প্রয়োজনে ১০০০ বছর জেলে থাকতে প্রস্তুত ইমরান
পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বলেছেন, তিনি তার দেশের জন্য ১০০০ বছর পর্যন্ত কারাবাস সহ্য করতে প্রস্তুত আছেন।
রাষ্ট্রীয় উপহার (তোশাখানা) বিক্রির আয় গোপন করার মামলায় গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ৭০ বছর বয়সি ইমরানকে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক এবং বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ওই মামলার বিষয়ে শুনানি করবেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের আইনি দলের সদস্য উমিয়ার নিয়াজি অ্যাটক কারাগারে খানের সাথে সাক্ষাতের পর শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভালো আছেন। তবে, তার দাড়ি বড় হয়েছে। তাকে আজ একটি আয়না এবং শেভিং কিট দেওয়া হয়েছে।
নিয়াজি বলেন, তার ছয়জনের দলের মধ্যে শুধুমাত্র তাকেই ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে আইনি দলের প্রবেশাধিকারে বাধা দেওয়ায় জেলারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিয়াজি জানান ইমরান খান বলেছেন, ‘জেলে সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমাকে ১০০০ বছর জেলে রাখলেও কিছু যায় আসে না। আমি এর জন্য প্রস্তুত। কারণ, স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’
২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান সন্ত্রাস, সহিংসতা, ব্লাসফেমি, দুর্নীতি এবং হত্যার মতো অভিযোগে দেশজুড়ে ১৪০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
তার আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন যে, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বুধবার সাইফার ইস্যু সম্পর্কে অ্যাটক কারাগারে খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ইমরান তার ভাগ্নে ব্যারিস্টার হাসান খান নিয়াজীর নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কেও কথা বলেছেন।
এদিকে, লাহোর হাইকোর্ট হাসানকে ১৮ আগস্টের মধ্যে আদালতে হাজির করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) লাহোর হাইকোর্টকে জানিয়েছে, হাসানকে বিচারের জন্য একটি সামরিক আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদালতে দাখিল করা পুলিশ প্রতিবেদনে, হাসানকে লাহোরে জিন্নাহ হাউস হামলা সংক্রান্ত মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ হাসানকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করে। জিও নিউজ জানিয়েছে, কমান্ডিং অফিসারের অনুরোধে তাকে পরে কোয়েটা পুলিশ এবং পরে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।