সমাহিত করা হলো প্রিগোশিনকে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইয়েভজেনি প্রিগোশিন। ছবি : সংগৃহীত

ইয়েভজেনি প্রিগোশিন। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ান ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ভাগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিনকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে একটি ব্যক্তিগত কবরস্তানে দাফন করা হয়েছে ভাগনারের প্রেস সার্ভিসের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা।

প্রিগোজিনের প্রেস সার্ভিস মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যারা বিদায় জানাতে ইচ্ছুক তারা পোরোখভসকোয়ে কবরস্থানে যেতে পারেন।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ক্রেমলিন আগেই জানিয়েছিলো যে, প্রিগোশিনের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।

এ খবর মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) নিশ্চিত করেছিলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

বিজ্ঞাপন

দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে ক্রেমলিনের কাছে কোনও তথ্য নেই। কারণ, এটি প্রিগোশিনের পারিবারিক বিষয়।

প্রসঙ্গত, প্রিগোশিনকে বহনকারী জেট বিধ্বস্ত হয়ে গত বুধবার তিনি মারা যান। এর মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক কমান্ডারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার দুই মাস পরে প্রাণ হারান তিনি। ওই বিদ্রোহের সময় ওয়াগনার যোদ্ধারা রাশিয়ার দক্ষিণের শহর রোস্তভের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

এর আগে আনুষ্ঠানিক জেনেটিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মস্কোর ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ভাগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল রাশিয়া।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এ বিষয়ক তদন্ত কমিটি গত রবিবার (২৭ আগস্ট) প্রিগোশিনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে।

তদন্ত কমিটির মুখপাত্র স্বেতলানা পেট্রেনকো বলেছিলেন, টেভার অঞ্চলে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসাবে আণবিক-জেনেটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, মারা যাওয়া ১০ জনের সকলের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।

এমব্রেয়ার প্রাইভেট জেটটিতে তালিকাভুক্ত অন্য নয়জনের মধ্যে প্রিগোশিন ছাড়াও ছিলেন ভাগনারের আরেক নেতা দিমিত্রি উৎকিন।

অন্যদিকে, গত বুধবারের ওই বিমান দুর্ঘটনায় ক্রেমলিন জড়িত থাকতে পারে-এমন গুঞ্জন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, ভাগনার মস্কোর সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঠিক দুই মাস পরই ওই দুর্ঘটনা ঘটলো।

কিন্তু, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন। কারও নির্দেশে ইয়েভজেনি প্রিগোশিনের নিহত হওয়ার দাবিকে তিনি ‘পরম মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেন।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার পরে বিমানটির ট্রাফিক লঙ্ঘনের তদন্ত শুরু করেছিলেন। তবে ওই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে বিশদ প্রকাশ করেননি তারা।