থর্মো-নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সম্ভাবনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বার্ষিক সামরিক মহড়ায় আজ মঙ্গলবার নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্যাম্প ডেভিডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নেতাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করার জন্য সাম্প্রতিক ত্রিপক্ষীয় চুক্তিকে একটি "থার্মো-নিউক্লিয়ার যুদ্ধের” সম্ভাবনা বলে সতর্ক করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গতকাল (২১ আগস্ট) উলচি ফ্রিডম শিল্ড গ্রীষ্মের মহড়া শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকিতে তাদের যৌথ প্রতিক্রিয়া বাড়ানোর লক্ষ্যে মহড়ার ডিজাইন করা হয়েছে। পিয়ংইয়ং দীর্ঘদিন ধরে এই মহড়াকে যুদ্ধের মহড়া বলে নিন্দা করে আসছে।
কেসিএনএ বার্তা সংস্থার দ্বারা পরিচালিত একটি মন্তব্যে উত্তর কোরিয়া বলেছে, শুক্রবার ক্যাম্প ডেভিড প্রেসিডেন্ট রিট্রিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই চুক্তিকে "পারমাণবিক যুদ্ধের উস্কানি" বলে আখ্যায়িত করে উত্তর কোরিয়া।
"ক্যাম্প ডেভিড রিসোর্টে বানোয়াট চুক্তিগুলো যদি যুদ্ধ মহড়ায় অনুশীলন করা হয়, কোরীয় উপদ্বীপে একটি থার্মোনিউক্লিয়ার যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা আরও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠবে" বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নেতাদের মধ্যে প্রথম স্বতন্ত্র বৈঠকে, তিনটি দেশ চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মুখে ঐক্য প্রজেক্ট করার জন্য সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য তাদের সামরিক বাহিনীকে "যুদ্ধের জন্য উদ্যোগী, আক্রমণাত্মক এবং অপ্রতিরোধ্য পদক্ষেপ নিতে হবে।" তবে এসম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশটি।
উত্তর কোরিয়া বলেছে যে ২৪ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে পীত সাগর (হলুদ সাগর) এবং পূর্ব চীন সাগরের দিকে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা বলেছে, উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের গত সপ্তাহের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিবাদে অন্য সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যা বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য হুমকিস্বরূপ হবে বলে আশঙ্কা করা যায়।