ইউক্রেনকে অ্যাব্রামস ট্যাংকসহ ১৩ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তায় বাইডেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে আবারও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার দেশটিকে আব্রামস ট্যাংকসহ প্রায় ১৩ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তায় দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সফরের সময় তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, আগামী সপ্তাহেই ইউক্রেনে প্রথম আব্রামস ট্যাংক পৌঁছাবে। বাইডেন জানান, তিনি ইউক্রেনের জন্য আরও নতুন সহায়তা প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে—আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, হিমার্স রকেটের গোলা, অ্যান্টি ট্যাংক অস্ত্র এবং অন্যান্য গোলাবারুদ।

তবে কিয়েভ বারবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ করলেও ওয়াশিংটন এবারও দীর্ঘ পাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেনি বা এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতিও দেয়নি।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি অনবরত সাহায্য দিতে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাঁর আলোচনা দৃঢ় এবং ফলপ্রসূ হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘এই ৫৭৫ দিন ধরে আমাদের সঙ্গে, আমাদের সাধারণ জনগণের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

সামরিক সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঠিক এই সহায়তাই আমাদের সৈন্যদের প্রয়োজন ছিল। এই সহায়তা প্যাকেজকে খুবই শক্তিশালী সহায়তা প্যাকেজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

২০২২ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণ শুরু হওয়ার পর দুইবার ওয়াশিংটন সফর করলেন জেলেনস্কি। তবে এই সফরে জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের বাধার মুখে পড়েন।বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি ইউক্রেনকে খুব বেশি আর্থিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুক নয়।

   

পোল্যান্ডে শীতকালীন যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পোল্যান্ডে প্রশিক্ষণরত ইউক্রেনীয় সেনা। ছবি : সংগৃহীত

পোল্যান্ডে প্রশিক্ষণরত ইউক্রেনীয় সেনা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন কঠোর শীতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পশ্চিম পোল্যান্ডের একটি তুষার-ঢাকা মাঠে ইউক্রেনের সেনাদের ট্রেঞ্চ যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জার্মান সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ওয়েড্রজিনে পোল্যান্ড, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের সেনাদের দ্বারা পরিচালিত প্রশিক্ষণটি দেখার জন্য চলতি সপ্তাহে আমন্ত্রিত বেশ কয়েকটি মিডিয়া সংস্থার মধ্যে রয়টার্সও ছিল।

একজন ইউক্রেনীয় সেনা বলেছেন, ‘বেশিরভাগ লোকের আসলে কোনও সামরিক অভিজ্ঞতা নেই এবং তাদের শেখানো হয় কিভাবে কিছু মৌলিক কৌশল প্রয়োগ করতে হয়। শহুরে এলাকায় এবং পরিখাতে কীভাবে অস্ত্র ব্যবহার করতে হয় তা আমাদের শেখানো হচ্ছে।’

প্রশিক্ষণটি সম্মিলিত অস্ত্র প্রশিক্ষণ কমান্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্লকের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ২৪টিতে ওই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলিটারি স্টাফের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিচিয়েল ভ্যান ডার লান বলেছেন, ‘আমরা মানিয়ে নিতে থাকব, কারণ যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে এবং এখন তার ভূখণ্ডের প্রায় পঞ্চমাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। গত জুন মাস থেকে চলমান ইউক্রেনের পাল্টা-আক্রমণে কোনও বড় সাফল্য আসেনি।

ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চীফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, ‘যুদ্ধটি স্থির এবং নতুন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যা মস্কোকে তার সামরিক শক্তি পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিতে পারে। তিক্ত শীতের ঠান্ডা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার কারণে অভিযানগুলো আরও জটিল হতে পারে।’

এক ইউক্রেনীয় সেনা বলেছেন, ‘আমি বলব যে, যুদ্ধের ক্ষেত্রে শীতকাল সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ ঋতু। এটি আমাদের চলাচল এবং চালচলনকে মারাত্মকভাবে সীমিত করে, যখন শত্রুরা পরিষ্কারভাবে হিট ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমে আমাদের দেখতে পায়।’

দ্বিতীয় ইউক্রেনীয় সেনা বলেছেন, ‘পোল্যান্ডে সেনারা যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, তা তাদের পাল্টা আক্রমণে অগ্রগতি করতে সহায়তা করবে।’

তিনি বলেন, ‘পরিখাতে যুদ্ধ করা এই যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমি মনে করি যে, ওই এলাকায় দক্ষতার উন্নতি আমাদের সেনাদের যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হতে সাহায্য করবে।’

;

আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব: বহিষ্কৃত হওয়ার পর মহুয়ার হুঁশিয়ারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সংসদের বাইরে এসে ‘আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব’ বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য মহুয়া মৈত্র। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দেন। 

এথিক্স কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য এদিন মহুয়ার এমপি পদ খারিজ করে দেওয়ার পর লোকসভায় বক্তব্য দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়নি তাকে। তিনি জানান, এ ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি। এমনকি আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভেতরে ও বাইরে লড়াই করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত এই এমপি। 

মহুয়া বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিতে ‘এথিক্স’ বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। তারা সব নিয়ম ভেঙে ফেলেছে। এমন একটা কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হলো যার কোনো প্রমাণ নেই।

তিনি আরও বলেন, মোদি সরকার যদি ভেবে থাকে আমাকে এভাবে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা মুক্তি পাবে, তবে ভুল ভাবছে।

লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর তার কাছেও সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঠানো হবে এবং তাদের দিয়ে হেনস্থা করা হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

এদিকে দলের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের ঘটনায় স্তম্ভিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

;

জিম্মি উদ্ধারে ইসরায়েলি প্রচেষ্টা প্রতিহতের দাবি হামাসের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
গাজায় যুদ্ধরত ইসরায়েলি সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধরত ইসরায়েলি সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হামাসের সশস্ত্র শাখা শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর দ্বারা জিম্মি উদ্ধারের একটি প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছে।

হামাস জানিয়েছে, ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে এবং একজন জিম্মিও মারা গেছে।

কিন্তু হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দলটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের চেষ্টা করছে।

টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা জিম্মিদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের ওপর আক্রমণ চালিয়ে বেশ কয়েকজন সেনাকে হত্যা ও আহত করেছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই ঘটনার স্থান নির্দিষ্ট করে জানায়নি আল-কাসাম ব্রিগেড।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সাহার বারুচ নামে ২৫ বছর বয়সি এক জিম্মি ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েল কর্তৃক প্রকাশিত জিম্মিদের তালিকায় তাদের মধ্যে একজনকে সাহার বারুচ নামে শনাক্ত করা হয়েছে।

হামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র আইলন লেভি এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘হামাস ইসরায়েলের জনগণের বিরুদ্ধে যে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওই জিম্মিদের নিরাপত্তা ও অসুস্থতার জন্য সম্পূর্ণরূপে হামাসকে দায়ী করি। জিম্মিদের পরিদর্শনের জন্য ইসরায়েলি দাবি এখনও পর্যন্ত পূর্ণ করতে পারেনি রেডক্রস।’

;

ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ইসরাইলের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং হতাহতের ঘটনা এড়াতে ইসরাইল সরকার যে লক্ষ্যের কথা বলেছিল, তার সঙ্গে তাদের আচরণে ফারাক থেকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকের পর ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন এ মন্তব্য করেন।

দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলি বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করছে, তার সমালোচনা করতে গিয়ে ব্লিঙ্কেন এমন মন্তব্য করেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ গাজায় যে অভিযান চলছে, সেখানে বেসামরিক মানুষের সুরক্ষায় ইসরাইলের পদক্ষেপ নেওয়াটা অপরিহার্য। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইসরাইল।

এদিকে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আলাদা করে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং হামাস থেকে বেসামরিক নাগরিকদের আলাদা করার ওপর জোর দিয়েছেন। সংঘাতের এলাকাগুলো থেকে যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে সরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে ১৭ হাজার ১৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৬ হাজার আহত হয়েছেন। আর ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

;