জেল সুপারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ইমরানের
পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) অ্যাটক জেল সুপারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন।
ইমরান একটি বিশেষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছেন যে, তার ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার অনুমতি দেননি ওই জেল সুপার।
৭০ বছর বয়িস ইমরান খান রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশের অভিযোগে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকবেন।
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
গত মাসে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে নথিভুক্ত মামলার শুনানির জন্য গঠিত বিশেষ আদালত তার ছেলেদের (কাসিম এবং সুলাইমানের) সঙ্গে ফোনে কথা বলার অনুমতি দেন।
জিও নিউজ জানিয়েছে, ইমরান তার পিটিশনে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করার জন্য অ্যাটক জেল সুপারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন।
ওই পিটিশনে ইমরান দাবি করেছেন যে, জেলের কর্মকর্তারা তাকে গোপনীয় আইনের অধীনে বন্দী করার অজুহাতে তার ছেলেদের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে।
বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন অ্যাটক জেল সুপার আরিফ শেহজাদকে নোটিশ জারি করে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া আউটলেট দ্য ইন্টারসেপ্টের গোপন তথ্যের একটি কথিত অনুলিপি প্রকাশের পর ইমরান তদন্তের আওতায় আসেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ গত বুধবার তোশাখানা দুর্নীতিতে খানের তিন বছরের সাজা স্থগিত করে তাকে পাঞ্জাব প্রদেশের কারাগার থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু, গত মাসে একটি বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর কারণে তিনি এখনও কারাগারে আছেন।
ইমরান এর আগে তার আইনজীবীদের মাধ্যমে বিচারক জুলকারনাইনের কাছে তার ছেলে কাসিম ও সুলাইমানের সঙ্গে এবং লন্ডনে তাদের মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
সেই সময় বাবা এবং ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করতে অ্যাটক কারাগারের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।