস্য উপসাগরের দ্বীপপুঞ্জে ইসলামি ইরানের সম্মান রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।’

মহড়া শুরু উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে আইআরজিসি কমান্ডার-ইন-চিফ ড.হোসেইন সালামি ইরানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তেহরান এবং তার আরব প্রতিবেশীরা তাদের নিজস্ব আঞ্চলিক জলসীমা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ সক্ষম এবং বিদেশীদের উপস্থিতির প্রয়োজন নেই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জড়ো হওয়া সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‌‘যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার আঙুল ট্রিগারে থাকবে, ততক্ষণ আমাদের জনগণ শান্ত থাকবে এবং আমাদের এলাকা নিরাপদ থাকবে।’

   

আকাশ জুড়ে অরোরার রঙের খেলায় আলোকিত বিশ্ব!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুইটলি উপসাগরের সেন্ট মেরির বাতিঘর

হুইটলি উপসাগরের সেন্ট মেরির বাতিঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্য, উত্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আয়ারল্যান্ড এবং উত্তর ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশের আকাশের রং বৃহস্পতিবার (৯ মে) হঠাৎ করেই পরিবর্তন হতে শুরু করে। আশ্চর্যজনক নর্দান লাইট বা অরোরা আকাশকে সব বাহারি রঙে আলেকিত করে তোলে।

মূলত, অরোরা একটি অস্বাভাবিক শক্তিশালী সৌর ঝড় যার ফলে আকাশের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের লোকজন সোশ্যাল মিডিয়াতে অরোরার কিছু আকর্ষণীয় ছবি শেয়ার করেছেন। 

২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) প্রথম এমন তীব্র সৌর ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছিল। সতর্কতায় বলা হয়, একটি বিশাল ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীর দিকে ধাবিত হতে পারে। অবশেষে তার প্রমাণ মিলল।

এনওএএ’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্দান লাইট বা অরোরা সূর্যের চার্জযুক্ত কণার কারণে ঘটে। পৃথিবীতে প্রবেশ করার সময় এই কণাগুলো অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের মতো গ্যাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। যার কারণে আকাশে সবুজ, হলুদ, লাল ও কমলা আলো দেখা যায়। নর্দার্ন লাইট সাধারণত মাটি থেকে ৮০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় দেখা যায়। 

এনওএএ আরও বলে, অরোরা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের চরম পর্যায় যা জি-৫ এর অন্তর্ভূক্ত বলে মনে করা হচ্ছে এবং এটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তর। অরোরা পৃথিবীতে আঘাত হানার মধ্য দিয়ে যোগাযোগ, জিপিএস এবং পাওয়ার গ্রিডের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।

 শনিবার (১১ মে) স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে চিত্তাকর্ষক অরোরা বোরিয়ালিসের সেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

হ্যাজলেমের, বাকিংহামশায়ার


 

নর্থউড, উত্তর-পশ্চিম লন্ডন
সালিসবারি
ক্রসবি বিচ, লিভারপুল
স্কটল্যান্ড

;

কংগ্রেস লোকসভায় ৫০টি আসনও পাবে না: নরেন্দ্র মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রস ৫০টি আসনও পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি বলেন, এমন কী বিরোধীদলের মর্যাদাও দলটি অর্জন করতে পারবে না।

শনিবার (১১ মে) উড়িষ্যার ফুলবানীতে নির্বাচনি র‌্যালি উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় নরেদ্র মোদি এ সব কথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, উড়িষ্যায় ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার গঠিত হবে। উড়িষ্যার ভাষা এবং সংস্কৃতি বোঝে এ মাটির এমন কোনো বিজেপির মেয়ে বা ছেলে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।

বিজেপির অর্জন সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ বছর আগে এইদিনে (১১ মে) অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন করেছিল। 

তিনি এসময় আরো বলেন, দেশের জনগণের ৫শ বছর অপেক্ষার পর তার সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ শেষ করেছে।-পিটিআই

 

;

মালদ্বীপ থেকে সব সেনা সরিয়ে নিল ভারত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালদ্বীপের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই দেশটি থেকে নিজেদের সব সেনা সরিয়ে নিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট সব সেনা প্রত্যাহার করা হয়। শুক্রবার উভয় দেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার আগেই নয়াদিল্লি সফরে গেছেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির। এছাড়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও স্ক্রল ইন এ খবর দিয়েছে।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অবশিষ্ট ২৭ ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সেনা প্রত্যাহার উপলক্ষে আলাদা করে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। 

মালদ্বীপের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দিয়ে বিজয়ী হন চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত রাজনীতিক মোহাম্মদ মুইজ্জু। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতায় এসেই দেশটিতে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাদের দেশছাড়া করার ঘোষণা দেন তিনি। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। 

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের আগে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত আরও ৫১ ভারতীয় সেনা মালদ্বীপ ছেড়েছে। 

মুইজ্জুর আগের ভারতপন্থি সরকারের সময় মালদ্বীপকে তিনটি বিমান উপহার দিয়েছিল ভারত। এসব বিমানের মাধ্যমে দেশটির বিশাল সামুদ্রিক এলাকা টহল দেওয়া হতো। বিমানগুলোর দেখাশোনার জন্য কিছু ভারতীয় সেনা দেশটিতে অবস্থান করছিল। এ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জ্যাসওয়াল বলেছেন, বিমানগুলোর দেখভালের জন্য সেনাদের জায়গায় বেসামরিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে। 

ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ ত্যাগের ডামাডোলের মধ্যেই গত বুধবার নয়াদিল্লি সফরে গেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির। মুইজ্জু সরকারের প্রথম কোনো মন্ত্রী হিসেবে দেশটি সফরে যান তিনি। তার এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে মুসা জমির বলেন, ভারতে আমার প্রথম দ্বিপক্ষীয় অফিশিয়াল সফরের অংশ হিসেবে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছি। ‘ফলপ্রসূ আলোচনা, সম্পর্ক জোরদার করা এবং ভারতের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অপেক্ষা করছি।’ 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের অফিশিয়াল এক্স পেজে মুসা জমিরের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা লিখেছে, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমিরকে তার অফিশিয়াল ভারত সফরে উষ্ণতার সঙ্গে স্বাগত জানাই। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা এবং আমাদের বহুমুখী সম্পর্ককে গতিশীল করার উপায় খুঁজতে হবে।

;

মার্কিন অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল হয়তো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজা যুদ্ধের সময় কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এটি ‘মূল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত’ যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেগুলো ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ উপায়ে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করার মতো পূর্ণাঙ্গ তথ্য তাদের কাছে নেই। এ কারণে, আইন মেনেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, ইসরায়েলের এই আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসি বলছে, বিলম্বের পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশটি কীভাবে গত বছর সংঘর্ষের শুরু থেকে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

যদিও এই প্রতিবেদনটিতে গাজায় কিছু ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবেই তিরস্কার করা হয়েছে, তারপরও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে এটিতে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টাকে ‘অসঙ্গত, অকার্যকর এবং অপর্যাপ্ত’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলো।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট দেখতে পেয়েছে, সংঘাতের প্রথম মাসগুলোতে গাজায় মানবিক সহায়তা ‘বাড়ানোর’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সাথে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে এতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সরকার গাজায় মার্কিন মানবিক সহায়তা পরিবহন বা বিতরণ নিষিদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে সীমাবদ্ধ করছে বলে আমরা এখন মূল্যায়ন করছি না।’

বিবিসি বলছে, কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাফাহতে হামলা করলে ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই হুঁশিয়ারির পরেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।

তবে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এমনকি প্রয়োজনে ইসরায়েল ‘একাই লড়াই করবে’ বলেও দাবি করেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত এপ্রিলের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বলেছিল, বেসামরিক মৃত্যু, আঘাতের নির্দিষ্ট ঘটনা এবং বেআইনিভাবে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের উদাহরণগুলোর বর্ণনা বলে দিচ্ছে, ইসরায়েলকে সরবরাহ করা মার্কিন অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের ‘গুরুতর লঙ্ঘনে’ ব্যবহার করা হয়েছে।

;