দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শস্যচুক্তি নবায়ন নয়: পুতিন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া শস্যচুক্তি নবায়ন করবে না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার দাবিপূরণ না করা পর্যন্ত মস্কো এই চুক্তি কার্যকর করবে না।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনীয় শস্য নিরাপদে রফতানির বিষয়ে পুতিন তার এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী রাশিয়ার সোচি শহরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিচিত শস্য চুক্তিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার আশায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হলেও নিজেদের দাবি পূরণের বিষয়ে পুতিন তার দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন মূলত ভ্লাদিমির পুতিন তার কৃষি রফতানির বিষয়ে মস্কোর দাবি পশ্চিমা দেশগুলো পূরণ করার পরেই কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য নিরাপদে পাঠানোর বিষয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ইতিপূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে দেশটির কৃষ্ণসাগরের জাহাজ চলাচল পথ ও বন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় মস্কো। এতে করে ইউক্রেনের উৎপাদিত শস্য বন্দরে আটকে যায়। মূলত কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার অবরোধের কারণে ইউক্রেনের বন্দরে রফতানির জন্য প্রস্তুত থাকা কোটি কোটি টন খাদ্যশস্য আটকা পড়ে ছিল।

পুতিন সাংবাদিকদের বলেছেন, যদি কৃষ্ণ সাগরের করিডোরগুলি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা মানা হয় তবে রাশিয়া কিছু দিনের মধ্যে চুক্তিতে ফিরে আসতে পারে।

তবে এরদোগান আশা প্রকাশ করেন শিগগিরই একটি অগ্রগতি আসতে পারে।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা গ্রহণকারী তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে ত্রুটিগুলি সংশোধন করে উদ্যোগটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। মে মাসে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোগানের পুনর্নির্বাচনের পর এটি ছিল দুই নেতার মধ্যে প্রথম বৈঠক।