কানাডা-ভারত দ্বন্দ্ব: কার পাশে যুক্তরাষ্ট্র?

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত এবং বন্ধুরাষ্ট্র কানাডার মধ্যে ভারতের কূটনীতিকে শক্তিশালী মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশ দুটির মধ্যকার কূটনৈতিক বিরোধ যেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নষ্ট না করে যুক্তরাষ্ট্র সে চেষ্টা করছে।

পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন বলেছেন, কানাডার চেয়ে কৌশলগতভাবে বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী এবং অটোয়া ভারতের সঙ্গে লড়াই করা মানে হলো একটি পিঁপড়ার হাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে কিনা সেই সম্ভাবনার জবাবে রুবিন বলেন, বর্তমানে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। কানাডার চেয়ে কৌশলগত কূটনীতির দিক থেকেও অনেক বেশি এগিয়ে ভারত। মহাসাগর অববাহিকায় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের কৌশলগত সমাধানে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি অটোয়া এবং নয়াদিল্লির মধ্যে বেছে নিতে হয়। তবে এটি অবশ্যই পরবর্তীটি বেছে নেবে কারণ সম্পর্ক রক্ষা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার এমন অভিযোগ তোলার বিষয়টির সমালোচনা করেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভারত কানাডার চেয়ে কৌশলগতভাবে অনেক বেশি কার্যকরী কূটনীতি বজায় রাখতে সক্ষম। অটোয়া-নয়াদিল্লির লড়াই করার সিদ্ধান্ত বোকামি। জাস্টিন ট্রুডোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো একটি বড় ভুল করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেন একজন মানবতাবিরোধীকে কানাডা সমর্থন করছে এ বিষয়ে কানাডাকেও জবাবদিহিতা দিতে হতে পারে।

পেন্টাগনের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যদি এই বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাউকে বেছে নিতে হয় তাহলে ভারতকে বেছে নেওয়া উচিত। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, নিহত শিখ নেতা নিজ্জার একজন সন্ত্রাসী ছিল।

পেন্টাগনের সাবেক এই কর্মকর্তা ট্রুডোর সমালোচনা করে বলেন, শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার ছিল একজন খালিস্তানি সন্ত্রাসী। যাকে তার পূর্ববর্তী কমরেডদের দ্বারা হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, কারণ সে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল। নিজ্জার অপর এক প্রতিদ্বন্দ্বী শিখ নেতাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন। একই সময়ে একাধিক হামলার মাধ্যমে সে অনেক মানুষ হত্যা করেছে যা মানবাধিকার বিরোধী। ভারত থেকে বিতাড়িত নিজ্জার ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে কানাডায় প্রবেশ করেন এবং নাগরিকত্ব পায়। এতে তার হত্যাকে কানাডার নাগরিকদের নিরাপত্তার সংকট বলে মনে করছেন না তিনি। সূত্র: এনডিটিভি।