রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত ইমরান
পাকিস্তানের একটি আদালত রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস (সাইফার) মামলায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করেছে।
পাকিস্তানের জিও টিভি সোমবার (২৩ অক্টোবর) জানিয়েছে, ইসলামাবাদের আদিয়ালা কারাগারের বাইরে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) শাহ খাওয়ার বলেছেন, ‘তাকে আজ অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযোগটি খোলাখুলিভাবে পাঠ করা হয়েছে।’
ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ঔপনিবেশিক যুগের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে একটি বন্ধ দরজার বিচারে ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ইমরান, যিনি ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদের মধ্যে একটি কূটনৈতিক চিঠি ফাঁস করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইমরান বলেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান ওই দাবি অস্বীকার করেছে।
ইমরান, একজন সাবেক ক্রিকেট তারকা এবং পরিণত রাজনীতিবিদ, যিনি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পদচ্যুত হন।
এরপর থেকে তিনি সন্ত্রাসবাদ, আদালত অবমাননা থেকে ব্লাসফেমি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
কিন্তু, অপসারণ এবং ফৌজদারি অভিযোগ সত্ত্বেও বিপুল জনসমর্থন ধরে রেখেছেন ইমরান। ২০২৩ সালের মে মাসে তাকে কারাগারে পাঠানোর পর তার সমর্থকরা দেশব্যাপী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছিল, যা শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নেয়।
তখন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভয়ানক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইমরানের হাজার হাজার সমর্থককে আটক করে এবং প্রায় পুরো পিটিআই নেতৃত্বকে নিস্ক্রিয় হতে বাধ্য করে। এরপর অনেকেই দল ছেড়েছেন।