চীন পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার দ্রুত গতিতে প্রসারিত করেছে : যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
চীনা যুদ্ধবিমান দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানকে ১৮০ বারেরও বেশি বাধা দেওয়া হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

চীনা যুদ্ধবিমান দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানকে ১৮০ বারেরও বেশি বাধা দেওয়া হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীন গত এক বছরে তার পারমাণবিক মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে এবং এখন প্রায় ৫০০ সক্রিয় ওয়ারহেড ধরে রেখেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগন কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেইজিং ২০৩০ সালের মধ্যে তার অস্ত্রাগার দ্বিগুণ করে এক হাজারেরও বেশি ওয়ারহেড তৈরির আশা করছে।

তবে ওয়াশিংটন বলেছে, চীন এক্ষেত্রে ‘নো-ফার্স্ট-স্ট্রাইক’ পারমাণবিকনীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন মজুদ বাড়লেও রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মজুদের বিপরীতে তার মজুদ এখনও অনেক কম।

ইন্টারন্যাশনাল স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫,৮৮৯টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫,২৪৪টি ওয়ারহেডের পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে।

২০২১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অনুমান করেছিল, চীনের কাছে প্রায় ৪০০টি ওয়ারহেড রয়েছে।

পেন্টাগনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেখান থেকে চীন শুরু করতে চেয়েছিল, আমরা সেখান থেকে খুব বড় প্রস্থানের পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করছি না। তবে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে, তারা আমাদের পূর্বের অনুমানগুলোকে অতিক্রম করার পথে রয়েছে, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের বিষয়।’

এদিকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেছেন যে, চীন ২০৪৯ সালের মধ্যে একটি বিশ্বমানের সামরিক বাহিনী তৈরি করবে। ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা করেছেন শি।

পেন্টাগনের বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রাগার বাড়ানোর পরিসর এবং জটিলতা উভয় ক্ষেত্রেই পূর্ববর্তী প্রচেষ্টাকে পেছনে ফেলতে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেইজিং সম্ভবত ২০২২ সালে তিনটি নতুন ক্লাস্টার মিসাইল সাইট নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। এই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্তত ৩০০টি নতুন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) সাইলো রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিও আইসিবিএম তৈরি করতে চাইছে, যা এটিকে যুক্তরাষ্ট্র, হাওয়াই এবং আলাস্কায় লক্ষ্যবস্তুতে প্রচলিত হামলার হুমকি দিতে পারে।

বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, পারমাণবিক মজুদ বৃদ্ধি সত্ত্বেও চীন শুধুমাত্র শত্রুর হামলার বিপরীতে ‘প্রতিরোধ নীতি’তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যখন প্রতিরোধ ব্যর্থ হয় তখন পাল্টা হামলা চালানোর নীতিতে বিশ্বাসী।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘মার্কিন প্রতিবেদনটি কুসংস্কারে পূর্ণ এবং চীনের হুমকির তত্ত্বকে ছড়িয়ে দিয়েছে।’

মাও আরও বলেন, ‘চীন সর্বদা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন স্তরে আমাদের পারমাণবিক বাহিনী বজায় রেখেছে এবং আমাদের কোনও দেশের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় জড়ানোর কোনও ইচ্ছা নেই।’

হেনরি বয়েড ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের হেনরি বয়েড বিবিসিকে বলেছেন, চীনের পরমানু কর্মসূচী বৃদ্ধির প্রতিবেদনে উল্লেখিত হার খুব একটা ব্যতিক্রমী বলে মনে হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেছেন, চীন তার এক হাজার ওয়ারহেডের নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে আনুমানিক গতির চাইতে তুলনায় কিছুটা দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

পেন্টাগনের বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেইজিং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক চাপ বাড়িয়েছে।

   

রাইসির মৃত্যুতে খামেনির কান্না, বললেন দেশ একজন সেবককে হারাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং তার কাছেই ফিরে যাব। দেশ একজন আন্তরিক ও মূল্যবান সেবককে হারাল। খবর রয়টার্সের।

খামেনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি, আমাদের একনিষ্ঠ (ধর্মীয়) আলেম, জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট, ইমাম রেজা (আঃ)-এর সেবক ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের তিক্ত সংবাদ পেলাম। আল্লাহ তাদের আশীর্বাদ করুন এবং শান্তি দান করুন।

তিনি বলেন, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটল তখন তিনি জাতির সেবক হিসেবে কাজ করছিলেন। রাইসি ছিলেন একজন মহৎ ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্বল্প সময়ে জনগণ, দেশ ও ইসলামের সেবায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তার কাছে জনগণের কল্যাণ ও সন্তুষ্টি সবকিছুর ওপরে ছিল।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;

আমাদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন, চীনকে তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের প্রতি তাইওয়ানকে হুমকি দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ আহবান জানান। পাশাপাশি তাইওয়ানের গণতন্ত্রকে মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। খবর বিবিসির।

তিনি বলেছেন, তাইওয়ান কখনই চীনের হুমকির মুখে আর পিছু হটবে না। তাইওয়ান একমাত্র শান্তির পথ অনুসরণ করতে চায় এবং বেইজিংয়ের উচিত তাইওয়ানের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা।

উল্লেখ্য, লাই এবং তার ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) বেইজিংয়ের কাছে অপছন্দনীয়।

তিনি একজন চিকিৎসক থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন লাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

;

রাইসি নিহতের ঘটনা তদন্তে ইরানকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে দেশটিকে সহায়তা দিতে মস্কো প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি সের্গেই শোইগু।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ-র বরাতে সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

এর আগে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাইসির মৃত্যুতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ইব্রাহিম রাইসি রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন।

এদিকে রাইসির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা মঙ্গলবার (২১ মে) তাবরিজে অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে তাসনিম আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি নিহত সফরসঙ্গীদেরও জানাজা হবে সেখানে। তার আগে, মরদেহগুলো তাবরিজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;

ইরানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ইরানের মন্ত্রিপরিষদ। 

সোমবার (২০ মে) ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি বাহাদোরি জাহরোমি এ ঘোষণা দেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান সরকারের তিনটি শাখা- নির্বাহী, লেজিসলেটিভ এবং বিচার বিভাগের সঙ্গে মিটিংয়ের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আলি বাগেরি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আলি বাগেরি ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের বিশ্বস্থ সহচর ছিলেন আলি বাগেরি। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এদিকে কাছাকাছি সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালনে নিযুক্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, কোনোরকম বিঘ্ন ছাড়াই প্রেসিডেন্ট রাইসির দেখানো পথ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করা হবে।

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। ওই হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতিসহ সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

;