গ্রিসে দাবানলে পোড়া ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রিসের দাবানলের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

গ্রিসের দাবানলের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

উত্তর গ্রিসের একটি গ্রামীণ এলাকায় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ১৮ জনের পোড়া মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এদিকে, চতুর্থ দিনেও সেখানে দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

দেশটির কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ঝড়ো হাওয়ার কারণে সারাদেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

এনডিটিভি জানিয়েছে, রাজধানী এথেন্সের কাছাকাছি বন্দর শহর আলেকজান্দ্রোপলিসে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে একটি হাসপাতালের কয়েক ডজন রোগীকে একটি ফেরিতে করে সরিয়ে নেওয়া হয়। কারণ, এথেন্সের উপকণ্ঠে মাউন্ট পার্নিথা পর্যন্ত দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।

উত্তর-পূর্ব এভ্রোস অঞ্চলের বিস্তীর্ণ দাদিয়া বনের কাছে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। স্থানটি মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অভিবাসীদের কাছে তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নদী পাড়ি দেওয়ার একটি জনপ্রিয় পথ।

বিজ্ঞাপন

দেশটির ফায়ার ব্রিগেড কর্তৃপক্ষ বলেছে, মৃতদেহগুলো অভিবাসীদের ছিল, যারা অবৈধভাবে গ্রিসে প্রবেশ করেছিল। তাদের ওই ধারণার কারণ, ওই এলাকার কোনও বাসিন্দার নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

গ্রিস সরকার ওই মৃত্যুর জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। গ্রিস সরকারের মুখপাত্র পাভলোস মারিনাকিস বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত দাদিয়ার জঙ্গলে অবস্থান তাদের জন্য মারাত্মক পরিনতি ডেকে এনেছে।

গত সোমবার এথেন্স থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামীণ এলাকায় আরেক অভিবাসীর লাশ পাওয়া গেছে।

গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী দিমিত্রিস কাইরিডিস বলেছেন, ওই দুঃখজনক পরিস্থিতি আরও একবার নিশ্চিত করেছে যে, অনিয়মিত অভিবাসনের বিপদজনক। তিনি অভিবাসীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলার জন্য চোরাচালান চক্রকে অভিযুক্ত করেছেন।

আভান্তাসের নিকটবর্তী গ্রামে রাতারাতি বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

আভান্তাসের ১৯ বছর বয়সি বাসিন্দা আলেকজান্দ্রোস ক্রিসৌলিদিস বলেছেন, ‘আগুন পুরো গ্রামে পৌঁছেছে। ওখানে আমাদের নিজের বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। সেখানে কিছুই নেই।’

নিকোস নামে ২৩ বছর বয়সি বাসিন্দা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি দুঃখজনক। এখন যা দরকার তা হলো, প্রার্থনা ও বৃষ্টি।’

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি স্যাটেলাইট ইমেজ দেখা যায়, ইভ্রোস দাবানলের ধোঁয়া ইতালি থেকে খুব দূরে উত্তর-পশ্চিমে আইওনিয়ান দ্বীপপুঞ্জসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ-পূর্বে এথেন্সের কাছে দাবানল বাড়িঘর এবং গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বাসিন্দাদের পায়ে হেঁটে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ধোঁয়া বাতাস ঘন হয়ে যাওয়ায় কেউ কেউ কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে পালিয়েছেন।