‘ইন্ডিয়া’ জিতবে, বিজেপি হারবে : রাহুল গান্ধী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যমণি হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অত্যন্ত সতর্কভাবে তিনি সবাইকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

রাহুল গান্ধী শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) তার বক্তব্যে বলেন, ‘দুটো বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই মঞ্চ ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করছে। যদি সমস্ত পার্টি একজোট হয়, তবে বিজেপির পক্ষে ভোটে জেতা অসম্ভব। আমাদের মূল কাজ হল ঐক্যবদ্ধ থাকা।’

রাহুল আরও বলেন, ‘দুটো বড় পদক্ষেপের একটি হলো কো-অর্ডিনেশন কমিটি তৈরি করা। তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করবে। আর দ্বিতীয়টি হলো, আমরা আসন সমঝোতার বিষয়গুলো নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাব। এই দুটি বিষয় বাস্তবায়িত হলেই আমাদের জোট জিতবে, বিজেপি হারবে। ভোটের বিষয়টি খুব পরিষ্কার।’

রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আর একজন ব্যবসায়ীর মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে আমি গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলাম। আদানি সম্পর্কে কী হয়েছে, এটা নিয়ে তদন্ত নিশ্চিত করা দরকার প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী আর বিজেপি একটি দুর্নীতির চক্রের মধ্যে রয়েছেন। ইন্ডিয়া জোট সেটাই প্রকাশ্যে আনবে। আমি বলতে চাই, এই জোটে এমন নেতারা রয়েছেন, যারা আমার চেয়ে সিনিয়র। কিন্তু, সকলের মধ্যে সম্পর্ক রক্ষা করাটাই বড় ব্যাপার।’

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে রাহুল বলেন, ‘আমি বলতে পারি, এই দুটি সভা নেতাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির জন্য যথেষ্ট। আমি দেখতে পাচ্ছি নেতাদের মধ্যে অনেক নমনীয়তা এসেছে। মতামতের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু, কীভাবে একমত হওয়া যায়, তা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।’

   

কাশ্মীর থেকে লস্কর-ই-তৈয়্যবার ৫ জঙ্গি গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত এলইটি জঙ্গিরা। ছবি : সংগৃহীত

অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত এলইটি জঙ্গিরা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্যরা।

জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলা থেকে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের নাম আদিল হুসেন ওয়ানি, সুহেল আহমেদ দার, আইতমাদ আহমেদ লাওয়ে, মেহরাজ আহমেদ লোন এবং সাবজার আহমেদ খার বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ইউবিজিএল গ্রেনেড লঞ্চার, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, পিস্তল এবং একে-৪৭ রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত এগিয়ে নিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

;

চীনে কয়লা খনিতে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝো প্রদেশে রোববার একটি কয়লা খনিতে ভযাবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে সানজিয়াওশু কয়লা খনিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্মকর্তারা।

পানঝৌ সিটি সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কনভেয়ার বেল্টে আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আগুনে ১৬ জন লোক খনিতে আটকা পড়েছিল।

অবশ্য অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কী ক্ষতি হয়েছে বা কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বিশদ কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি।

পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, গুইঝো পাঞ্জিয়াং রিফাইন্ড কোল কোম্পানির ফাইলিং অনুসারে, রোববার দক্ষিণ চীনের গুইঝো প্রদেশের পানঝৌ শহরে একটি কয়লা খনি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ৩হাজার ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পানঝৌ শহরের এই কয়লা খনিটি অবস্থিত।

চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ। দেশটিতে হাজার হাজার কয়লা খনি রয়েছে। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারের চেয়ে চীনে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ইতিমধ্যে অনেক বেশি। ২০৩০ সাল নাগাদ চীনে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ক্ষতিকর গ্যাসের বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাবে।

;

রুশ শিশুদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছেন পুতিন!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে; এরপরে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই যুদ্ধ। ভয়াবহ এই যুদ্ধে দুই দেশই কমবেশি সেনা হারিয়েছে। এমন অবস্থায় গত বছরের শেষের দিকে স্কুলে স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যার অংশ হিসেবে বর্তমানে রুশ স্কুলগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল শিক্ষার্থীদের অস্ত্র ব্যবহারের কলাকৌশল প্রশিক্ষণ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত আমলে স্কুলে স্কুলে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে পুরনো আমলের সেই প্রশিক্ষণ আবার চালু করল কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার স্কুলের খেলার মাঠগুলো এখন হয়ে উঠছে প্যারেড গ্রাউন্ড।

ইতিমধ্যে রাশিয়ায় নার্সারি গ্রেডের শিশুরা সামরিক ইউনিফর্ম পরে মার্চিং অনুশীলনে অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া তুলনামূলক বড় বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে কিভাবে পরিখা খনন করতে হয়, গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয় এবং গোলাবারুদ দিয়ে গুলি করতে হয়।

সিএনএন জানায়, দেশটির সকল স্কুলগুলোতে শিশু-কিশোরদের ‘স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’ গঠন করা হচ্ছে এবং মাতৃভূমির প্রতিরক্ষার ওপর জোর দেওয়ার জন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম পর্যন্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে। যাকে বলে রাশিয়ার শিশুরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

এক ঘোষণায় রুশ শিক্ষামন্ত্রী সের্গেই ক্রাভতসোভ জানান, রাশিয়ান স্কুল এবং কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার ‘সামরিক-দেশপ্রেমিক’ ক্লাব রয়েছে প্রচুর লোক তাদের কাজে অংশ নেয়।

তিনি বলেন, এই ক্লাবগুলো সরকারের বহুমুখী প্রচেষ্টার অংশ। এর আওতায় স্কুল পাঠ্যক্রমের আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাঠ্যক্রমের আওতায় সামরিক-দেশপ্রেমিক মূল্যবোধের উপর বাধ্যতামূলক ক্লাস আছে। এছাড়া হালনাগাদ ইতিহাসের বইগুলোতে রাশিয়ার সামরিক বিজয়ের কথা বলা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন

গত আগস্টে পুতিন স্কুলগুলোতে ‘মাতৃভূমির সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষার মৌলিক বিষয়গুলো জানতে একটি নতুন বাধ্যতামূলক কোর্স চালু করার জন্য আইনে স্বাক্ষর করেন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয় সামরিক ইউনিটে ভ্রমণ, সামরিক-ক্রীড়া গেমস, প্রবীণদের সঙ্গে আলোচনা ও ড্রোনের বিষয়ে জানতে স্কুলগুলোতে একটি কোর্স অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রচার করে।

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘অভিজ্ঞ সামরিক ইউনিট অফিসার বা প্রশিক্ষকদের নির্দেশনায় ফায়ারিং লাইনে’ লাইভ গোলাবারুদ ব্যবহার করতে শেখানো হচ্ছে।

সিএনএনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাত বা আট বছর বয়সী শিশুরা মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। জুলাই মাসে বেলগোরোডের শিশুরা যে অনুশীলনে অংশ নিয়েছিল তার মধ্যে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ব্যবহার, বিচ্ছিন্ন একটি মেশিনগান একত্রিত করা এবং প্রতিবন্ধকতা কীভাবে টপকানো যায় তার প্রশিক্ষণ। বেলগোরোডের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ নিয়মিত স্কুলছাত্রী এবং স্কুলে যাওয়া শুরু করবে এমন শিশুদের অনুশীলন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মে মাসে ক্রাসনোদরে সাত বা আট বছর বয়সী কয়েক ডজন শিশু সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে নিয়ে প্যারেড করেছে। ভোলোগদা শহরে অনুষ্ঠিত একটি কুচকাওয়াজে একটি ছোট শিশু অভিবাদন জানিয়ে একজন কর্মকর্তাকে বলেছিল, কমরেড প্যারেড কমান্ডার! কুচকাওয়াজ প্রস্তুত। আমি কমান্ডার উলিয়ানা শুমেলোভা।

;

নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূতসহ সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা ফ্রান্সের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নাইজারের সামরিক নেতারা। তারা এটিকে তাদের সার্বভৌমত্বের বিজয় হিসেবে দেখছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানান, নাইজারে অবস্থানরত ১৫০০ ফরাসি সেনা আগামী অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার শুরু হবে। বছরের শেষ নাগাদ তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হবে।

কিন্তু এটি কোন প্রক্রিয়ায় এবং কীভাবে করা হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি ম্যাক্রোঁ।

গত ২৬ জুলাই নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকে রাজধানীতে থাকা ফরাসি সেনারা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকেই নিয়ামেতে অবস্থিত সেনা ঘাঁটিকে ঘিরে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে নাইজারের জান্তা সরকার।

;