ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ইয়েলোনাইফ শহর। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়াসহ এর আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে হেক্টরের পর হেক্টর বনাঞ্চলে। দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রদেশটির ইয়েলোনাইফ শহরের বাসিন্দারা।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রধান ডেভিড ইবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি দ্রুতই পরিবর্তন হচ্ছে এবং আমরা সামনের কয়েকদিন মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরইমধ্যে ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বিমানের শিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আর প্রতিটি ফ্লাইটে চারশোর বেশি মানুষ নেওয়া সম্ভব না হওয়া ধাপে ধাপে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে জানানো হয়।

‘ম্যাকডুগাল ক্রিক’ নামের এই দাবানলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ হেক্টর থেকে ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে ৪ হাজার ৮০০ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন কয়েকশো দমকলকর্মী। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে অক্লান্ত পরিশ্রমেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না আগুন। হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছেটানো হলেও খুব একটা কাজে আসছে না।

কানাডায় এ বছর বেশি গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

   

তীব্র খরায় বতসোয়ানায় শুকনো নদীতে আটকা বিপন্ন জলহস্তী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফ্রিকান দেশগুলো তীব্র খরায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খরা-কবলিত আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় শুকনো জলাশয়ের কাদায় আটকে থাকা বিপন্ন হিপ্পোর পাল মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এএফপিকে জানিয়েছে, এল নিনোর আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা মারাত্মক খরা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এতে ঐ অঞ্চলের ফসল হুমকির মুখে পড়েছে, লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছে।

উত্তর বতসোয়ানার ওকাভাঙ্গো ডেল্টার বিস্তীর্ণ জলাভূমির কাছে শুকিয়ে যাওয়া নদীতে হিপ্পোর পাল আটকে যায়।

বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে বন্যপ্রাণী ও জাতীয় উদ্যান বিভাগের (ডিডব্লিউএনপি) মুখপাত্র লেসেগো মোসেকি বলেছেন, নদী ব্যবস্থা শুকিয়ে গেছে এবং প্রাণীরা একটি আপোষহীন পরিস্থিতিতে রয়েছে।

বতসোয়ানা হল বন্য অঞ্চলে বসবাসকারী হিপ্পোদের বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার আবাসস্থল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN)-এর তথ্য মতে, আনুমানিক ২ হাজার থেকে ৪ হাজার হিপ্পো রয়েছে।

মোসেকি বলেন, এনগামিল্যান্ডে (উত্তর-পশ্চিম জেলা) জলহস্তী ওকাভাঙ্গো ডেল্টা সিস্টেমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জলের উপর নির্ভর করে। তারা এখনও পুলগুলিতে কতগুলি জলহস্তী মারা গেছে তা খতিয়ে দেখছে।

হিপ্পোদের চামড়া পুরু কিন্তু সংবেদনশীল ত্বক থাকে। এদের রোদে পোড়া এড়াতে তাদের নিয়মিত পানিতে গোসল করতে হয় এবং এরা সাধারণত আর্দ্র অঞ্চলে থাকে।

পানি ছাড়া তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে এবং গ্রামের কাছে যেতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মানুষের সাথে সংঘাত এড়াতে হিপ্পোদের সংরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এল নিনো হল একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট জলবায়ু প্যাটার্ন যা সাধারণত বিশ্বব্যাপী তাপ বৃদ্ধির সাথে যুক্ত থাকে, যা বিশ্বের কিছু অংশে খরা এবং অন্যত্র ভারী বৃষ্টিপাতের দিকে পরিচালিত করে।

;

কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কম্বোডিয়ার পশ্চিম সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ২০ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট।

ফেসবুকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বলেন, কম্বোডিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কাম্পং স্পিউ প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, এতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তবে কি কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হবে।

সূত্র- এনডিটিভি

;

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গ্রুপ হামাস শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি পাল্টা প্রস্তাব পেয়েছে এবং তারা সেটি পর্যালোচনা করছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামাস তাদের অবস্থানের ব্যাপারে ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, যা গত ১৩ এপ্রিল মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামাস ওই প্রস্তাব পর্যলোচনা করছে এবং তাদের পর্যালোচনার কাজ শেষ হলে তারা সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’

গত ১৩ এপ্রিল হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির উপর জোর দিলেও ইসরায়েল সেটির বিরোধিতা করে।

এদিকে ইসরায়েল এবং মিশরের মিডিয়া জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী মিশরের একটি প্রতিনিধিদল স্থবির হয়ে পড়া যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শুক্রবার ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

গত নভেম্বরে এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি পালনের পর কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীর পাশাপাশি মিশর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

ওই এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালে ইসরায়েলের ৮০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে দেশটির কারাগারে বন্দী ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে মিশরীয় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, ‘মিশর ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদলের মতামত কাছাকাছি আনার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে।’

;

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, জাপানের বনিন দ্বীপপুঞ্জে ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। খবর রয়টার্সের।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৫০৩.২ কিমি (৩১২.৭ মাইল) গভীরতায় ছিল। তবে এবারের ভূমিকম্পের পর জাপানে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে এই ভূমিকম্পের কারণে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর দিতে পারেনি রয়টার্স।

;