পাকিস্তানে কোরআন অবমাননার অভিযোগে গির্জা ও খ্রিস্টান কলোনিতে হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেঞ্জারের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেঞ্জারের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খ্রিস্টান বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার অভিযোগে জরানওয়ালা শহরের অন্তত দুটি গির্জা ও ক্রিস্টান কলোনিতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র জনতা।

সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওতে দেখা গেছে শত শত লোক লাঠিসোঁটা হাতে স্যালভেশন আর্মি চার্চ এবং সেন্ট পল ক্যাথলিক চার্চে হামলা চালাচ্ছে। এ সময় তারা গির্জায় আগুন দেয়। এ ছাড়াও উত্তেজিত জনতা খ্রিস্টান কলোনিতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

পাঞ্জাব প্রাদেশিক পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ নাভেদ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ প্রাদেশিক রাজধানী লাহোর থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে জরানওয়ালার জসতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

নাভেদ আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সমস্ত আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

পুলিশ পাকিস্তানের বিতর্কিত ধর্মদ্রোহীতা আইনের অধীনে স্থানীয় দুই খ্রিস্টান বাসিন্দার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেছে।

এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় সংঘর্ষের কারণে জরানওয়ালা জেলার ফয়সালাবাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংবেদনশীল বিবেচনায় রেখে সেখানে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জারের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।’

খ্রিস্টান কলোনির কাছেই মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের ছেঁড়া পৃষ্ঠা পাওয়ার পরই ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

পবিত্র কোরআনের ছেঁড়া পৃষ্ঠাগুলো স্থানীয় ধর্মীয় নেতার কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মুসলমানদের প্রতিবাদ করার অনুরোধ জানান।

স্যালভেশন আর্মি চার্চ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে একটি মোবাইল ফোনের দোকানের মালিক শাহিদ মেহমুদ আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমি সকাল ১০টার দিকে আমার দোকানে পৌঁছে দেখি গির্জার বাইরে কয়েকশ লোক জড়ো হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমি দোকান খোলার ১০ মিনিট পরেই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিই।’

মেহমুদ আরও বলেন, গির্জার কাছে খ্রিস্টান কলোনির চারপাশেও ভিড় জমেছিল। পরে ওই গির্জা এবং কলোনিতে আক্রমণ করা হয়। হামলায় কয়েকটি ছোট গির্জা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পাকিস্তানের সংখ্যালঘু জোটের চেয়ারম্যান আকমল ভাট্টি ওই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, বিক্ষুব্ধ জনতা নিরপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত বাড়িতে আগুন দেওয়ার বৈধতা আদায়ের জন্য ধর্মদ্রোহীতা আইন ব্যবহার করেছে।

ভাট্টি বলেন, স্যালভেশন আর্মি চার্চের কাছে খ্রিস্টান কলোনীতে ১৫০টিরও বেশি পরিবার বসবাস করে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কারণে সেখান থেকে নারী ও শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জরানওয়ালা থেকে আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, পরিস্থিতি যেমন উত্তেজনাপূর্ণ দেখাচ্ছিল, তাতে খ্রিস্টান পরিবারগুলো জরানওয়ালা ছেড়ে কাছাকাছি একটি গ্রামে বা ফয়সালাবাদ শহরে তাদের আত্মীয়দের কাছে যেতে শুরু করে।

ধর্মদ্রোহীতা আইন পাকিস্তানে একটি সংবেদনশীল বিষয়। কারণ, এটি সামান্য অভিযোগের বিপরীতে ব্যাপক সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

এই মাসের শুরুতে ধর্মদ্রোহীতার অভিযোগে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের তুরবাতে একজন শিক্ষককে বক্তৃতার সময় তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষুব্ধ জনতা নানকানার গ্রামীণ জেলার কারাগার থেকে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়ে কোরআন অবমাননার অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, পাকিস্তানের ওই ধর্মদ্রোহীতা আইন প্রায়ই ব্যক্তিগত কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে।

   

গাজার ধ্বংসাবশেষ সরাতে ১৪ বছর লাগবে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে আনুমানিক তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ জমা হয়েছে। এখনও কী পরিমাণ গোলাবারুদ অবিস্ফারিত রয়ে গেছে তা বলাও অসম্ভব। যুদ্ধ থেমে গেলে গাজা থেকে এসব ধ্বংসাবশেষ সরাতে তাই ১৪ বছর সময় লাগতে পারে জানান জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের ২০২৩ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশকালে লোধাম্মার এসব কথা বলেন। ধ্বংসাবশেষের ভেতর থাকা অবিস্ফারিত গোলা বারুদ পরিচ্ছন্নতার কাজকে জটিল করে তুলবে বলে জানান তিনি। পেহর লোধাম্মার ইরাকের মতো বিভিন্ন দেশে মাইন কর্মসূচি পরিচালনা করছেন।

লোধাম্মার বলেন, গাজায় ফেলা র মধ্যে  তবে ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ  তিন কোটি ৭০ লাখ টন অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটারে তিনশ’ কিলো ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। আর একশ’ ট্রাকের আনুমানিক একটি সংখ্যা দিয়ে এর পরিষ্কার কাজ শুরু করলে শেষ হতে ১৪ বছর সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

;

লোহিত সাগরে জ্বালানিবাহী ট্যাংকারে হুতিদের হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগের জ্বালানিবাহী একটি ট্যাংকারে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। জ্বালানিবাহী জাহাজটির নাম ‘আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকার’।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। তারা বলেছে, হুতি বিদ্রোহীরা অন্তত তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে আন্ড্রোমেডা স্টার জাহাজে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান আমব্রে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাইজ প্রদেশ থেকে। ট্যাংকারটির মাস্টারের কাছ থেকে জানা গেছে, এ হামলায় জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, হুতিদের ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পড়েছে এমভি মাইশা নামের একটি জাহাজের পাশে। তবে ওই জাহাজের কোনও ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হওয়া আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকারকে পানামার পতাকাবাহী ব্রিটিশ মালিকানাধীন বলে দাবি করেছেন হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া। তবে আমব্রে জানিয়েছে, জাহাজটি ব্রিটিশ মালাকানায় নেই। সম্প্রতি এটির মালিকানা বদল হয়েছে।

;

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল তাতে ইসরায়েল সাড়া দিয়েছে বলে গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া জানিয়েছেন।

 শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠানো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ইসরায়েলও ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি। ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

কাতার এবং মিশরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রথম দফা বিরতির পর ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং এই দাবির কারণে সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল।

দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসন এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যায় মিশরের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। এদিকে, ওই দিনই হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত ১২ বছর ধরে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সম্প্রতি কাতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকা ইতিবাচক না হয়- তাহলে হামাস নেতাদের কাতার ছাড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

মিশরের প্রতিনিধিদলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল পাঠানো প্রস্তাবে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানিয়েছে হামাস।

;

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুতই নতুন এ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ সরবরাহ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সহায়তা প্যাকেজ স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না। প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় ৪০ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবেলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন ‘যা এখনি জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত’।

এছাড়া বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে। শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হবে।

;