ইমরানকে ১৭ অক্টোবর সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হবে: আদালত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পিটিআই প্রধান ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

পিটিআই প্রধান ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খানকে আগামী ১৭ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের (সাইফার) মামলায় অভিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির আদালত।

আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মামলার শুনানি সোমবার (৯ অক্টোবর) শুরু হওয়ার পর আদালত ওই ঘোষণা দেয়।

বিজ্ঞাপন

সাইফার মামলার শুনানি করেন বিশেষ আদালতের বিচারক আবদুল হাসনাত জুলকারনাইন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে অনুষ্ঠিত ওই শুনানিতে প্রসিকিউটর জুলফিকার আব্বাস নকভি, ইমরানের কৌঁসুলি সালমান সফদার এবং তার দলের নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশির মেয়ে এবং ছেলেও উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গত বছরের মার্চ মাসে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের পাঠানো একটি গোপন কূটনৈতিক তথ্য প্রকাশ করে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর ৭১ বছর বয়সি ইমরান খানকে গত আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সোমবারের শুনানির সময় অভিযোগপত্রের অনুলিপি ইমরান এবং তার সহ-অভিযুক্ত কুরেশির আইনজীবীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

এদিকে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, পিটিআই প্রধানের আইনজীবীরা প্রিজন ভ্যানে সংক্ষিপ্তভাবে তার সঙ্গে দেখা করেন।

প্রসিকিউটর নাকভি আদালতকে জানিয়েছেন, সমস্ত প্রয়োজনীয় কপি আদালতে সরবরাহ করা হয়েছে। পরে আদালত ১৭ অক্টোবর চার্জশিটসহ সব সরকারি সাক্ষীকে তলব করার নির্দেশ জারি করেন।

এর আগে, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) দাবি করেছিল যে, ইমরান ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের জন্য দোষী এবং আইন অনুসারে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।

এফআইএ দ্বারা একটি বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ইমরানের প্রধান সহযোগী কুরেশিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সাইফার মামলাটি একটি কূটনৈতিক তথ্যে সঙ্গে সম্পর্কিত, যা ইমরানের হেফাজত থেকে হারিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ইমরানকে ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর তাকে এই বছরের ৫ আগস্টে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।

পিটিআই প্রধানকে তার কারাবাসের জন্য অ্যাটক জেলা কারাগারে রাখা হয়েছিল।
পরে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তার সাজা স্থগিত করেছিল। কিন্তু তারপরে তিনি সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার হন এবং বিচারিক রিমান্ডে অ্যাটক জেলে ছিলেন।

ইমরানের নেতৃত্বাধীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান কুরেশিও এই মামলায় জড়িত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার সর্বশেষ শুনানিতে তাদের বিচারিক রিমান্ড ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।