মুসলিম সাংসদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে তোপের মুখে বিজেপির সাংসদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বিজেপির সাংসদ রমেশ বিধুরি। ছবি : সংগৃহীত

বিজেপির সাংসদ রমেশ বিধুরি। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপির সাংসদ রমেশ বিধুরি কর্তৃক সংসদে দাঁড়িয়ে মুসলিম এক সাংসদের প্রতি করা সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

রমেশ বিধুরি তার বিতর্কিত ওই মন্তব্যের জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) কঠোর পদক্ষেপের একটি সতর্ক বার্তা পেয়েছেন৷

বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়ে রমেশকে ১৫ দিনের মধ্যে তার অসংসদীয় ভাষার ব্যবহারের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে বিজেপিও।

লোকসভার কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, স্পিকার চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়ে আলোচনার সময় মুসলিম সাংসদ দানিশ আলীর (বিএসপি) প্রতি রমেশ বিধুরির দ্বারা ব্যবহৃত আপত্তিকর শব্দগুলোর গুরুতর নোট নেওয়া হয়েছে এবং এই ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে লোকসভার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রমেশ বারবার দানিশ আলীকে ইসলামোফোবিক এবং সন্ত্রাসী বলে গালিগালাজ করছেন।

ওই ঘটনায় দানিশ আলী স্পিকারকে এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘আপনার নেতৃত্বে একটি নতুন সংসদ ভবনে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা এই মহান জাতির একজন সংখ্যালঘু সদস্য এবং একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসাবে আমার জন্য হৃদয়বিদারক।’

ওই চিঠিতে তিনি ঘটনাটি বিশেষাধিকার কমিটির কাছে উল্লেখ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলার সময় দানিশ আলী জানান, তিনি অপমানে সারা রাত ঘুমাতে পারেননি।

বিরোধী নেতারা বিজেপি সাংসদকে নিন্দা জানিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানোর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘সদস্যের মন্তব্যে বিরোধীরা আঘাত পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

কিন্তু বিরোধীদের দাবি হলো, রমেশকে বরখাস্ত বা গ্রেপ্তার করা উচিত।

বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘এটি একটি চরম লজ্জা। রাজনাথ সিংয়ের ক্ষমা গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সংসদের অপমান, প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অপমান।’

কংগ্রেস বলেছে, আগের অধিবেশনে তাদের লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মন্ত্রীদের অপমান করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, একজন বিজেপি সাংসদের জন্য আরও খারাপ কথা বললেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

আম আদমি পার্টি (এএপি) ভিডিওটি শেয়ার করে একটি পোস্টে প্রশ্ন করে বলেছে ‘বিজেপির দিল্লির সাংসদ সংসদে স্পিকারের সামনে এই শব্দগুলো দিয়ে অন্য একজন মুসলিম এমপিকে ফোন করছেন এটি কি বিজেপির সংস্কৃতি?’

ওই ঘটনাকে সংসদের ইতিহাসে কালো দিন বলে অভিহিত করেছে আপ।

আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, তিনি সংসদে বিজেপি সাংসদ দ্বারা ব্যবহৃত সাম্প্রদায়িক অপবাদে দুঃখিত।

তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখ পেয়েছিলাম, কিন্তু অবাক হইনি। এটাই প্রধানমন্ত্রীর বসুধৈব কুটুম্বকমের সত্য। আমাদের ভাবতে হবে যে সংসদে একজন সাংসদের জন্য যদি এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়, তাহলে মুসলিম, দলিতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ভাষাকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে? এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রমেশ বিধুরির বিষয়ে একটি কথাও বলেননি।’

ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ রমেশের ব্যবহৃত অপমানজনক শব্দগুলো তুলে ধরে একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই ঘৃণ্য মাননীয় সাংসদের জিহ্বা কত সহজে গুটিয়ে যায়! বিজেপি কি এই ঘৃণ্য বিদ্বেষের সঙ্গেই সহাবস্থান করে?’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবদুল্লাহ বলেন, ‘তিনি যদি আমাদের সন্ত্রাসী বলে থাকেন, আমরা তাতে অভ্যস্ত। কিন্তু, তিনি সব মুসলমানদের বিরুদ্ধেই এই কথা বলেছেন। এটা আমাদের খুবই ক্ষুব্ধ করে। এটা শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের মানসিকতা প্রকাশ করে। নতুন সংসদ, কিন্তু পুরনো মানসিকতা।’

   

নিরাপত্তা পরিষদ হলো ‘ইসরায়েল সুরক্ষা পরিষদ’: এরদোগান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ‘ইসরায়েলের সুরক্ষা পরিষদ’ বলে অভিহিত করেছেন।

রোববার(১০ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম এএফপি’র প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এরদোগান বলেন, ‘৭ই অক্টোবর থেকে নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা পরিষদে পরিণত হয়েছে।’ তিনি সংস্থাটির কঠোর সমালোচনা করে এই মন্তব্য করেন।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়। এতে করে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস ও আরব দেশগুলোর নেতৃত্বে যুদ্ধ থামানোর ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্রের উল্লেখ করে এরদোগান বলেন ‘পৃথিবী ওই পাঁচটির চেয়ে বড়।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন ‘এটা কি ন্যায়বিচার?’
তিনি বলেন, আমেরিকাকে বাদ দিয়ে অন্য বিশ্বকে ভাবা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অর্থ ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ গাজায় প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সেখানে খাদ্য, জ্বালানি, পানি ও ওষুধের মারাত্মক অভাব বিরাজ করছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ১৭,৪৯০ জনে পৌঁছেছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
যুদ্ধের দুই মাসেরও বেশি সময় পরে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবটি ওয়াশিংটনের ভেটোর কারণে পাশ হয়নি। এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েল- ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা সম্পর্কিত প্রস্তাবনা উঠেছে ৩৭ টি। যার মধ্যে ৩৫ বারই ভেটো দিয়েছে ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতিতেও দেশটি ইসরায়েলকে সমর্থন করে যাচ্ছে বলে এমন মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

;

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে হাল না ছাড়ার ঘোষণা জাতিসংঘের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের লাগাতার প্রচেষ্টায় কোনো বিরতি থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

রোববার (১০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে এই ইস্যুতে কখনও হাল না ছাড়ার কথা জানান তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মহাসচিব বলেন, ‘গাজায় মানবিক বিপর্যয় রোধ করতে সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য আমি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এটা খুবই দুঃখজনক যে নিরাপত্তা পরিষদ সেই অনুরোধ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তাই বলে যে সেখানে যুদ্ধবিরতির আবেদন ফুরিয়ে গেছে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। আমি কখনও হাল ছাড়ব না।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু প্রস্তাবটির ওপর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ভোটপর্ব শেষে দেখা যায়, পরিষদের স্থায়-অস্থায়ী ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৩টি পক্ষে সমর্থন দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তা দেয়নি।

উপরন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি বা ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। জাতিসংঘের যুক্তরাষ্ট্র মিশনের কর্মকর্তা ও উপ রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড এটিকে ‘বাস্তবতা বিচ্ছিন্ন’ উল্লেখ করে বলেন, এই মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি দেওয়া হলে সেটি সেখানে পরবর্তী যুদ্ধের বীজ বপন করবে।



;

ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। 

গাড়ির দরজায় সেন্ট্রাল লক থাকায় সংঘর্ষের পর দরজা খোলা সম্ভব হয়নি। ট্রাকের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হওয়ার পরে বন্ধ গাড়িতেই আগুন ধরে যাওয়ায় দগ্ধ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে গতকাল গভীর রাতে হাইওয়েতে ট্রাকের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষের পর আগুন লেগে এক শিশুসহ আট যাত্রী দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার শিকার ওই গাড়িটি সেন্ট্রাল লক করা ছিল। বেরেলির এই দুঘর্ঘটনায় নিহতদের সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং অন্যজন শিশু।

এনডিটিভি বলছে, দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে জ্বলন্ত গাড়িটিকে নৈনিতাল হাইওয়েতে ট্রাকের পাশে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পর গাড়ির দরজা সম্ভবত জ্যাম হয়ে যায় এবং খোলেনি। এতেই ভেতরে আটকে দগ্ধ হন তারা।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মধ্যরাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা গাড়িটির আচমকাই টায়ার ফেটে যায়। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ের উল্টোদিকের লেনে ঢুকে যায় গাড়িটি। সেই সময়ই ওই লেন দিয়ে হরিদ্বার থেকে বালিবোঝাই একটি ডাম্পার আসছিল। ট্রাকটির গতি বেশি থাকায় সজোরে সংঘর্ষ হয় গাড়িটির সঙ্গে।

এছাড়া ধাক্কা মারার পর গাড়িটিকে কিছুটা টেনে নিয়ে যায় ট্রাকটি। এরপরই গাড়িতে আগুন ধরে যায়। সংঘর্ষের জেরে গাড়ির সবকটি দরজার লকই বিকল হয়ে যাওয়ায় দরজা খোলেনি। ফলে গাড়ির ভেতরেই আটকে পড়েন এক শিশুসহ আটজন যাত্রী। গাড়িতে পুড়ে সকলের মৃত্যু হয়। আগুন ধরে যায় ট্রাকটিতেও।

বেরেলির সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সুশীল চন্দ্র ভান ধুলে বলেন, গাড়িটি বিপরীত লেনে ঢুকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। গাড়িটি কেন্দ্রীয়ভাবে লক করা ছিল, তাই আগুনের কারণে ভেতরে থাকা লোকেরা প্রাণ হারিয়েছেন।

নিহত যাত্রীরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

 

;

লন্ডনে ‘গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি’র দাবিতে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ রাজধানী লন্ডনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং স্থায়ী মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) তীব্র শীত উপেক্ষা করে লাখো বিক্ষোভকারী প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার সেন্ট্রাল লন্ডনের ব্যাংক থেকে পার্লামেন্ট স্কয়ার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন। এ সময় তারা ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

মিছিলটি ব্যাংক জংশন থেকে শুরু হয়ে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল এবং সমারসেট হাউসের পাশ দিয়ে বিকালে ওয়েস্টমিনস্টারে শেষ হয়।

সমাবেশ ও বিক্ষোভে নানা স্লোগান লেখা ফেস্টুন হাতে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে বিক্ষোভকারীরা গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের দাবি জানান।

;