চীনের বর্ধিত সামরিক মহড়া ‘অস্বাভাবিক’: তাইওয়ান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের আকাশে চীনের জে-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত

তাইওয়ানের আকাশে চীনের জে-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের বর্ধিত সামরিক তৎপরতাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ কুও-চেং।

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ওই মহড়া দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়েছে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গত দুই সপ্তাহে কয়েক ডজন চীনা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, বোমারু বিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং চীনা রণতরী শানডংকে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের বাইরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বেইজিং তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে থাকে।

বিজ্ঞাপন

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ কুও-চেং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষের ঝুঁকির বিষয়ে আমরা খুব চিন্তিত।’

তিনি আরও বলেন, ওই সামরিক কার্যকলাপে কারণে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উভয় পক্ষকেই এক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হবে।

তার দাবি অনুসারে, চীনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ডের যুদ্ধজাহাজগুলো তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে একসঙ্গে স্পষ্ট যুদ্ধ মহড়া চালাচ্ছে।

এদিকে, গত সোমবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বীপটির চারপাশে ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে ১০৩টি চীনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি রিপোর্ট করেছে। সোমবার থেকে সেখানে আরও ডজন খানেক যুদ্ধবিমান সনাক্ত করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ শুক্রবার বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের সাম্প্রতিক গতিবিধি সত্যিই খুবই অস্বাভাবিক। আমাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণ হলো, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা স্থল, সমুদ্র, বায়ু এবং উভচরসহ যৌথ মহড়া চালাচ্ছে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই সামরিক মহড়া সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি চীন এবং এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্তব্যের জন্য অনুরোধের কোনও জবাব দেয়নি।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে আরও বলেছে, এটি চীনের দূরপাল্লার কামান, রকেট বাহিনী এবং ফুজিয়ান প্রদেশের দাচেং উপসাগরের চারপাশে স্থল সেনাদের পর্যবেক্ষণ করছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, শনিবার দ্বীপরাষ্ট্রটির উপকূলে দশটি চীনা সামরিক বিমান এবং পাঁচটি জাহাজ সনাক্ত করা হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী এবং স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ তাদের কার্যকলাপের উপর নজর রেখেছে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, তাইওয়ানের পাহাড়ী ভূখণ্ড এবং অবতরণ সৈকতের অভাবের কারণে চীনের সরাসরি আক্রমণ সহজ হবে না।

তারা আরও বলেছে, উভচর এবং বিমান হামলা পরিকল্পনা করাও চীনের জন্য অত্যন্ত জটিল হবে।