৫৮ বছরের হিপ্পোর জন্মদিন ঘিরে উৎসবের প্রস্তুতি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

আগামী শুক্রবার (সেপ্টেম্বর ০৮) থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বয়স্ক হিপ্পো মেই মেলির ৫৮তম জন্মদিন। এই উপলক্ষে সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে খাও খিও উন্মুক্ত চিড়িয়াখানায়, মেই মেলির জন্মদিন উদযাপনে।

নানা ধরনের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হবে এই স্তন্যপায়ী প্রাণির জন্মদিন উৎসব। আগত অতিথিদের মধ্যে যাদের জন্মদিন ৮ সেপ্টেম্বর, তাদের জন্য থাকবে বিশেষ উপহার। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যপী এই উৎসবে মেই মেলিকে উৎসর্গ করে চলবে চিত্র প্রদর্শনী। ঐতিহ্যবাহী জন্মদিন পালনের সঙ্গে সঙ্গে থাকছে দর্শকদের জন্য নানা ধরনের খেলার আয়োজন।

বিজ্ঞাপন

খাও খিও চিড়িয়াখানার পরিচালক তাওইন রাত্তানাওংসাওয়াত বলেন, মেই মেলি'র প্রিয় খাবার গাজর, তরমুজ, ড্রাগন ফল, মিষ্টি আলুসহ নানা ধরনের সবজি দিয়ে বিশেষ কেক তৈরি করা হচ্ছে। শিশুরা একসঙ্গে 'হ্যাপি বার্থডে' গান গাইবে যখন ওকে এই কেক পরিবেশন করা হবে।

জুওলজিকাল পার্ক অর্গানাইজেশন অব থাইল্যান্ডের (জেডপিও) পরিচালক আত্তপন শ্রীহায়রুন বলেন, মেই মেলির জন্মদিনকে যতটা সম্ভব উৎসবমুখর করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই আমরা ওর জন্মদিন পালন করে আসছি।

বিজ্ঞাপন
খাবার খাচ্ছে ৫৮ বছরের হিপ্পো

থাইল্যান্ডে চিড়িয়াখানার মধ্যে থাকা স্তন্যপায়ী প্রাণিদের মধ্যে মেই মেলি সবচেয়ে বয়স্ক।

১৯৬৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জার্মানির কোলেনর চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করে এই হিপ্পো। এরপর ১৯৬৭ সালের ৮ জুন থাইল্যান্ডের দুসিত চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত হয় সে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই স্ত্রী লিঙ্গের হিপ্পো এখন পর্যন্ত দেশের ২৪ জন প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া আসা দেখেছে।

২০১৮ সালে দুসিত চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংককের অদূরে চনবুড়ি প্রদেশের খাও খিও উন্মুক্ত চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয় মেই মেলিকে। তখন থেকেই চিড়িয়াখানার প্রাণি চিকিৎসকদের গভীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে সে।

মেই মেলি'র বর্তমান ওজন ১ হাজার ৮১০ কেজি এবং দিনে কমপক্ষে ৫০ কেজির মতো ঘাস এবং অন্যান্য সবজি খায় সে। এখন পর্যন্ত ১৪টি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে
এই হিপ্পো।

চিড়িয়াখানার পরিচালক জানিয়েছেন, হিপ্পো সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বাঁচে। তবে এর আগে ফিলিপাইনে একটি হিপ্পো ৬৭ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিল। বর্তমানে মেই মেলির নাতি নাতনিও হয়ে গেছে। এখন আর সে বাচ্চা প্রসব করতে পারবে না। তবে ওর সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি আমরা যেন সে দীর্ঘ সময় বাঁচতে পারে।