Pakistan's Imran Khan and Shah Mahmood Qureshi have been accused in the Saifar case

সাইফার মামলায় ইমরান ও কোরেশির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে সাইফার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) দুজনকে প্রধান আসামি করে চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই মামলায় ইমরান খান ও কোরেশির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের দাফতরিক গোপনীয়তা আইনের অধীনে এই সাইফার মামলার বিচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। এফআইএর কর্মকর্তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে এই আদালতে চার্জশিট জমা দেন। 

এছাড়াও এই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে কয়েকজনকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এফআইএর কর্মকর্তারা চার্জশিটে দাফতরিক গোপনীয়তা আইনের ৫ ও ৯ ধারায় অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ১৪ বছরে কারাদণ্ড হতে পারে।

তবে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এই চার্জশিটকে অস্বীকার করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে। 

তদন্ত সংস্থাটি এই মামলায় অন্তত ২৭ জনকে সাক্ষী করেছে। মামলার প্রধান সাক্ষী আজম খান  ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই সাক্ষ্য দেওয়ার আগে তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস জনসমক্ষে আসেননি। তিনি দাবি করেছেন, ইমরান খান সে সময় পার্লামেন্টে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরানোর জন্য ওই গোপন নথির প্রসঙ্গ আনেন।

আজম খান এক বিবৃতিতে ইমরান খানকে অভিযোগ করে বলেন, তিনি গোপন নথির বিষয়টিকে সামনে এনেছিলেন। তাকে সেই নথি দেওয়া হয়েছিল। পরে বারবার ফেরত চাইলেও ইমরান খান সে নথি ফেরত দেননি।