ব্রুনাইতে বিতর্কিত চাবুকাঘাতের শাস্তি পেলেন বাংলাদেশি
মেয়াদের অতিরিক্ত অবস্থানের শাস্তি হিসেবে ব্রুনেইয়ের নির্বাহী আদালত এক বাংলাদেশিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং তিনটি চাবুকাঘাত শাস্তি হিসেবে প্রদান করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ব্রুনাইয়ের এই চাবুকাঘাতকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর আগে ২০১৩ সালে একই ধরনের অপরাধে দুই থাই নাগরিককে চাবুকাঘাতের শাস্তি প্রদান করে কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রুনাই শাসনব্যবস্থা।
ব্রুনাইয়ের ইমিগ্রেশন প্রসিকিউটর হাদিয়াতুল মাজেদাহ আওং উসিন এশিয়ান নিউজ নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন বিভাগে প্রত্যাবশনের জন্য আসেন ৩১ বছর বয়সী বাংলাদেশি মো. গোলাম রাব্বানী। তখন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১১ মিনিটে তাকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, রাব্বানীর মামলাটি তদন্ত করে দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান সে তার মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০২১ সালের ২৯ জুন তার মালিক পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেন। ২০২১ সালের ২১ জুলাই ব্রুনাইতে থাকার জন্য তার পেশাগত পাশ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এরপর থেকে তিনি অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন।
জেষ্ঠ্য নির্বাহী বিচারক আজরিমুহ আব্দুল রহমান তার শুনানিতে জানতে পারেন, এরপর থেকে রাব্বানী বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ফ্রিল্যান্সারের মতো কাজ করে আসছিলেন।
চাবুকাঘাত বা বেত্রাঘাতকে ব্রুনাইতে জুডিশিয়াল করপোরাল পানিশমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এককালের ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো ব্রুনাইতেও এই নির্যাতন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনার পরও এই প্রথা বাতিল করেনি ব্রুনাই সরকার।
জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি ব্রুনাই। শরীয়াহ আইনের নামে ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া এই চাবুকাঘাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক চাপ সবসময়ই এড়িয়ে গিয়েছে দেশটি।