Police raids on journalists' homes in India

দিল্লিতে লেখক-সাংবাদিকদের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

নিউজক্লিক নামক ওয়েবসাইটের সাংবাদিকদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযুক্ত করে দিল্লি পুলিশ। চীন থেকে অবৈধ তহবিল পেয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্তের জন্য সাংবাদিকদের অভিযুক্ত করা হয়। অভিযান চলাকালীন তাদের মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।

যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিউজক্লিক ওয়েবসাইটের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ, সাংবাদিক অভিসার শর্মা, অনিন্দ্য চক্রবর্তী এবং ভাষা সিং, জনপ্রিয় ব্যঙ্গশিল্পী সঞ্জয় রাজৌরা এবং ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমি। তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এই তল্লাশি চালানো হয় বলে বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়।

তহবিল তদন্তের দায়ে  নিউজক্লিক ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ। সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ। ২০০৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে নিউজক্লিক। এটি সরকারের সমালোচনাকারী সংবাদ ওয়েবসাইট হিসাবে পরিচিত। ২০২১ সালেও ভারতের সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে কর কর্তৃপক্ষের  তদন্ত অভিযান চালিয়েছিল ওয়েবসাইটটি।

পুলিশ এখনও অভিযানের বিষয়ে মন্তব্য করেনি। জনাব সিং শর্মা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ তাদের ফোন এবং ল্যাপটপ কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। সিং আরও লিখেন, পুলিশ তার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। দিল্লিতে ওয়েবসাইটের অফিসেও অনুসন্ধান চলছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে।

তবে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া বিবিসিকে এই প্রসঙ্গে মতামত দিতে অসম্মতি জানান।

   

পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর কৃষকদের ক্ষোভ এড়াতে অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। এখন থেকে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার হিসেবে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবে দেশটি।

শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে; সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।

;

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ভূমিধস, নিহত ১৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। কয়েক ডজন বাড়ি ভেসে গেছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও সেতু। দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা শনিবার (৪ মে) এ কথা জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু জায়গায় বন উজাড়ের ফলে এ সমস্যা আরো তীব্র হয়েছে। এদিকে দেশটির কিছু এলাকায় অব্যাহত বর্ষণের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দক্ষিণ সুলায়েজির লু এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে মোট ১৪ জন প্রাণ হারান বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এছাড়া ১’শরও বেশি বাড়িঘর তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ৪২টি বাড়িঘর। সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকা থেকে একশ’রও বেশি লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ সুলায়েজির অপর এলাকায় শুক্রবার বন্যায় অন্তত একজন মারা গেছেন এবং দু’জন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে মার্চে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি এবং বেশকিছু লোক নিখোঁজ হয়েছে।

;

ইসরায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনি এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি।

শুক্রবার (৩ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত চিকিৎসকের নাম আদনান আল বুরশ। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তিনি গাজার আল শিফা হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের প্রধান ছিলেন। গত জানুয়ারিতে উত্তর গাজার আল আওদা হাসপাতালে খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনী তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এরপর গত ১৯ এপ্রিল ইসরায়েলের ওফার কারাগারে ডা. আল-বুরশের মৃত্যু হয় বলে ইসরায়লের জেল পরিষেবা নিশ্চিত করেছে।

তবে এখনো পর্যন্ত আল বুরশের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ফিলিস্তিনি বন্দীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বৃহস্পতিবার (১ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, চিকিৎসক আল বুরশের মৃত্যু একটি হত্যা। তার মরদেহ এখনও ইসরায়েলি হেফাজতে রয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনি এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার সহকর্মীরা। তারা জানান, গাজার এই কঠিনতম সময়ে তিনি বীরত্ব এবং ভালোবাসা দিয়ে মানুষের সেবা করে গেছেন। তাদের জন্য এই মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন।

গাজার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মারওয়ান আবু সাদা বলেন, ‘আদনানের মৃত্যু সংবাদ মেনে নেওয়ার মতো নয়। তিনি একজন অসাধারণ চিকিৎসক ছিলেন এবং সারা জীবন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।’

 

 

 

;

হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও  জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ৭ দিনের সময় দিয়েছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি না করলে গাজার রাফাহতে ফের হামলা শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এই আল্টিমেটাম কবে দেওয়া হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে প্রতিবেদনটিতে এক মিশরীয় কর্মকর্তার শুক্রবারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ- চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কয়েক মাস ধরেই রাফাহতে হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্তির দাবিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাকে অনবরত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে  বিদেশে অবস্থানরত হামাসের নেতাদের হাতে চুক্তির প্রস্তাব তুলে দেওয়া হয়েছে; যেটি তৈরি করেছে মিশর।

তবে গাজায় অবস্থানরত হামাসের প্রভাবশালী নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ার এখনো প্রস্তাবটি সম্পর্কে কোনো কিছু জানাননি। তার কাছে নতুন প্রস্তাবটি পৌঁছেছে কি না সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। কারণ সিনাওয়ারসহ অন্যান্য বড় নেতারা গাজার বিভিন্ন সুড়ঙ্গে অবস্থান করছেন।

;