কানাডার পার্লামেন্টে রাশিয়ার গণহত্যার তীব্র নিন্দায় জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
’  কানাডার পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার পর ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত

’ কানাডার পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার পর ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে গণহত্যার জন্য রাশিয়ার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, জেলেনস্কি শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) অটোয়ায় পরিপূর্ণ হাউস অফ কমন্সকে বলেছেন, রাশিয়া বরাবরের মতো ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে আগ্রহী এবং এটি করার জন্য মস্কো গণহত্যাসহ সব উপলব্ধ উপায়ই ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, ‘দখলদাররা গণহত্যাসহ ইউক্রেনের সঙ্গে যা করছে, তা বর্নণাতীত। কিন্তু, যখন আমরা জিততে চাই, যখন আমরা বিশ্বকে আমাদের সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানাই, তখন সেটি কোনও সাধারণ অনুরোধ নয়, বরং সেটি হলো লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানোর বিষয়ে।’

জেলেনস্কির ওই জ্বালাময়ী বক্তৃতাকে বিশ্বনেতাদের কাছে তার সর্বশেষ আবেদন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে হাজিরা দিয়ে উত্তর আমেরিকায় একটি ঝটিকা সফর শেষ করেছেন।

কিন্তু, কানাডায় ইউক্রেনের নেতার উষ্ণ অভ্যর্থনার একদিন আগে ওয়াশিংটন, ডিসিতে মার্কিন আইনসভা পরিদর্শন করার সময় তার অভিজ্ঞতা ছিলো সম্পূর্ণ বিপরীত।

সেখানে জেলেনস্কি রিপাবলিকান পার্টির বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন। কারণ, রিপাবলিকান পার্টি ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন কমানোর বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কথা বলার অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে হাউস রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে সময় ছিল না।’

কানাডায় নেতারা অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টের সামনে দ্বিতীয় ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরল সম্মান দিয়েছেন।

রাশিয়া তার দেশে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার কয়েক সপ্তাহ পরে তিনি ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভিডিওর মাধ্যমে কানাডার আইনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন।

জেলেনস্কি ছাড়া মাত্র কয়েকজন বিশ্বনেতাই কেবল কানাডার পার্লামেন্টের সামনে দুইবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, যুক্তরাজ্যের মার্গারেট থ্যাচার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইজেনহাওয়ার এবং রোনাল্ড রিগ্যানের মতো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।

এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার ইউক্রেনের জন্য বর্ধিত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ট্রুডো বলেছেন, ‘পুতিন যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে আমরা ইউক্রেনকে প্রায় নয় বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার সামরিক, আর্থিক এবং মানবিক সহায়তা দিয়েছি। আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি তৈরি করছি, যা ইউক্রেনকে স্থির সমর্থন প্রদান করবে। ওই দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির মধ্যে ৫০টি সাঁজোয়াযানের জন্য তিন বছরের মধ্যে ৬৫০ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা দ্বারা পরিচালিত মানসিক স্বাস্থ্য উদ্যোগের জন্যও তহবিল ঘোষণা করে ট্রুডো বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয়দের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপর এই যুদ্ধের ক্ষতি অপরিমেয়।’

ট্রুডো বলেন, ‘এমন কিছু দেশ আছে যারা নিয়ম লঙ্ঘন করছে। অনিশ্চয়তা এবং পুনরুত্থিত শক্তি প্রতিযোগিতার এই যুগে নিয়ম আমাদের রক্ষা করবে। আমাদের অবশ্যই তাদের পক্ষে ওকালতি করতে হবে, তাদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের পাশে থাকতে হবে। আমরা কীভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করি তার বিচার করবে ইতিহাস।’

অন্যদিকে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার এই আগ্রাসন অবশ্যই আমাদের বিজয়ের মাধ্যমে শেষ করতে হবে। মস্কোকে অবশ্যই হারাতে হবে।

   

গাজায় যুদ্ধবিরতি শেষ, ফের লড়াই শুরু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতারের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া গাজায় যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই ফের লড়াই শুরু করেছে ইসরায়েল-হামাস।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ বিরতি দুই দফায় বর্ধিত হয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টায় শেষ হয়েছে। এরপর কোনো পক্ষই এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।

তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েল দাবি করে, তারা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট প্রতিহত করেছে। এছাড়াও হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের করেছে বলে অভিযোগ করে।

এদিকে হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । কিন্তু এখনো প্রায় ১৪০ জন বন্দী রয়ে গেছে বলে দাবি তাদের।

 

;

ইউক্রেনের মাইন বিস্ফোরণে রুশ জেনারেল নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের একটি মাইন বিস্ফোরণে একজন রুশ জেনারেল নিহত হয়েছেন। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই জেনারেলের নাম ভ্লাদিমির জাভাদস্কি। মৃত্যুর সময় তিনি ১৪ তম সেনা কোরের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী মেজর জেনারেল জাভাদস্কি বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নিহত হন।
ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে তার ইউনিট সেই সময় খেরসন অঞ্চলে ছিল। তার বর্তমান পোস্টিংয়ের আগে তিনি মস্কোর বাইরে অবস্থিত অভিজাত কান্তেমিরভস্কি ট্যাঙ্ক বিভাগের কমান্ডার ছিলেন।

এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছয়জন রাশিয়ান জেনারেল মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এ ঘটনায় রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোন কথা বলা হয়নি এবং এটি কোথায় ঘটেছে তা নিয়েও পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন রয়েছে।

এছাড়া নিহতদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা তাদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে কথা বলার পরেও মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে সিনিয়র অফিসারদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেনি। এদিকে মেজর জাভাদস্কির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলে, তিনি হবেন সপ্তম রাশিয়ান জেনারেল যিনি সংঘাতে মারা গেছেন।

অতি সম্প্রতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওলেগ সোকভ ইউক্রেনের অধিকৃত দক্ষিণ উপকূলে বার্দিয়ানস্কে রুশ সামরিক কমান্ডারদের থাকার হোটেলে হামলার ঘটনায় নিহত হন।

অবশ্য ইউক্রেনীয় সূত্রগুলোর দাবি, রাশিয়ান জেনারেলদের আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন এখনও জীবিত রয়েছেন বলে ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।

;

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেল আরও ৩০ ফিলিস্তিনি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের কারাগার থেকে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছে। আর গাজা থেকে হামাস মুক্তি দিয়েছে ৬ ইসরায়েলি ২ বিদেশি নাগরিককে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৫ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে মোট ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তদের একজন ফ্রান্স ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক মিয়া সেম। ২১ বছর বয়সী তরুণী মিয়া সেমকে গত ৭ অক্টোবর হামলার পর একটি সংগীত উৎসব থেকে জিম্মি করে হামাস। অপরজন ইসরাইলি নাগরিক ৪০ বছর বয়সী আমিত সুজানা।

কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রেডক্রসের তথ্য মতে, ৬ ইসরাইলি নাগরিককে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তারা এখন ইসরাইলের পথে রয়েছে।

কাতারের পক্ষ থেকেও ৮ জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আজ মুক্তি পাওয়া ৮ জনের মধ্যে দুইজন কিশোর ও বাকি ৬ জন নারী। ৬ জনেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।

গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে দুই দফায় এর মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সপ্তম দিনের মতো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। এই সময়ে মোট সাত দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে শেষ হওয়ার কথা। তবে আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর লক্ষ্যে মিশরীয় ও কাতারি কর্মকর্তারা জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে আল জাজিরা জানিয়েছে, চতুর্থবারের মতো যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির জোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যদিও ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি।

;

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিককে পুলিশের অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন পুলিশ সদস্যের একজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান আল্লাউদিন আবদুল মাজিদ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল্লাউদিন আবদুল মাজিদ বলেন, তার বয়স তিরিশের মধ্যে। তাকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রাখা হয়েছিল। এ সময় তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। মুক্তির জন্য তার কাছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দাবি করা হয়।

বাংলাদেশি ওই সাংবাদিক জানান, স্থানীয় অপহরণকারীরা নিজেদের পুলিশের সদস্য বলে দাবি করেছিলেন। সেলানগরের ক্লাং এলাকায় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, সেলানগর পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। কুয়ালালামপুর পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

;