উইঘুর শিক্ষাবিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলো চীন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিশিষ্ট উইঘুর শিক্ষাবিদ রাহিল দাউত। ছবি : সংগৃহীত

বিশিষ্ট উইঘুর শিক্ষাবিদ রাহিল দাউত। ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার দায়ে বিশিষ্ট উইঘুর শিক্ষাবিদ রাহিল দাউতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চীন।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপ ডুই হুয়া ফাউন্ডেশন অনুসারে, রাহিল দাউতের সাজা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

চলতি মাসে ৫৭ বছর বয়সি এই অধ্যাপকের আপিল আবেদন খারিজ করে আদালত।

প্রসঙ্গত, চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর জনসংখ্যা এবং জিনজিয়াংয়ের অন্যান্য মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিশ্বাস করে যে, চীন গত কয়েক বছরে তাদের দশ লাখেরও বেশি উইঘুরকে আটক করেছে।

চীন এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে নানা মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে।

ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন কাম বলেছেন, প্রফেসর রাহিল দাউতের শাস্তি একটি নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডি। এটি উইঘুর জনগণের জন্য একটি বড় ক্ষতি।

রাহিল দাউতের অবিলম্বে মুক্তি এবং তার পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জন কাম।

তার মেয়ে আকেদা পুলতি জানান, তিনি তার মাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।

ডুই হুয়া কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমার নিরপরাধ মায়ের কারাগারে জীবন কাটানোর চিন্তা তার জন্য অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে আসে। চীন, তোমার করুণা দেখাও এবং আমার নির্দোষ মাকে মুক্তি দাও।’

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অপরাধে তাকে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তারের পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিনজিয়াংয়ের একটি আদালতে দাউতের গোপন বিচার সম্পন্ন করে।

চীন সরকারের একটি সূত্র ডুই হুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছে।

দাউত উইঘুর লোককাহিনী ও ঐতিহ্যের একজন বিশেষজ্ঞ এবং গ্রেপ্তারের আগে জিনজিয়াং ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ হিউম্যানিটিজে শিক্ষকতা করছিলেন।

তিনি ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতিগত সংখ্যালঘু গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং জিনজিয়াংজুড়ে মাঠপর্যায়ে কাজ পরিচালনা করেন।

তিনি হার্ভার্ড এবং কেমব্রিজসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বক্তৃতা করেছেন।

ডুই হুয়া জানিয়েছে, দাউত উইঘুর বুদ্ধিজীবীদের দীর্ঘ এবং ক্রমবর্ধমান তালিকার মধ্যে একজন ছিলেন, যারা ২০১৬ সাল থেকে আটক, গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

জিনজিয়াংয়ে গণহত্যার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চীনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

যদিও ওসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং শুক্রবার এপিকে বলেছেন, দাউতের মামলার বিষয়ে তার কাছে কোনও তথ্য নেই।