পাকিস্তানে খুন হলেন জইশ জঙ্গি শাহিদ লতিফ
পাকিস্তানে খুন হয়েছেন জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের নেতা শাহিদ লতিফ। শিয়ালকোটে বুধবার (১১ অক্টোবর) কয়েকজন দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তার শরীর।
তবে, কারা তাকে হত্যা করেছে তা স্পষ্ট নয়। ভারতের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ছিলেন এই লতিফ।
২০১৬ সালে পাঠানকোটে ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই সময় জঙ্গি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলেছিল চার দিন ধরে। সেই সংঘর্ষে ভারতের ৭ নিরাপত্তারক্ষী এবং এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়।
পাকিস্তানে বসে ওই হামলার পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করেছিলেন এই লতিফ। তিনিই চার জঙ্গিকে হামলার দায়িত্ব দিয়ে পাঠানকোটে পাঠিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন লতিফ। তিনি জইশের লঞ্চিং কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। একাধিক বড় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন এই লতিফ।
হামলার এক দিন পরে ৩ জানুয়ারি পাঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে একটি বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছিল। তারও ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন এই লতিফ। ওই বিস্ফোরণে আরও এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়।
১৯৯৪ সালে জম্মু থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন লতিফ। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং মাদক পাচারের অভিযোগ ছিল। ২০১০ সালে লতিফকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয় ভারত সরকার।
ভারতের তৎকালীন সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য সে সময় লতিফসহ ২০ জন জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল। কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাদের।
১৯৯৯ সালে ভারতে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই করার নেপথ্যেও এই লতিফের হাত ছিল বলে ধারণা করা হয়। তিনিই বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনাটি করেছিলেন।
পরে পাঠানকোট হামলার তদন্তভার পায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তারাই লতিফের সম্বন্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জোগাড় করেছিল।