At least 57 people lost their lives and hundreds were injured in two consecutive bomb attacks in Pakistan
‘শুধু মৃতদেহ দেখেছি’- পাকিস্তানে বোমা হামলা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী
‘বিস্ফোরণের পরে আমি শুধু মৃতদেহ এবং আহত দেখেছি। ঘটনাস্থলে অসহায় মানুষদের বাঁচার জন্য লড়াই করতে দেখেছি। রক্তাক্ত আহতদের হাহাকার ভুলতে পারি না’।
হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের বাইরে অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণ বরকত আলী অশ্রুসিক্ত চোখে আল জাজিরাকে এসব কথা বলেন। আলীকে দেখা গেলো- রক্ত ভেজা কাপড়ে।
পাকিস্তানে পরপর দুইবার বোমা হামলার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ জন এবং আহত শতাধিক। ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটে।
প্রথমে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরবেলায় বেলুচিস্তানের মাস্তুংয়ে একটি ধর্মীয় মিছিলকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এতে নিহত হন এবং অন্তত ১৩০ জন আহত হয়েছেন।
সেই রেশ না কাটতেই দেশটির খাইবার-পাখতুনকওয়া (কেপি) প্রদেশের পেশোয়ার শহরে হাঙ্গু নামের একটি মসজিদের ভেতরে আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটে। পাকিস্তান গণমাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য লোকজন পেশোয়ারে হাঙ্গু মসজিদে জড়ো হওয়ার সময় হঠাৎ বোমা হামলা হয়। এতে মুহূর্তেই মসজিদটি ধসে পড়ে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ আটকা পড়ে।
জিও টিভি জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছেন এবং বেশকিছু মানুষ আহত হয়েছেন। আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে আছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
জেলা পুলিশ অফিসার নিসার আহমেদ জিও টিভিকে বলেন, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা প্রথম বিস্ফোরণটি দুয়াবার থানার গেটে এবং দ্বিতীয়টি মসজিদের ভেতরে ঘটেছে।
আহত মানুষজন এবং তাদের স্বজনেরা কোয়েটা সিভিল হাসপাতালের বাইরে জড়ো হন। এসময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও যে মানুষটা সুস্থ ছিল, ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল, তারা আর ফেরেননি। তিনি হয়তো আর ফিরবেন না। এমন হৃদয় বিদারক আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ছিল শোকে আচ্ছন্ন।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ব্যক্তি নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন উদযাপনের অংশ হিসেবে এদিন সমাবেশ বা মিছিলের আয়োজন করা হয়।
বেলুচিস্তানের বৃহত্তম শহর কোয়েটার হাসপাতালে এখন চলছে আরেক লড়াই। যারা অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তাদের এখন বেঁচে থাকার লড়াই।