প্রয়োজনে ১০০০ বছর জেলে থাকতে প্রস্তুত ইমরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বলেছেন, তিনি তার দেশের জন্য ১০০০ বছর পর্যন্ত কারাবাস সহ্য করতে প্রস্তুত আছেন।

রাষ্ট্রীয় উপহার (তোশাখানা) বিক্রির আয় গোপন করার মামলায় গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ৭০ বছর বয়সি ইমরানকে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক এবং বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ওই মামলার বিষয়ে শুনানি করবেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের আইনি দলের সদস্য উমিয়ার নিয়াজি অ্যাটক কারাগারে খানের সাথে সাক্ষাতের পর শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভালো আছেন। তবে, তার দাড়ি বড় হয়েছে। তাকে আজ একটি আয়না এবং শেভিং কিট দেওয়া হয়েছে।

নিয়াজি বলেন, তার ছয়জনের দলের মধ্যে শুধুমাত্র তাকেই ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে আইনি দলের প্রবেশাধিকারে বাধা দেওয়ায় জেলারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

নিয়াজি জানান ইমরান খান বলেছেন, ‘জেলে সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমাকে ১০০০ বছর জেলে রাখলেও কিছু যায় আসে না। আমি এর জন্য প্রস্তুত। কারণ, স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’

২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান সন্ত্রাস, সহিংসতা, ব্লাসফেমি, দুর্নীতি এবং হত্যার মতো অভিযোগে দেশজুড়ে ১৪০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।

তার আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন যে, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বুধবার সাইফার ইস্যু সম্পর্কে অ্যাটক কারাগারে খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ইমরান তার ভাগ্নে ব্যারিস্টার হাসান খান নিয়াজীর নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কেও কথা বলেছেন।

এদিকে, লাহোর হাইকোর্ট হাসানকে ১৮ আগস্টের মধ্যে আদালতে হাজির করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

অন্যদিকে পুলিশ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) লাহোর হাইকোর্টকে জানিয়েছে, হাসানকে বিচারের জন্য একটি সামরিক আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আদালতে দাখিল করা পুলিশ প্রতিবেদনে, হাসানকে লাহোরে জিন্নাহ হাউস হামলা সংক্রান্ত মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ হাসানকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করে। জিও নিউজ জানিয়েছে, কমান্ডিং অফিসারের অনুরোধে তাকে পরে কোয়েটা পুলিশ এবং পরে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

   

লোহিত সাগরে জ্বালানিবাহী ট্যাংকারে হুতিদের হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগের জ্বালানিবাহী একটি ট্যাংকারে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। জ্বালানিবাহী জাহাজটির নাম ‘আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকার’।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। তারা বলেছে, হুতি বিদ্রোহীরা অন্তত তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে আন্ড্রোমেডা স্টার জাহাজে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান আমব্রে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাইজ প্রদেশ থেকে। ট্যাংকারটির মাস্টারের কাছ থেকে জানা গেছে, এ হামলায় জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, হুতিদের ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পড়েছে এমভি মাইশা নামের একটি জাহাজের পাশে। তবে ওই জাহাজের কোনও ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হওয়া আন্ড্রোমেডা স্টার অয়েল ট্যাংকারকে পানামার পতাকাবাহী ব্রিটিশ মালিকানাধীন বলে দাবি করেছেন হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া। তবে আমব্রে জানিয়েছে, জাহাজটি ব্রিটিশ মালাকানায় নেই। সম্প্রতি এটির মালিকানা বদল হয়েছে।

;

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল তাতে ইসরায়েল সাড়া দিয়েছে বলে গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া জানিয়েছেন।

 শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠানো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ইসরায়েলও ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি। ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

কাতার এবং মিশরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রথম দফা বিরতির পর ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং এই দাবির কারণে সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল।

দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসন এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যায় মিশরের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। এদিকে, ওই দিনই হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত ১২ বছর ধরে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সম্প্রতি কাতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকা ইতিবাচক না হয়- তাহলে হামাস নেতাদের কাতার ছাড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

মিশরের প্রতিনিধিদলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল পাঠানো প্রস্তাবে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানিয়েছে হামাস।

;

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুতই নতুন এ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ সরবরাহ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সহায়তা প্যাকেজ স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না। প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় ৪০ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবেলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন ‘যা এখনি জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত’।

এছাড়া বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে। শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হবে।

;

কঠোর হচ্ছে ইইউ অভিবাসন নীতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানবপাচার রোধে দশটি ধারার নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে একমত হয়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে নতুন আইনে। মূলত চার বছরের বিতর্ক আর আলোচনা শেষে এমন সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকলো তারা।

প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আর দায়িত্ব ভাগ করে নেবে সদস্য দেশগুলো। এছাড়াও রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরেই যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্য দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। 

ঢাকার ইইউ প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানান, আগের মত কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। তিনি বলেন, ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবে আর কাকে ফিরতে হবে। প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয়কারীকেই দেয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আর থাকছে না। তবে অবশ্যই যে দেশে ফিরলে জীবনের হুমকি আসে তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ আইন কার্যকর হবে।

নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমার মনে হয় বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্যে দারুণ সুযোগ। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেয়া সহজ হবে। 

তবে, নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থীরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি সরকারও। এর বিপরীতে নীতি নির্ধারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ২০২৩ সালের শুধু ইউক্রেন থেকেই পলিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে প্রায় ১১ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। বছরের গড় হিসেবে যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি। 

;