‘৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি মানবাধিকার সংগঠনের
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পাকিস্তানের সেনাবাহিনীরা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেটিকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ও অধিকারকর্মীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে গত শুক্রবারের (৬ অক্টোবর) এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪ তম অধিবেশনস্থলে পৃথক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (জিএইচআরডি)। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংক্ষেপে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা তুলে ধরে সংস্থাটি। মূলত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গণহত্যা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অর্গানাইজেশন অব ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান স্টেটস (ওইসিএস), বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
জিএইচআরডি-এর চেয়ারম্যান শ্রদ্ধানন্দ সিতাল বক্তব্যে বলেন, রুয়ান্ডা, বলকান অঞ্চল এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন গণহত্যা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাননি। এ সময় তিনি গণহত্যার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকে এনজিও ও জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানান।
ডাচ রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভন বোমেল বলেন, দেশটিতে ১৯৭১ সালে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। এর বহু প্রমাণ পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সচেতনতা বাড়াতে এই ফলাফল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদেরও জড়িত হওয়া উচিত বলে আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ঘুমন্ত মানুষজনের উপর আক্রমণ চালায় পশ্চিম পাকিস্তানীরা। এতে বহু মানুষ নিহত হয়, শরণার্থী হয়ে দেশ ছাড়ে অনেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এই গণহত্যার এখনও কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।