কিম-পুতিন বন্ধুত্বের তিন কারণ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া সফর করছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং–উন। তার এই সফর ঘিরে বিশ্বজুড়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে দেশ দুটির সম্পর্কের নেপথ্যে একপক্ষের অস্ত্র সহায়তা পাওয়ার সুযোগ এবং অন্যপক্ষের মানবিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিবিসির রাশিয়া সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ বলেছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার বন্ধুত্ব হওয়ার প্রথম কারণ হলো তাদের চাওয়া এবং শত্রু-মিত্র অভিন্ন। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া দুই রাষ্ট্রই বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ‘আধিপত্যের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার। অপরদিকে চীনের সঙ্গে দুই দেশেরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের এমন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় কিম-পুতিনের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ বন্ধুত্ব থেকে দুই পক্ষেরই আধিপত্যশীলতা বজায় রাখা এবং শক্তিশালী জোট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে দুই দেশই যেহেতু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাই দুই দেশই আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতায় ভুগছে।

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া একে অপরের পরিপূরক হতে পারে বলে বন্ধুত্ব আরও জোরদার হচ্ছে। এর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে রোজেনবার্গ বলেন, রাশিয়া বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় সামরিক ও ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগিতা পাঠাতে পারবে উত্তর কোরিয়া।

অপরদিকে উত্তর কোরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে খাবার সরবরাহ, জ্বালানি এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যার ফলে দেশটিতে আর্থসামাজিক ও জীবনমানের ওপর প্রভাব ফেলছে। রাশিয়া এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে উত্তর কোরিয়াকে। রাশিয়ার উন্নত সংবেদনশীল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে উত্তর কোরিয়া সীমিত ব্যয়ে আরও অত্যাধুনিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতেও সক্ষম হবে, যা দুই দেশেরই প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞাপন

চলমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া বিশেষ করে চীনের ওপর বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিকভাবে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। দুই পরাশক্তি দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্বস্ততায় আছে কিম সরকারের উত্তর কোরিয়া। ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা এবং পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা সে বৈরী সম্পর্ককে স্পষ্ট করে তোলে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষ রাষ্ট্র হওয়ার সুবাধেও উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে বলে মনে করছেন এ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষেরই পরাশক্তি ধরে রাখার ক্ষেত্রে এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় থেকেও বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক শক্তিবলয় ধরে রাখার ক্ষেত্রে এ বন্ধুত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।