ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নৌবহরে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলছে সেভাস্তোপল শিপইয়ার্ড। ছবি : সংগৃহীত

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলছে সেভাস্তোপল শিপইয়ার্ড। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার অন্তর্গত কৃষ্ণসাগরের মস্কোর একটি নৌবহরে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি মনুষ্যবিহীন নৌকা দ্বারা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ওই হামলার ফলে সেভাস্তোপল শিপইয়ার্ডে বড় অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। রাশিয়া বলেছে, ওই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ২৪ জন আহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া কর্তৃক নিযুক্ত ক্রিমিয়ার গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ দাবি করেছেন যে, বেশিরভাগ আঘাতই প্রতিহত করা হয়েছে।

তবে রাশিয়া বলেছে, ক্রুজ মিসাইলের আঘাতে তাদের দুটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে রাজভোজায়েভের শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ফোনে কথা বলার সময় বন্দরে একটি জাহাজ জ্বলছে।

ছবিটির এলাকা দেখে মনে হচ্ছে এমন কিছু, যেখানে জাহাজ মেরামত করা হয়।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, তাদের হামলায় রাশিয়ার বড় একটি উভচর ল্যান্ডিং জাহাজ এবং একটি সাবমেরিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মাইকোলা ওলেশচুক সতর্ক করে বলেছেন, সামনে আরও কিছু ঘটতে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছে, যা মস্কোর জন্য উদ্বেগের বিষয় হতে পারে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং তিনটি চালকবিহীন নৌকাই ধ্বংস করা হয়েছে।

রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে বেআইনিভাবে নিজ ভূখন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ইউক্রেন বার বারই বলেছে যে, তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল উপদ্বীপটি পুনরুদ্ধার করা।

কিন্তু, ইউক্রেন ওই হামলায় কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমা মিত্রদের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা নিজেদের তৈরি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে কিয়েভ।

অন্যদিকে, রাশিয়ার ড্রোনগুলো দানিউব নদীর উপর ইউক্রেনীয় শস্য বন্দর ইজমাইলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে জানা গেছে।

ওডেসা অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন এবং অবকাঠামোগত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।