শিখ নেতা হত্যার তদন্তে ভারতের যোগসূত্র খুঁজবে কানাডা: ট্রুডো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত জুন মাসে শিখ বংশোদ্ভূত আন্দোলনকারী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারত সরকারের যোগসূত্র তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্টের বক্তৃতায় জাস্টিন ট্রুডো নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদিকে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বলে জানান।

ট্রুডো বলেন, কানাডার মাটিতে কোনো কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার সঙ্গে যদি কারো সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে সেটি আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কানাডিয়ান নিরাপত্তা সংস্থাগুলো চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় সরকারি এজেন্ট এবং একজন বিশিষ্ট শিখ-কানাডিয়ান কর্মীকে হত্যার মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্র এবং অভিযোগ তদন্ত করছে।

হরদীপ সিং নিজ্জরকে চলতি বছরের ১৮ জুন কানাডার পশ্চিম প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শহর সারেতে একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় কানাডায় ব্যাপক প্রশ্ন ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে।

কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ভারতের হাইকমিশনের করা অভিযোগের পর যোগসূত্র তদন্তে মনোযোগী হয়েছে দেশটি। ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অটোয়া এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ইতোমধ্যে একটি স্থবির বাণিজ্য চুক্তি এবং কানাডায় শিখ সক্রিয়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে।

সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকে কানাডায় শিখ বিক্ষোভ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগকৃত বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রচার, ভারতীয় কূটনীতিকদের সহিংসতাকে উস্কে দেওয়া, কূটনৈতিক চত্বরের ক্ষতি করা এবং কানাডায় ভারতীয় সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়কে হুমকি দেওয়ার বিষয়গুলো তদন্ত করবে বলেও বলা হয়।

কানাডিয়ান সংবাদপত্র গ্লোব অ্যান্ড মেইল এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ্জারকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসী হিসাবে আখ্যায়িত করেছিল। ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) অভিযোগ করেছে, নিজ্জর পাঞ্জাবের একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল এবং ২০২২ সালে তাকে গ্রেফতারে সহযোগিতা করার জন্য ১৬ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনের সঙ্গেও নিজ্জর জড়িতছিল, যা ভারতে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের জন্য চাপ দেয়। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। কানাডার বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোইলিভরে হাউস অব কমন্সে বলেন, যদি অভিযোগ সত্য হয় তবে এ ঘটনাটি কানাডার সার্বভৌমত্বের প্রতি আক্রোশজনক অবমাননার প্রতিনিধিত্ব করবে।

কানাডিয়ানরা কানাডার মাটিতে সুরক্ষিত হওয়ার যোগ্য অধিকার রাখে।। ভারত সরকারের সম্পৃক্ততার স্বচ্ছ তদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) জানায়, তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা একটি গাড়ি চিহ্নিত করেছে এবং তিন সন্দেহভাজনকে খুঁজছে। তবে এখনও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

   

আমিরাতে প্রথম নারী কৃষক হিসেবে জিতলেন পুরস্কার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতির পিতা প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের বাড়ির উঠোনে কয়েক দশক আগে কৃষিকাজের যাত্রা শুরু করেছিলেন আমনা খলিফা আল কেমজি। তিনি বাড়ির উঠোনে চাষ করতে থাকেন বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলমুল; হয়ে উঠেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম নারী কৃষক।

তার কৃষি প্রচেষ্টা, আবেগ এবং প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিতে আবুধাবির সাবেক প্রধান তাকে খামারটি উপহার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ প্রদান করেন পুরস্কার। তাকে জৈব কৃষিতে অগ্রগামী সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরিবেশগত স্থায়িত্ব রক্ষায় অবদান এবং সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদেরও কৃষিকাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য আল কেমজিকে সম্মানিত করা হয়।

জানা যায়, আমনা খলিফা আল কেমজি কয়েক বছর ধরে টমেটো, আঙ্গুর, ডুমুর, তরমুজ, লাল মরিচসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রোপণ করতেন। আল কেমজি শীতকালীন সবজির পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফসলও চাষ করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী শেখ শাখবুত বলেন, ‘আমনা খলিফা আল কেমজি চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। বাড়ির উঠানের এক কোণে প্রথমে কৃষি প্রকল্প শুরু করলেও আল কেমজির অধ্যবসায় এবং আবেগ তার কৃষি উদ্যোগকে প্রসারিত করতে সক্ষম করেছে। তার উৎপাদন দেখে আমরা মুগ্ধ।

শেখ জায়েদ কেমজির জন্য একটি খামার নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেখানে তিনি ডুমুর, আঙ্গুর এবং ৭০ টিরও বেশি জাতের শাকসবজি এবং ফলমুল চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন।

;

তীব্র খরায় বতসোয়ানায় শুকনো নদীতে আটকা বিপন্ন জলহস্তী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফ্রিকান দেশগুলো তীব্র খরায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খরা-কবলিত আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় শুকনো জলাশয়ের কাদায় আটকে থাকা বিপন্ন হিপ্পোর পাল মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এএফপিকে জানিয়েছে, এল নিনোর আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা মারাত্মক খরা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এতে ঐ অঞ্চলের ফসল হুমকির মুখে পড়েছে, লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছে।

উত্তর বতসোয়ানার ওকাভাঙ্গো ডেল্টার বিস্তীর্ণ জলাভূমির কাছে শুকিয়ে যাওয়া নদীতে হিপ্পোর পাল আটকে যায়।

বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে বন্যপ্রাণী ও জাতীয় উদ্যান বিভাগের (ডিডব্লিউএনপি) মুখপাত্র লেসেগো মোসেকি বলেছেন, নদী ব্যবস্থা শুকিয়ে গেছে এবং প্রাণীরা একটি আপোষহীন পরিস্থিতিতে রয়েছে।

বতসোয়ানা হল বন্য অঞ্চলে বসবাসকারী হিপ্পোদের বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার আবাসস্থল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN)-এর তথ্য মতে, আনুমানিক ২ হাজার থেকে ৪ হাজার হিপ্পো রয়েছে।

মোসেকি বলেন, এনগামিল্যান্ডে (উত্তর-পশ্চিম জেলা) জলহস্তী ওকাভাঙ্গো ডেল্টা সিস্টেমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জলের উপর নির্ভর করে। তারা এখনও পুলগুলিতে কতগুলি জলহস্তী মারা গেছে তা খতিয়ে দেখছে।

হিপ্পোদের চামড়া পুরু কিন্তু সংবেদনশীল ত্বক থাকে। এদের রোদে পোড়া এড়াতে তাদের নিয়মিত পানিতে গোসল করতে হয় এবং এরা সাধারণত আর্দ্র অঞ্চলে থাকে।

পানি ছাড়া তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে এবং গ্রামের কাছে যেতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মানুষের সাথে সংঘাত এড়াতে হিপ্পোদের সংরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এল নিনো হল একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট জলবায়ু প্যাটার্ন যা সাধারণত বিশ্বব্যাপী তাপ বৃদ্ধির সাথে যুক্ত থাকে, যা বিশ্বের কিছু অংশে খরা এবং অন্যত্র ভারী বৃষ্টিপাতের দিকে পরিচালিত করে।

;

কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কম্বোডিয়ার পশ্চিম সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ২০ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট।

ফেসবুকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বলেন, কম্বোডিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কাম্পং স্পিউ প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, এতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তবে কি কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হবে।

সূত্র- এনডিটিভি

;

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গ্রুপ হামাস শনিবার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি পাল্টা প্রস্তাব পেয়েছে এবং তারা সেটি পর্যালোচনা করছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামাস তাদের অবস্থানের ব্যাপারে ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, যা গত ১৩ এপ্রিল মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামাস ওই প্রস্তাব পর্যলোচনা করছে এবং তাদের পর্যালোচনার কাজ শেষ হলে তারা সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’

গত ১৩ এপ্রিল হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির উপর জোর দিলেও ইসরায়েল সেটির বিরোধিতা করে।

এদিকে ইসরায়েল এবং মিশরের মিডিয়া জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী মিশরের একটি প্রতিনিধিদল স্থবির হয়ে পড়া যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শুক্রবার ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

গত নভেম্বরে এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি পালনের পর কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীর পাশাপাশি মিশর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

ওই এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালে ইসরায়েলের ৮০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে দেশটির কারাগারে বন্দী ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে মিশরীয় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, ‘মিশর ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদলের মতামত কাছাকাছি আনার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে।’

;