যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যুক্তরাজ্য সিগারেট নিষদ্ধ করতে যাচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এমন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। 

শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে দ্য গার্ডিয়ান। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুনাক নিউজিল্যান্ডের ঘোষিত আইনের দিকেই হাঁটছে। গত বছর নিউজিল্যান্ড ধূমপান-বিরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন আইন ঘোষণা করেছে। ওই আইন অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী যে কারো কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেলের মাধ্যমে জানান, আমরা আরও বেশি লোককে ধূমপান ত্যাগ করতে উৎসাহিত করছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দেশকে সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে ভ্যাপ কিট বিতরণ, গর্ভবতী নারীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখার জন্য ভাউচার স্কিম দেয়াসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

তবে, এসব পদক্ষেপগুলো আগামী বছর নির্বাচনের আগে সুনাকের দলের একটি নতুন ভোক্তা-কেন্দ্রিক ড্রাইভের অংশ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

গত মে মাসে খুচরা বিক্রেতারা শিশুদের হাতে বিনামূল্যে ই-সিগারেট দিলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলো ব্রিটিশ সরকার।

এ ছাড়া গত জুলাই মাসে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য উভয় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারেরর প্রতি আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের বিভিন্ন কাউন্সিল।

   

গাজায় যুদ্ধবিরতি শেষ, ফের লড়াই শুরু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতারের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া গাজায় যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই ফের লড়াই শুরু করেছে ইসরায়েল-হামাস।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ বিরতি দুই দফায় বর্ধিত হয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টায় শেষ হয়েছে। এরপর কোনো পক্ষই এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।

তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েল দাবি করে, তারা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট প্রতিহত করেছে। এছাড়াও হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের করেছে বলে অভিযোগ করে।

এদিকে হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । কিন্তু এখনো প্রায় ১৪০ জন বন্দী রয়ে গেছে বলে দাবি তাদের।

 

;

ইউক্রেনের মাইন বিস্ফোরণে রুশ জেনারেল নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের একটি মাইন বিস্ফোরণে একজন রুশ জেনারেল নিহত হয়েছেন। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই জেনারেলের নাম ভ্লাদিমির জাভাদস্কি। মৃত্যুর সময় তিনি ১৪ তম সেনা কোরের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী মেজর জেনারেল জাভাদস্কি বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নিহত হন।
ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে তার ইউনিট সেই সময় খেরসন অঞ্চলে ছিল। তার বর্তমান পোস্টিংয়ের আগে তিনি মস্কোর বাইরে অবস্থিত অভিজাত কান্তেমিরভস্কি ট্যাঙ্ক বিভাগের কমান্ডার ছিলেন।

এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছয়জন রাশিয়ান জেনারেল মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এ ঘটনায় রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোন কথা বলা হয়নি এবং এটি কোথায় ঘটেছে তা নিয়েও পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন রয়েছে।

এছাড়া নিহতদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা তাদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে কথা বলার পরেও মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে সিনিয়র অফিসারদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেনি। এদিকে মেজর জাভাদস্কির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলে, তিনি হবেন সপ্তম রাশিয়ান জেনারেল যিনি সংঘাতে মারা গেছেন।

অতি সম্প্রতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওলেগ সোকভ ইউক্রেনের অধিকৃত দক্ষিণ উপকূলে বার্দিয়ানস্কে রুশ সামরিক কমান্ডারদের থাকার হোটেলে হামলার ঘটনায় নিহত হন।

অবশ্য ইউক্রেনীয় সূত্রগুলোর দাবি, রাশিয়ান জেনারেলদের আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন এখনও জীবিত রয়েছেন বলে ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।

;

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেল আরও ৩০ ফিলিস্তিনি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের কারাগার থেকে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছে। আর গাজা থেকে হামাস মুক্তি দিয়েছে ৬ ইসরায়েলি ২ বিদেশি নাগরিককে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৫ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে মোট ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তদের একজন ফ্রান্স ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক মিয়া সেম। ২১ বছর বয়সী তরুণী মিয়া সেমকে গত ৭ অক্টোবর হামলার পর একটি সংগীত উৎসব থেকে জিম্মি করে হামাস। অপরজন ইসরাইলি নাগরিক ৪০ বছর বয়সী আমিত সুজানা।

কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রেডক্রসের তথ্য মতে, ৬ ইসরাইলি নাগরিককে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তারা এখন ইসরাইলের পথে রয়েছে।

কাতারের পক্ষ থেকেও ৮ জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আজ মুক্তি পাওয়া ৮ জনের মধ্যে দুইজন কিশোর ও বাকি ৬ জন নারী। ৬ জনেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।

গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে দুই দফায় এর মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সপ্তম দিনের মতো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। এই সময়ে মোট সাত দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে শেষ হওয়ার কথা। তবে আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর লক্ষ্যে মিশরীয় ও কাতারি কর্মকর্তারা জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে আল জাজিরা জানিয়েছে, চতুর্থবারের মতো যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির জোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যদিও ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি।

;

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিককে পুলিশের অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন পুলিশ সদস্যের একজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান আল্লাউদিন আবদুল মাজিদ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল্লাউদিন আবদুল মাজিদ বলেন, তার বয়স তিরিশের মধ্যে। তাকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রাখা হয়েছিল। এ সময় তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। মুক্তির জন্য তার কাছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দাবি করা হয়।

বাংলাদেশি ওই সাংবাদিক জানান, স্থানীয় অপহরণকারীরা নিজেদের পুলিশের সদস্য বলে দাবি করেছিলেন। সেলানগরের ক্লাং এলাকায় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, সেলানগর পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। কুয়ালালামপুর পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

;